...........................................................বিসমিল্লাহির রহ'মানির রহী'ম।
...............................পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
ব্লগ মানে আমার কাছে এক বুক আনন্দ।কারন ব্লগহীন জীবন আমার জন্য কষ্টকর।তাই বাধ্য হয়ে আসলাম।আমি জানি জীবনে নানান রকম বাধা প্রতিকূলতা আসবেই।আর সেজন্য হাতগুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না।সত্যকে সত্য বলার অভ্যাস যদি কেউ আয়ত্ত করতে না পারে তবে সে মিথ্যার ছায়াতলে থেকেই বড় হয়।আমাদের এই পৃথিবীতে অসত্যের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী।সত্য সেখানে ছিটেফোটার মতো।অথচ এই প্রতিকূলতার মাঝে থেকেও সত্য টিকে আছে।সত্যের সংস্পর্শে যখন মিথ্যা আসে তখন সে মিথ্যা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
আমি আমার জীবনে অনেক অনেক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি শুধুমাত্র সত্য বলার জন্য।আমি প্রতিবারেই লক্ষ্য করেছি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সত্যকে সত্য বলে মেনে নিতে নারাজ।তাদের মাঝে যে মানসিকতা বিদ্যমান সেটা অত্যান্ত শিশুসুলভ।মিথ্যার মাঝেই তারা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে ফিরে।একজন মানুষ সত্য পথের পথিক হওয়া সত্ত্বেও যখন মিথ্যা আর সত্য কাঠগড়ায় হাজির হয় তখন মিথ্যার প্রতি সে ঝুকে যায় খুব সহজেই।আবার অনেক আছে সুযোগসন্ধানী।তারা এমনিতে অন্যের বিষয়ে কোন কথা বলবে না কিন্তু যখন কেউ অন্যের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগবে তখন তারা চরমভাবে সোচ্চার হবে যেভাবে মানুষ সোচ্চার হয়েছিলো রেনুকে হত্যা করার আগ মুহূর্তে।
একজন ব্লগারের কথা বলি।আমি একবার কয়েকজন চরিত্রহীন ব্লগারের নাম উল্লেখ করে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের চিনে নেয়।একজন ব্লগার সেই সব চরিত্রহীনদের মাঝে একজনকে বললেন তিনি ধার্মিক ব্যক্তি।আচ্ছা একজন ধার্মিক ব্যক্তি হতে কি লাগে?বোঝার ক্ষমতা, সহনশীলতা,সুন্দর ভাবনা, মিথ্যাকে মিথ্যা এবং সত্যকে সত্য বলার প্রবনতা।এই গুনগুলোর প্রথমটিই ছিলো না তার মাঝে।ব্যাপারটা হচ্ছে আমি লক্ষ্য করেছি, যে কোন একটি কথাকে স্বাভাবিকভাবে বোঝে না,বিকৃত চিন্তার প্রতি সমর্থন যোগায় সে কিভাবে ধার্মিক হতে পারে?এই ধরনের ব্যক্তিগনকে বলা চলে মূর্খ কিংবা গবেট।এরাই অধার্মিক।
আমি মাহমুদুর রহমান।আমার বিরুদ্ধে হাজার কথা বলেও সত্যের পক্ষ থেকে আমাকে একচুল পরিমানও নড়াতে পারবে না।আমাকে ব্লগ থেকে ব্যান করাতে পারবে কিন্তু বাছাধন শেষমেষ জয় কিন্তু আমারই হয়।বিশ্বাস হচ্ছে না?তাহলে নিরপেক্ষভাবে ভাবতে শেখ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০০