somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেষ পর্যন্ত.............

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্বঃ১

অনলাইনে পরিচয় হওয়ার পর থেকে মোটামুটি নিয়মিতই কথা হতে থাকে সৌরভ আর মহুয়ার। ধীরে ধীরে একে অপরকে জানা, একসময় বন্ধুত্বের গভীরতা বাড়তে থাকে। সময়ের সাথে সাথে নিজেদের ভাললাগা, সুখ, দুঃখ একে অপরের সাথে শেয়ার করতে শুরু করলো দুজনেই। সত্যি বলতে কি মহুয়ার কথা শুনতে অপেক্ষা করে থাকতো সৌরভ। খুব ভালোও লাগতো তার। চট্টগ্রামের খুব রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে মহুয়া। তাদের পরিবার প্রেম - ভালবাসার প্রায় ঘোর বিরোধি। কয়েকদিন টানা কথা না বললে সৌরভ ও মহুয়া দুজনেই খুব অস্থিরতায় ভুগতো। একবার মহুয়া একটা টেক্সট করে,
"তুমি কখনও আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না তো?
কেউ আমার কাছ থেকে তোমাকে কেড়ে নিয়ে যাবেনা তো?"
এই টেক্সট টা দেখার পর সৌরভ খেয়াল করলো নিজের অজান্তে চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। বুঝতে পারলো মহুয়া তার মনে কতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে ফেলেছে।

পর্বঃ ২
সম্পর্কের শুরুর দিকে একটু লাজুক হওয়াটা ভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে কিনা জানিনা, তবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে কাউকে বলেনি সৌরভ। আস্তে আস্তে কয়েকজন কাছের বন্ধুকে জানালো ব্যাপারটা। এর মধ্যে সৌরভের জন্মদিনের একটা পুরো দিন মহুয়া আর সৌরভের কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবী মিলে খুব আনন্দের সাথে কাটায়। সৌরভের জীবনের সেরা একটা দিন ছিল ওই দিনটা। মহুয়া অবিকল সৌরভের স্বপ্নের মতো, মনের মতো। সৃষ্টিকর্তারর কাছে সৌরভ বলে " মহুয়াকে হয়তো আমার কোনো ভাল কাজের উপহার হিসেবে পাঠিয়েছো।"
সৌরভ এরই মধ্যে মহুয়ার কথা তার আম্মুকে জানায়। একদিন যেহেতু জানাতেই হবে, তাহলে আগে কেন না! কোনো বাপ-মাই তো বলবে না (সিনেমা ছাড়া) "প্রেম করছিস! সাবাশ চালিয়ে যা!"
সৌরভের আম্মু ছিল নিউট্রাল। তবে তার আশংকা ছিল স্বাভাবিক। কারণ, সৌরভ তখনও সদ্য অনার্স পড়ুয়া ছাত্র। সৌরভের আম্মু বললো, "বিয়ের ব্যাপারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের পরিবারের চিন্তাটা অনেক বেশি এবং আগে তৈরি হয়। তোর পছন্দের ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু যা করবি ভেবে চিন্তে করিস। "

আম্মুর কথায় সাহস পেল সৌরভ। মহুয়ার কাছ থেকে মহুয়ার বাবার পছন্দের কথা জানলো সৌরভ। মহুয়ার বাবা চান ছেলেকে নিজের পরিচয়ে বড় হতে হবে। শুনে খুশিই হয় সৌরভ, আবার চিন্তিতও হয়। কারণ এজন্য যে সময়টুকু প্রয়োজন হবে সেটা তিনি দেবেন তো তাদের। এরই মধ্যে মহুয়ার বিয়ের প্রপোজাল আসতে শুরু করে। কিন্তু মহুয়া বলে দিলো এখন সে বিয়ে করবে না। মাত্র অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে, সে পড়াশুনা শেষ করতে চায়। একদিন মহুয়া বলেছিল, ওর পরিবার হয়তো ওর চাওয়াটুকুর মূল্য দিবেনা। সময়ের সাথে সাথে সৌরভ আর মহুয়ার চমৎকার বোঝাপড়া হতে থাকলো। যতো দিন যাচ্ছে, একে অন্যের প্রতি ভালবাসা ততো গাঢ় হতে লাগলো। একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে যা যা থাকে তাদের দুজনের মধ্যে সবই ছিল। নিজেদের কখনও অসাধারণ প্রেমিক না ভাবলেও তারা একে অন্যকে মন উজাড় করেই ভালবাসতো। এ নিয়ে কারো মনেই কোনো প্রশ্ন ছিলো না।

