কোন মেয়েকে কোন ছেলে চাইলেই বিয়ে করতে পারে এমন নজির কম। but কোন মেয়ে জোর করে চাইলেই ছেলেটিকে বিয়ে করতে পারে এমন নজির অহরহ আছে।
মেয়েটি যখন একটা ছেলেকে বিয়ে করতে চায় তখন ছেলেটি তেমন একটা রাজি নয় আবার একেবারে উপেক্ষাও করতে পারে না সে ক্ষেত্রে ছেলেটি তখন নিজেকে নবাবজাদা শাহহেন শাহ্ ভাবে আর মেয়েটিকে নানা শর্ত দিতে থাকে, শর্ত গুলো এমন:-
শর্ত-বিয়েতে আমি কিছুই দিতে পারবোনা।
মেয়ের উত্তর: আমার কিছুই চাইনা, শুধু তোমাকে চাই..!
শর্ত-বিয়ের পরে আমি যা যা খাওয়াবো তাই খেতে হবে।
মেয়ের উত্তর: আরে আমি তো বেয়ার গিলস্ এর ফ্যান, পোকা মাকড় খেয়ে থাকতে পারবো..!!
শর্ত- আমার বাবা-মাকে সম্মান করতে হবে।
মেয়ের উত্তর: সম্মান মানে সকাল-বিকাল দু বেলা পা ধুয়ে দিবো..!!!
শর্ত- আমার ছোট ভাই-বোন কে নিজের মনে করতে হবে।
মেয়ের উত্তর: আমি এক বাপের এক মেয়ে ছিলাম এখন থেকে কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলবো আমরা ৩ভাই-বোন..!!!!
শর্ত- আমি যে বাসায় রাখবো সেখানেই থাকতে হবে।
মেয়ের উত্তর: বাসা মানে, চার দেয়াল হলেই হবে উপরে ছাদ হাজীর বিরানীর ঠোঙ্গার কাঠাল পাতা দিয়া লমুনে..!!!!!
শর্ত-বিভিন্ন অকেশনে কিন্তু কোনো রেস্টুরেন্ট এ খেতে নিতে পারবো না।
মেয়ের উত্তর: রেস্টুরেন্ট মানে, বাশি ভাত আর সুটকি ভর্তা দিয়া সব সেলিব্রেট করব..!!!!!!
শর্ত- বিয়ের পরে নামাজ রোজা, পর্দা করতে পবে।
মেয়ের উত্তর: ওগো আমাকে ফ্লোরে বিলটিন জায়নামাজ ওয়ালা টাইলস এনে দিও, আর একটা লোহার তসবি দিয় যেন ব্যবহার ক্ষয় না হয়ে যায়..!!!!!!!
শর্ত-বিয়ের পরে মোবাইল, ফেসবুক, সামাজিক যোগাযোগ বন্ধ।
মেয়ের উত্তর: আমাকে কিছু কবুতর আর এক দিস্তা কাগজ দিয়, আমি তোমাকে চিঠি লিখবো..!!!!!!!
শর্ত-বিয়ের পরে বাপের বাড়িরতে বেশি যাওয়া আসা চলবে না।
মেয়ের উত্তর: আমার পাসপোর্ট সহ সব কাগজ পত্র এফিডেফিট করে একটা ঠিকানা করে দিও..!!!!!!!
শর্ত-বিয়ের পরে দেশের বাইরে নায়াগ্রা ফলস ঘুরতে নিয়ে যেতে পারবো না।
মেয়ের উত্তর: ঘুরতে মানে, বুড়িগঙ্গা কি শুকায়া গেছে নাকি।
শর্ত- হানিমুনে যেতে পারবো না।
মেয়ের উত্তর: ৫টাকার বাদাম, বাহাদুরশাহ পার্ক আর কি চাই..!!!!
শর্ত-বিয়ের পরে আমি তোমাকে দামি ড্রেস, পাখি ড্রেস, স্টার প্লাস ড্রেস, এনাকোন্ডা ড্রেস দিতে পারবো না।
মেয়ের উত্তর: ওগো কাফনের কাপরের গজ কত করে..!!!!!!!!!!!
শর্ত-বিয়ের পরে পার্লারে যাওয়ার খরচ দিতে পারবো না।
মেয়ের উত্তর: কাপড় কাচার সাবান একটু বড় দেখ এন ঔটা দিয়েই ফেস ওয়াস করব..!!!!!!
