somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চেয়ে আছি তোমার পথে

০২ রা জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তোমার চলার পথে ধূলো উড়ছে, পাতা ঝরছে-শূন্যতা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাবলার ভিড়ে বসে বসে তোমার বন্দনায় কত বিকেলের রঙ মেখেছি গায়ে তার ইয়ত্তা নেই। চলে গেছ তো বেশ করেছ নয়তো গত জ্যোৎস্না প্লাবনে আমারও চোখে বিভ্রমের পিঁচুটি জমত। দিনমান একটি সুরের অন্বেষণে কী করে আমি ছিলাম জানতে চাইবে হয়ত ফিরে; অনিমেখ তাকিয়ে সে দিন জানি কিছুই বলতে পারবনা। অনুভবে রাঙানো ছাড়া আবেগ কী আর করতে পারে। পুটলি সমেত পাততাড়ি গুছাতে গুছাতে সে দিন কি বলেছিলে মনে আছে? হিমানো শরীর যেন হয়েছিল আমার সে সব শব্দ শ্রবণে, সটান হেলে পড়েছিলাম বিছানায়। মা'র আর্তিতে চোখ খুলে দেখি-পুরানো পেলেস্তার খসা দেয়ালগুলো বিষাদভরে তোমার না থাকার গল্প শোনাচ্ছে, ও সবে একদম কান দিইনি; বিশ্বাসে নিয়ত জাগ্রত-তুমি আসবে ওই তালতলা, বাবলার ধার ঘেঁষে।
দিনকে দিন বিkxর্ণ হচ্ছে শরীর, বড্ড জ্বালিয়ে যাচ্ছি স্বজনদের; আমার জন্য তাদের বুকে পোড়ন লাগুক তা কখনো চাইনি। আমার একটু হাসির জন্য এক বিন্দু স্বস্তির জন্য তাদের কী প্রাণান্তকর চেষ্টা! মিনু দি কত বোঝায় জীবন অনেক দামী; নিজেকে মূল্য দাও একটা ভুলের দামে পুরা জীবন বিকানোর কোনো মানে হতে পারে না। মিনু দির সুখের কপাল, ভালো চাকরি চেয়েছে-পেয়েছে, যাকে চেয়েছে তাকেও পেয়েছে সে জন্য তার বিচার আমাকে বুঝিয়ে কুলোবেনা, তাছাড়া-তুমি তো ভুলের নাম নও।
দুর্ভাগ্যের আকর নিয়ে আছি বুকে। তোমার উচ্ছ্বাসের সরল আলিঙ্গনে মনে হয়েছিল এবার খুলবে সুখের কপাট, কিন' তুমি পাখা মেলে দিলে অনিশ্চিতে। কী খেয়ালে শীতল বাতাস কিছু আমার জানালায় পাঠালে, বিমুগ্ধ আমাকে ডুবিয়ে আনন্দ পেলে তবে বলেই দিতে- ডুবো; নিশ্চিন্তে ষোলকলা পূর্ণ করে ডুবে যেতাম তোমার খাতিরে... কৃষ্ণচূড়া মাতিয়ে ফিরছে বোশেখী পাড়া। আবিরের দানায় পূর্ণ হচ্ছে বাতাস, চলতি পথে সামিয়ানা টেনে ধরে বাহারের আতশ লাগাচ্ছে মুগ্ধজনের চোখে। মন মাতানো কাঁঠালি চাঁপা এ নয় তবু আমার কি যে হলণ্ড কৃষ্ণচূড়া ফুলের এক একটি পাপড়ি চোখের সামনে ডানা মেলে যাচ্ছেণ্ড মনে হয় এগুলো লাল প্রজাতি, মনে হয় তোমার অজস্র চোখ। তন্ময় ডুব সাঁতারে তোমার চিহ্ন খুঁজে ফিরি...
ঘুমের সিঁড়ি টপকে বহুদূর উঠার মানসে পা ফেলতে ফেলতে আটকে পড়িণ্ড সমস্ত ইটে ইটে ভাসতে দেখি তোমার উজ্জ্বল মুখ। এসব কী হয় নিজেই জানি নাণ্ড মাঝে মাঝে যাপিত প্রহরগুলোর অণু কণা ছেয়ে পড়ে তোমার ছবিতে। ডাক্তার এসব শুনে অবসেশনের ঔষধ দেয়। অবসেশন! স্মৃতির খোলসে বাঁধা পড়ার এ বুঝি ডাক্তারী নাম? তোমার স্মরণে দিনমান পেরোই বলে তো বেঁচে আছি, যে ঔষধ ভণ্ডুল করবে তোমার অবস্থান সে আমি কি ভাবে গ্রহণ করি? ডাস্টবিনে, কমোডে, রাস্তায় লুকিয়ে লুকিয়ে সেসব ছুঁড়ে দিই। আমার ভাল হওয়া প্রলম্বিত হতে থাকে। তোমার স্মরণে রোগাক্রান্ত দিনও মধুময়।
সাদা বক জলার পাশ থেকে উড়ে যাচ্ছে, তার সাদা ডানায় লুকোই নিজেকে, চতুর মাছরাঙ্গার তড়িৎ বেগে জলেও ছুঁড়ি শান্তি মেলে না। বাতাসে, স্বনীলে, সবুজে, জলে ভেসে ওঠ তুমি, অথচ এভাবে নয় আমি চাই তুমি আস-বাবলা বন ঘেঁষে নিরব পথে ধূলো তাল তুলে-আমার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে। ফিরো, বিরহ শিকলে আর কতো? এসো অবসন্ন হই মিলন কুঞ্জে।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×