somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহমুদুর রহমান
আমার নাম- মাহমুদুর রহমান।কোন কুসংস্কারে বিশ্বাস করি না।যে কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করি।নিজের ধর্ম ইসলামকে খুব ভালোবাসি।ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানুষকে মানবিক হতে শিখায়,সহনশীল হতে শিখায়,সামাজিক হতে শিখায়।নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি।

আধুনিক শহর প্রকল্প, পূর্বাচল

০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পূর্বাচল।এই নামটির সাথে আমরা অধিকাংশই পরিচিত।ঘনবসতিপূর্ণ এই ঢাকা শহরের নিকটেই পূর্বাচল অবস্থিত।পূর্বাচলকে ঘিরে অত্যাধুনিক শহরের স্বপ্ন দেখা হয়।এটা এমন একটি নগর যেখানে থেকে গ্রামের ছোঁয়া নেয়া যায় বেশ আরামদায়কভাবেই।কি বিশ্বাস হচ্ছে না?তাহলে এখনই ঘুরে আসতে পারেন ৩০০ ফিটে অবস্থিত এই নগরী থেকে।অত্যান্ত মনোরম,শান্ত-স্নিগ্ধ এবং খোলামেলা।এক কথায় গ্রাম বলতে যা বোঝায় পূর্বাচল এমনই একটি স্থান।শরতের মৌসুমে রাস্তার দুপাশে চোখা ধাঁধানো শুভ্র কাশফুলে ছেয়ে থাকে এই নগর।চোখ বন্ধ করলে হৃদয় রাঙ্গানো এই দৃশ্যের মহত্ত্ব যেন আরও বেড়ে যায়।এছাড়াও ভালো লাগার মধ্যে আরও একটি ব্যাপার হচ্ছে খোলা আকাশ।ওপরের দিকে মুখ তুলতেই দেখা যাবে নীল আকাশের বুকে গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘ প্রজাপতির মত উড়ছে।কেমন হবে যদি আপনার ঘর এমন একটি স্থানে হয়?ঘর থেকে বের হলেই হিমেল বাতাসের মনোরম ছোঁয়া,চোখের সম্মুখের প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য আর তার ওপর খোলা আকাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য? নিঃসন্দেহে ভালোই লাগবে।আর সে জন্যই,

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১৯৯১ সালে একটি সবুজ সমারোহে ঘেরা পরিবেশবান্ধব নগর তৈরি করার জন্য পূর্বাচল প্রকল্পের কাজ শুরু করে।কিন্তু আজব্দি সেই পরিকল্পনা তার বাস্তবতা লাভ করতে পারে নি।কারন ঘন ঘন নকশা পরিবর্তন ,সংশোধন ।ফলে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক প্লট পাওয়া নিয়ে তৈরি হয় নানান ধরনের সমস্যা।

একজন ইসরাফিল মিয়া।প্রায় দুই যুগ আগে বাংলাদেশ সরকার তার জমি অধিগ্রহন করে।জমির পরিমান ছিলো এক একররেরও অধিক।এক বুক আশা নিয়ে তাকে স্বপ্ন দেখানো হয় তার জমি ও আশেপাশের এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হবে একটি অনন্য শহর।যার মধ্যে তারও বাড়ি থাকবে।প্রকল্প পাশ হওয়ার পর আল্লাহর রহমতে তিনি প্লট পান।১৩ বছর হলো তিনি দুনিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন কিন্তু তার সেই স্বপ্ন এখনও পূর্ণ হয় নি।এমন কি তার যে প্লট আছে তার উত্তরাধীকাররাও প্লটের কাগজ বুঝে পেয়েছেন কিনা সন্দেহ আছে।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্রায় ২৫ হাজারের মত প্লট আছে।যেখান থেকে ১৫ হাজারেরও বেশী প্লট হস্তান্তর করা হয়েছে।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নাগরিক সুবিধাগুলো এখনও কার্যকর হয় নি।কারন এতে রয়েছে নানান ধরনের জটিলতা।প্রকল্প পাশের পর ৫ বারের এই নগরীর নকশা সংশোধন করা হয়।আর এখান থেকেই শুরু হয় জনমনে প্রশ্ন।

১-
নকশার পঞ্চম সংশোধনীতে আবাসিক প্লটের সংখ্যা ২৫ হাজার ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার ৯১ করা হয়।রাজউকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্বাভাবিক হিসাব অনুযায়ী, বাড়তি ৭৫টি প্লটের জন্য অতিরিক্ত প্রায় ২১ একর জায়গার প্রয়োজন হবে। কিন্তু মাত্র চার একর জমিতে ৭৫টি প্লটের জায়গা কীভাবে হলো, তা বোধগম্য নয়। তাঁর সন্দেহ, আগে বরাদ্দ দেওয়া প্লটগুলো থেকে একটু একটু করে জায়গা কেটে নেওয়া হয়েছে।

২-
প্রাতিষ্ঠানিক প্লট নিয়ে লুকোচুরী হচ্ছে।চতুর্থ সংশোধনীর পর প্লট ছিল ২২৬টি, মোট আয়তন ছিল ৩৯৭ দশমিক ১৬৬ একর। পঞ্চম সংশোধনীতে প্লট কাটাছেঁড়া করায় আগের চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্লটের মোট আয়তন কমেছে ৮৪ দশমিক ২১২ একর। আর প্লটের সংখ্যা হয়েছে ২২৪। সূত্র বলছে, জমি কমিয়ে প্লটের সংখ্যা বাড়াতে আগের একেকটি প্লট কেটে দুই থেকে তিনটি করা হয়েছে।

এছাড়াও রয়েছে আরও নানান ধরনের জটিলতা।আর তাই এখন আশা আর নিরাশার দোলাচলে মানুষ।অনেকের মনেই ক্ষোভ বিরাজ করছে।তাদের প্রশ্ন হলো,পূর্বাচলে কি আদৌ তাদের জায়গা হবে? তারা সন্ধিহান।সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় ২৯ বছর আগে পূর্বাচলের কাজ শুরু হয়। জমি অধিগ্রহণবিষয়ক জটিলতা হওয়ায় হাজার হাজার মামলার সুরাহা করে কাজ শুরু করতেই অনেক সময় লেগে যায়। বর্তমানে কাজ চলছে। প্লট রেডি হলেই গ্রাহকদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্লট বুঝে পেলেই বাড়ি করা যাচ্ছে না। কারণ এখানে তেমন কোনো নাগরিক পরিষেবাই নেই। গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ ও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা অর্থাৎ ইউটিলিটি সার্ভিস নিয়ে এখনো তেমন অগ্রগতি নেই। স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভেলপ করতে ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার কথা ছিল ।কিন্তু ওয়াসার অপরাগতা প্রকাশ।এছাড়াও পূর্বাচল প্রকল্প ও বাস্তবায়ন সবকিছু হলেও প্রশাসনিক বিষয়গুলো এখনও অমীমাংসিত।দেখভালের বিষয়েও রয়েছে কর্তৃপক্ষের অস্পষ্টতা।জানা গেচে,চুরি-ডাকাতি ও মাদক পূর্বাচলের অন্যতম প্রধান একটি সমস্যা। রাস্তাঘাট থেকে গবাদিপশু তুলে নেওয়া থেকে শুরু করে বাসাবাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×