বিসমিল্লাহির রহ'মানির রহী'ম
হ্যাঁ, ইসলামে নারীদের পোষাকের কোন রুপ পরিবর্তন হয় নি।মূলত ইসলামে পোশাক পরিধান করার বিষয়ে মোট ছয়টি নির্দেশনা আছে।এবং তা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সমান।
১মঃ নারীদের জন্য সারাদেহ ঢেকে রাখতে হবে।(অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে,শুধু মুখমন্ডল ও হাতের কব্জি খোলা রাখা যাবে)।পুরুষদের জন্য নাভি থেকে টাখনুর উপরীভাগ পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে।
২য়ঃ পোষাক এমন হওয়া যাবে না যা শরীরের গঠনকে প্রকাশ করে।
৩য়ঃ পোশাক পাতলা বা স্বচ্ছ হওয়া যাবে না যাতে ভেতরের অংশ দেখা যায়।
৪র্থঃ এমন চাকচিক্যময় হওয়া যাবে না যাতে অন্যরা আকর্ষণ লাভ করে।
৫মঃ অমুসলিমদের ধর্মীয় প্রতীক হওয়া যাবে না।
৬ষ্ঠঃ বিপরীত স্বভাবের কারো পোশাক পরা যাবে না।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর অধিকাংশ অন্যান্য ধর্মীয় কিতাবে রয়েছে।মূল কারন হলো, পর্দা করার মাধ্যমে হৃদয়ের পবিত্রতা অর্জন করা সম্ভব। পর্দার এই সুফল স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেনঃ
এই বিধান তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। (সূরা আহযাব (৩৩) : ৫৩)
আপনি আধুনিক বিশ্বে উন্নতদেশগুলো আর ইসলামি শাসন ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠিত এমন দেশগুলোর দিকে তাকান।দেখবেন যে দেশে ইসলামি শাসন ব্যাবস্থা আছে সে দেশে ইভটিজিং,ধর্ষণ, ব্যাভিচার এগুলো খুবই কম।কিন্তু যেসব দেশে ইসলামি শাসন ব্যাবস্থা অপ্রতিষ্ঠিত সেসব দেশে এসব অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটেই চলেছে।ফলে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা।ক্ষয় হচ্ছে মূল্যবোধ।মানবতা যেন ধূলিস্যাত হয়েছে সেসমস্ত দেশে।
সুতরাং মানবসমাজকে পবিত্র ও পঙ্কিলতামুক্ত রাখতে পর্দা-বিধানের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে বর্তমান সমাজের যুবক ও তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা ও নারীজাতির নিরাপত্তার জন্য পর্দা-বিধানের পূর্ণ অনুসরণ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামের ডায়েরী থেকে
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২১