প্রাপ্তবয়স্ক যুবক ও যুবতী যদি সন্তান প্রজননে সক্ষম হয়ে থাকেন এবং তারা যদি সিদ্ধান্ত নেন তারা নতুন কোনো শিশুকে এই গ্রহের আলোর মুখ দেখাবেন, তবে তারা যৌনমিলনের সময় সব ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি থেকে নিজেদের সাময়িকভাবে দূরে রাখেন।অর্থ্যাৎ তারা স্বাধীনভাবে যৌনমিলনের মাধ্যমে শিশু জন্মদানে ভূমিকা রাখেন।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অনেক যুবক ও যুবতী বা পুরুষ বা মহিলা প্রচলিত পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম, অথচ তারা চান সন্তানের পিতামাতা হতে।এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এই সকল সন্তান উৎপাদনে অক্ষম দম্পতিদের পিতামাতা হওয়ার সুযোগ করে দিতে এগিয়ে এসেছেন টেস্টটিউব পদ্ধতির সুবিধা নিয়ে।তাই সন্তান উৎপাদনে অক্ষমরা এখন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তাদের পছন্দের ও বিশস্ত ডাক্তারের কাছে ছুটে যান।যা খুবই স্বাভাবিক।
কিন্তু রাজনীতিতেও যে টেস্টটিউব বেবি জন্মদানের মত ঘটনা ঘটতে পারে তা আগে জানা ছিলো না। সাম্প্রতিক কালে জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। বিশেষ করে আজ রবিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি সংবাদ এরশাদ ও রওশনের রাজনৈতিক টেস্টটিউব পিতামাতা হওয়ার চেস্টার বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে। সংবাদটি হল এরকম '' জাতীয় পার্টি কেবিনেট থেকে তাদের দলীয় সদস্যদের সরিয়ে আনবে। আর এজন্য প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের জন্যে দেখা করার অনুমতি চেয়েছেন।''
বিষয়টি আমাকে খুব আনন্দ দিয়েছে, কারণ একটি রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অনুমতির জন্যে আর একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের অনুমতি বা পরামর্শ নেবেন। কি হাস্যকর না। যাক আমরা তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে টেস্টটিউব পিতামাতা ও রাজনৈতিক টেস্টটিউব ডাক্তারের দেখা পেলাম। দেখা যাক , আর কতদিন রাজনৈতিক টেস্টটিউব বাবা -মা ডাক্তারের পরামর্শে তাদের টেস্টটিউব বেবিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৩