পর্বঃ ৩
মহুয়ার বাবা ওদের পরিবারের এমন একজন ছিলেন যার ওপরে কেউ কথা বলতে পারতো না। মহুয়া আর সৌরভ খোদার দরবারে ব্যাকুল হয়ে একে অপরকে চাইতো। মহুয়ার পাঠানো একটা ভয়েস মেসেজ সৌরভ প্রায়ই শুনে। সৌরভের পাঠানো একগাদা ভয়েস মেসেজের মধ্যে একটা সৌরভের খুব প্রিয়। মেসেজটা ছিল এরকমঃ
"জানো, আজকে এতো বৃষ্টি হচ্ছে! মনে হচ্ছে, বছরের সব বৃষ্টি আজ একসাথে হয়ে যাচ্ছে!! আর কি অদ্ভুত দেখো, আমি আসলাম ক্লাস করতে ; আজ নাকি ক্লাসই হবেনা। কত্তো বড় ক্লাসরুম। অথচ আমি একা বসে আছি। জানো, বসে বসে তোমার ছবি দেখছি আর তোমার ছবির সাথে কথা বলছি। আচ্ছা, সেদিন বৃষ্টি হলোনা কেন!? একসাথে ভিজতাম। থাক, তুমি কিন্তু একা একা ভিজবে না। ঠিক আছে? চুপ চুপ.. তোমাকে কিছু বলতে হবেনা। আমি বলবো তুমি শুধু শুনবে। এখন রাখছি, কেমন? ভাল থেকো। ভালবাসি..."

মহুয়া বলতো সৌরভ তার ভাল থাকার কারন, সুখে থাকার কারন, হাসির কারন, আরও কতো কি! শুনতে খুব ভাল লাগতো কিন্তু সৌরভ কি বলবে বুঝে ওঠতে পারতো না। শুধু বলতো, " ভালবাসি পাগলী, অনেক বেশি ভালবাসি"
তাদের মধ্যে কেউ কোনো কারনে ভেঙ্গে পড়লে, অন্যজন শক্ত থাকতো। দুজনেই ভেঙ্গে পড়তো না। একে অন্যের ভেতর নির্ভরতার আশ্রয় খুঁজে নিয়ে শান্ত হতো।

পর্বঃ ৪
হঠাৎ করেই মহুয়া জানালো পারিবারিকভাবে ওর বিয়ের কথা চলছে এবং বেশ জোরেসোরেই। মহুয়া বাসায় সৌরভের কথা বলেছে কিন্তু তখন কেউ কর্ণপাত করেনি। মহুয়া খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে, চেহারা ভেঙ্গে গেছে, এমনকি কিছু একটা অঘটন ঘটিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছে। সৌরভের সাথে যেন যোগাযোগ না করে বাসা থেকে কঠোরভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। একটা সময় মহুয়ার ভাই আর আম্মু চেয়েছিল সৌরভ যেন প্রস্তাব পাঠায়, কিন্তু ওর আব্বা নারাজ। কেননা সৌরভ এখনও স্বাবলম্বী না। ছাত্রাবস্থাতে থাকা কোনো ছেলের হাতে মেয়েকে তুলে দেয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। আর যে ছেলেকে উনি পছন্দ করেছেন, ঐ ছেলের বাবা মহুয়াকে খুব পছন্দ করেছেন। ছেলের বাবা মহুয়ার বাবার খুব কাছের পরিচিত বন্ধু। ছেলের পরিবারও বেশ সম্ভ্রান্ত, ছেলেও সর্বগুণসম্পন্ন। খুব ভাল পারিবারিক ব্যাবসাও রয়েছে তাদের।

পর্বঃ ৫
মহুয়া যখন কলেজে ক্লাস করতে যেতো। তখন সৌরভের সাথে ফোনো কথা হতো। ফেরার পথে বাসে/টেম্পুতে না এসে রিকশায় আসতো। যাতে করে সৌরভের সাথে অারেকটু বেশি সময় থাকতে পারে। মহুয়া একটা কথা সবসময় বলতো, ওর জীবনের সবচেয়ে পছন্দের তিনজন মানুষ হচ্ছে ওর বাবা, মা আর সৌরভ। ও কাউকেই হারাতে চায়না। তিনজনকে নিয়েই সুখে থাকতে চায়। সৌরভ আর মহুয়ার জীবনের অসহ্যকর দিনগুলো শুরু হলো। মহুয়ার বাবা-মা তাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে। মহুয়ার বাবা ওকে জানালো, উনি ছেলের বাবাকে কথা দিয়ে ফেলেছেন। এই বিয়ে না করলে উনার আত্মহত্যা করা লাগবে। মহুয়া খুব সরলমনের আর পরিবারের প্রতি ভীষণ ডেডিকেটেড। ও কি করবে না করবে এটা ভেবে অথৈ সাগরে পড়ে গেল। একদিন সৌরভকে বললো,
" অামি খোদার দরবারে অামার ভালবাসার মানুষটাকে ভিক্ষা চাইছি।"
এমন কোনো দোআ দরুদ হয়তো বাকি নেই যেটা ও পড়েনি। সৌরভ আর মহুয়া মিলে কিছু দোআ খতম দিলো। ওরা রোজাও রাখলো। একে অন্যকে পাওয়ার জন্য কান্না করতো খোদার কাছে।