………ইত্যাদি আরো শর্ত আরো হাবিজাবি বেকুব ছেলেটি দিতে থাকে, ছেলেটি নিজেও জানে এটা মানার জন্য কোন মহীয়সি নারী আজো জন্ম হয়নি। আর মেয়েটি জানে আরো ভাল করে।
ব্যাস এমনি করে বিয়েটা হয় আর তারপর শুরু হয় মাইর হবে সাউন্ড হবেনা টাইপ সিনেমা। মেয়েটির কানে হেডফোনে dj, ফেসবুকে পোলিও রোগীর মত পিক, বান্ধবীদের সাথে হেংআউট, আর চলাফেরার পাতালপুরির রানির হাবভাব শুরু, আরো হেনতেন গ্যানা পেচাল। আর কি কি হয় তা আপনাদের আশেপাশে থেকে মিলিয়ে মিলিয়ে বসিয়ে নেন। আমার মনে হয় প্রেম করে বিয়ে করার পরে কি হয় তা কারো কস্ট করে চিন্তা করা লাগবে না।
**সব থেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল- বিয়ের পরে মেয়েটির বাবার বাড়ি থেকে হোক বা নিজ থেকে হোক, বাবা-মা থেকে আলাদা হতে বলে বলে ছেলেটিকে।আবার এর উপকারিতাও মেয়েটি ছেরেটিকে বুঝায়- ছোট পরিবার সুখি পরিবার, (ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে কিভাবে প্রতিবন্ধি বানানো যায় সেই চিন্তা।)
হয়তো বা ছেলেটি হয়ও বটে but ছেলেটির হ্রদয়ে বাবা-মার জন্য যে রক্ত ক্ষরন হয় তা কেউ দেখেনা।
আমার নিজের মাতামত হল আপনি আপনার বাবা-মা কে কেন কিছু করবেন তার লাভ কি??
ধর্মীয় দিক সবাই জানি এটা আমার না বললেও চলবে। সামাজিক ভাবেও আপনার বাবা-মার সাথে থাকলে তাদের সেবা করলে আপনার নিজের লাভ কারন আপনিও একদিন বাবা-মা হবেন। যদি চান আপনার ছেলে সন্তার আপনাকে শেষ বয়সে সেবা করুক তবে আপনি করুন। আপনি এখন বাবা-মার সাথে না থাকলে যে ক্ষতি হবে সামনে আরো বেশি আপনাকে সাফার করতে হবে। কেনান আজকের বাংলাদেশে বা ঢাকা শহরে জীবন যাত্রার যে কঠিন অবস্থা তা ৩০-৪০ বছর আগে কি কম চিল না বেশি ছিল?? উত্তর: অবশ্যই কম ছিল। আর সামনের ৩০-৪০বছর পরে আপনি চিন্তা করেন, ঢাকার বাসা ভাড়া, রিকশা ভারা বারবে না কমবে??? হ্যা…হ্যা … এবার চান্দু কি করবা বাবা-মার লগে থাকবা নাকি নিজের পায়ে নিজে চীনদেশিয় কুরাল মারবা।
টনক নরানোর জণ্য আমি এসব বিষয়ে সবাইকে বলি। আর এটা একটা লাভের ব্যবসা শিখায়ে দিলাম সবাইকে।
নিজের বাবা-মায়ের সাথে লাভের ব্যবসা করেণ, শেষ বয়ষে নিজের সন্তান থেকে লাভ ভোগ করেন।
ধর্মীয় দিক দিয়ে জান্নাত আপনার নামে রেজ্রিস্ট্রি কার হবে তা ১০০ভাগ সত্য।(পরকালে বিশ্বাসিদের কোন সন্দেহ নেই)
দুনিয়াতে কোন পাপ কাজ করলে তার বিচার এ দুনিয়ায় হতেও পারে আবার নাও হতে পারে, মরার পরে হবে নিশ্চিত।।
But যদি বাবা-মায়ের সাথে কোন বেয়াদবি হয়ে যায় তার হিসাব মরার পরে তো হবেই, এ দুনিয়াতেও হবে।
মা-বাবার খেদমত করছে আর তার পুরুষ্কার পায়নি এমন হয়না, আর বেয়াদবির ফলও সাথে সাথেই পায়।
আল্লাহ আমাদের মা-বাবার হক আদায় করার তওফিক দান করুক। স্বামী ও স্ত্রীর হক আদায়ের ব্যাপারেও আমরা সচেতন হব। তা হলেই সব সমস্যার ৭০-৮০% সমাধান হয়ে যাবে বলে আমার মনে হয়।