মেয়েরা মাত্রাতিরিক্ত ধৈর্যশীল হয় যার প্রমাণ পাওয়া যায় পুরোনো সব বিখ্যাত লেখকদের বইতে। সেখানে মেয়েদের আচরণে প্রকাশ পেয়েছে দেবতুল্য মনোভাব। সনাতন ধর্মকে বিশ্লেষণ করলে বেড়িয়ে আসে নারীদের মাহাত্ম্যর একাংশ; দূর্গা, কালি, লক্ষী, সরস্বতী যার প্রধান নিদর্শন।
মেয়েরা খুব চাপা স্বভাবের হয়। বলা চলে এটা প্রতিটা মেয়ের সাধারণ একটা বৈশিষ্ট্য। কারণ মেয়েরা তাদের স্বামী, পিতা আর আপন ভাই ছাড়া অন্য কোনো পরপুরুষকে নিরাপদ ভাবতে পারে না; ভাবা উচিতও না। কারণ সমাজে যেখানে মেয়েদের অবস্থান এমনিতেই দূর্বল, সেখানে তাদের সমস্যাগুলো ঢাক পিটিয়ে বলে দূর্বলতা বাড়ানোর দরকার কি! এখানে অনেক ছেলেই চ্যালেঞ্জ দিতে পারে যে তার বান্ধবী তার কাছে থেকে কিচ্ছু লুকায় না। কিন্তু আমি বলব তার বান্ধবী তাকে সেটুকুই বলে যেটুকু বললে তার নিজের অবস্থানটা সবার কাছে ঠিক থাকে।
মেয়েরা কষ্ট লুকিয়ে হাসতে পারে না। একটা ছাপ থেকেই যায়। এই ছাপটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে তার বাবার। তাইতো দেখা যায় বাবারা মেয়েদের বেশি ভালবাসে। তারপর যার চোখে পড়ে সেটা হচ্ছে তার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী যার সাথে সে সব কিছুই শেয়ার করে থাকে; কিচ্ছু লুকায় না। সবশেষে চোখে পড়ে কিছু অভিজ্ঞ লম্পটের। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বেলাশেষে এই লম্পটই পরিণত হতে পারে তার সাপোর্ট, তার মাইন্ডরিডার, তার বেষ্ট উইশার। কারণ মেয়েরা একটুতেই দুর্বল হয়ে যায়; তারা আসলেই দুর্বল।
এতকিছুর পরেও মেয়েরা ভুল বুঝতে সেরা। এটাই তাদের স্বত্বাকে নষ্ট করে। এটাই তাকে জীবনপথে একা করে তোলে, এটাই তাকে কাঁদতে শেখায়, এটাই জীবনের মুহূর্তগুলোকে অর্থহীন করে তোলে, এটাই তাকে দূর্বল করে, এটাই তার মানসিক মৃত্যু ঘটায়। মেয়েরা হাজার চেষ্টা করলেও এইটাকে প্রশমিত করতে পারে না। হয় তার ভুল বুঝতে ভাল লাগে; অথবা সে সঠিক বুঝতে চেষ্টা করে না। পরিশেষে তার অর্থপূর্ণ জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে অর্থহীন কোনো উপায়ে।