পর্বঃ ৬
দু' পরিবার যে বিয়ের ব্যাপারে এতো দ্রুত এতোটা এগিয়ে যাবে এটা মহুয়া ঘূর্ণাক্ষরেও টের পায়নি এবং ওকে জানানোও হয়নি। মহুয়ার আম্মা ওকে জড়িয়ে ধরে বলে, " মা, তুমি আমাদের একটু দয়া করো। পরিবারের ইজ্জত রক্ষা করো।"
তখন মহুয়ার হাতে দুটো অপশন। সৌরভ নাহয় পরিবার। সম্পর্কের শুরুর দিকে মহুয়াকে বলা একটা কথা মনে পড়ে যায় সৌরভের। সে বলেছিলো, "প্রেমের ব্যাপারে বেশিরভাগ পরিবারই রাজি হয়না। তবে কখনোও হাল ছেড়ো না। যখন পরিবার নাকি আমি -এমন পরিস্থিতি আসবে তখন সাধারণভাবেই মেয়েরা পরিবারকেই বেছে নিতে বাধ্য হয়। কেননা, ২০ বছরের পরিবারের ভালবাসার কাছে ২-১ বছরের ভালবাসা কীভাবে এগিয়ে থাকে! তবে পরিবারকে রাজি করাতে নিজেকে অনড় অার আত্মবিশ্বাসী রাখতে হবে।"

পর্বঃ ৭
পরিবারের চাপ সামলাতে না পেরে একদিন মহুয়া বলেই দিলো, "আপনাদের যা খুশি করেন, অামি কিছু জানিনা।"
সৌরভ তখন প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেলো। খাবার গিলতে পারতো না। একদিন খেয়াল করলো কাঁদলেও অার চোখ থেকে পানি বেরোচ্ছে না। সৌরভের মনে হতে লাগলো কেউ হয়তো তার বুকের ভেতর থেকে কলিজাটাসহ মহুয়াকে টেনে হিচঁড়ে বের করে নিয়ে যাচ্ছে। তবুও ও বললো, " হে আল্লাহ! তুমি যদি এর চেয়েও বেশি কষ্ট দেবার বিনিময়ে হলেও তুমি মহুয়াকে আমার করে দাও। আরো কষ্ট পেতে রাজি আছি, কিন্তু ওকে কিছুতেই হারাতে চাইনা। "
একদিন মহুয়ার সৌরভের সাথে কথা হলো, শেষবারের মতো। কিন্তু এই মহুয়া আর আগের মহুয়ার মধ্যে কোনো মিল খুঁজে পেল না সৌরভ। ঐদিনের কথার সারমর্ম হলো এই-
মহুয়া এখন চায়না সৌরভ এমন কোনো সিনক্রিয়েট করে, যাতে করে ওদের পরিবার লজ্জায় আর কাউকে মুখ দেখাতে না পারে। সে এটাও বললো, সৌরভকে ভালবাসতে চাওয়া এমনকি এখনও ভালবাসাটা ওর জীবনে কোনো ভুল ছিলনা। সে তার বাবা-মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সৌরভকে কুরবানি দিতে বাধ্য হয়েছে এবং সব কষ্ট সহ্য করছে। সৌরভের সাথে কাটানো সময়গুলো ওর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময়ে ও সৌরভের কাছ থেকে যেটুকু ভালবাসা পেয়েছে, সারা জীবন যদি আর ভালবাসা নাও পায় তাতেও ওর দুঃখ নেই।

পর্বঃ ৮
আল্লাহ যদি অলৌকিক কিছু না করেন, তাহলে এ বিয়ে হচ্ছেই। বিয়ের শপিং শুরু হয়ে গেছে। দুই পরিবারের সব আত্মীয় স্বজনদের জানানো হয়ে গেছে। হলরুম ভাড়া করা হয়ে গেছে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য। মহুয়া বলেছিল,ও নিশ্চিত সৌরভ এ কষ্টটা কাটিয়ে ওঠতে পারবে ধৈর্য্য ধারন করলে। অারও বলেছিলো, সৌরভ জীবনে অনেক কষ্টকে কাটিয়ে ওঠেছে, এই কষ্টটাও কাটিয়ে ওঠার শক্তি তাকে আল্লাহ দিবেন। সৌরভ ভাবে, মহুয়া ভুল কিছু বলেনি। তবে প্রতিটা কষ্টের মাত্রা ভিন্ন। সব ক্ষত মুছে যায়না। সৌরভ জানতে চাইলো
" আচ্ছা মহুয়া, তুমি আমার চেয়েও বেশি কষ্ট পেয়ে কি করে পারছো সহ্য করতে?"
মহুয়া বললো, "মেয়েরা সব পারে, মেয়েদের পারতে হয়। পরিবারের কথা ভেবে মেয়েদের সব মেনে নিতে হয়।"

একটা সময় মহুয়ার বাবা ওকে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে বলেছিলেন, যতি সে সৌরভকে পেতে চায়। মহুয়ার সে সাহসটা হয়নি। ও তার আম্মুকে ছেড়ে থাকতে পারবেনা, এটা সৌরভ খুব ভাল করেই জানে। মহুয়া বলতো, "তোমাকে ছাড়া আমার স্বপ্ন মিথ্যা, আমার হাসি মিথ্যা, আমি মিথ্যা। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাক,আমি শুধু তোমার সাথেই থাকবো।" হয়তো তখন সে বোঝোনি ব্যাপারটা এমন হবে। সৌরভকে পছন্দ করার জন্য বাবা-মার কাছে প্রচুর কথা শুনতে হয়েছে মহুয়াকে। সৌরভ জানে, মহুয়াকে মেন্টালি অনেক কষ্ট দেয়া হয়েছে। হয়তো সৌরভও ভাবেনি এমনটা হবে। এই অবস্থার জন্য কাউকেই দোষ দিতে পারছেনা সৌরভ। কারন, মহুয়া পরিস্থিতির শিকার। সৌরভ জানে, মহুয়া যেভাবে তাকে ভালবাসে এমন ভালবাসা পৃথিবীতে বিরল। তাদের একে অন্যের প্রতি বিশ্বাসের জায়গাটায় কোনো ফাটল নেই।

পর্বঃ ৯
মহুয়া চায়, সৌরভ যেন ওকে ঘৃণা করে। তাহলে নাকি দ্রুত শোক কাটিয়ে ওঠতে পারবে। কিন্তু মহুয়াকে কেউ খারাপ ভাবুক, সৌরভ এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেনা। মহুয়া ভাবতে বলে, ও খারাপ মেয়ে। ও তার পরিবারের জন্য স্বার্থপর হয়ে গেছে। কিন্তু সৌরভ এমনটা ভাবতে পারবেনা। এই শ্রদ্ধাটাই হয়তো ভালবাসা। সৌরভ মনে করে ভালবাসার মানুষের সাথে প্রতিশোধ নেওয়া মানে নিজের কাছেই নিজে হেরে যাওয়া। মহুয়া বলতো, "তোমার মনের বিশালতার কাছে আমি কিছুই না।"
পরিস্থিতির কারনে বুক ফেটে গেলেও মমহুয়া আগের মতো মন ভরে 'ভালবাসি' শব্দটা বলতে পারছেনা। মহুয়ার প্রতি সৌরভের শ্রদ্ধা দেখে সে বললো, "তুমি এতোদিন আমার সুখের কারন ছিলে। আজ থেকে আমার গর্বেরও কারন।"
নিজের প্রশংসা মহুয়ার মুখে শুনতে খুব ভাল লাগলেও আজ বড় পানসে লাগলো। বুকে তীর হয়ে বিঁধলো।

শেষ পর্ব
সৌরভ জানে কোনো পরিবারই তার সন্তানদের খারাপ চান না। তবে কখনও কখনও তাদের অতিরিক্ত ভাল চাওয়ার কারন খারাপ কিছু বয়ে আনারর সম্ভাবনা রাখে। তবে সেটা যখন উপলব্ধি করেন, ততোদিনে হয়তো অনেক দেরী হয়ে যায়। ফিরে আসার আর সম্ভাবনা থাকেনা। সৌরভ চায় মহুয়া যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক। তবে মহুয়ার বাবা-মায়ের ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইলের কারনে যে কষ্টটা সৌরভ-মহুয়া দুজনেই পাচ্ছে, এমন কষ্ট আল্লাহ যেন তার ঘোরতর শত্রুকেও না দেয়। সুন্দর পরিসমাপ্তি সবার জীবনে ঘটেনা। তবুও স্বপ্ন দেখতে দোষ কি! অলৌকিক কিছু ঘটে হলেও যেন মহুয়া সৌরভকে পাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারে। সৌরভ যেমনটা বলতো, "হয় তুমি, নাহয় কেউনা"। মহুয়া আর সৌরভের ভালবাসা হেরে যাবেনা। এ গল্পে নাহয় পৃথিবীর সবচেয়ে আশাবাদী মানুষ হয়ে ধরেই নিচ্ছি, শেষ পর্যন্ত এ বিয়েটা হচ্ছেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×