এফ-৩৫এ আমেরিকার তৈরি যুদ্ধবিমান। যা এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের আকাশ যুদ্ধের জন্য ভয়ংকরতম বিমান হিসেবে পরিচিত।সম্পূর্ণভাবে অশনাক্তযোগ্য এই বিমানের গতিবিধি কোনোভাবেই চিহ্নিত করা যাবে না এবং যে কোনো অবস্থায় এটি সব ধরনের যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে ইচ্ছামাফিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে।নিঃসন্দেহে আকাশ যুদ্ধে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এফ-৩৫এ বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।আকাশ প্রতিরক্ষায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীর বেশির দেশই এধরনের যুদ্ধবিমান তাদের বিমান বহরে যুক্ত করতে মুখিয়ে থাকবে।বাংলাদেশও তার ব্যক্তিক্রম নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের যোগ্যতা বেশিরভাগ দেশের বিমান বাহিনীরই কিন্তু নাই। তাই হুট করে ইচ্ছে থাকলেও এধরনের বিমান ক্রয় বড় ধরনের অপচয় বা বুমেরাং হিসেবে চিহ্নিত হবে।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের অর্ধশিক্ষিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দুর্নীতিবাজ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা স্বস্তা আবেগ ও আর্থিক সুবিধা লাভের আশায় অনেক সময় দেশের সাধারণ মানুষের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্জিত অর্থ নিজের জ্ঞান করে সাগরে ঢেলে দেয়ার মানসে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান ক্রয় করেন, অথচ এই দানব সাইজের যুদ্ধবিমান রক্ষণ ও পরিচালনার পর্যাপ্ত লোকবলই তাদের নেই। ফলশ্রুতিতে দেখা যায় বছর কয়েক পরে এসব দানব বিমান অচল হয়ে পড়ে আছে। মিগ-২৯ বিমান হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
তাই এ বিষয়টি কিন্তু পরিস্কার অত্যাধুনিক যন্ত্র থাকলেই হবে না, সেটা চালাতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ থাকা চাই।প্রশিক্ষণবিহীন কাউকে যত আধুনিক যন্ত্রই দেয়া হোক না কেন ,তাতে কার্যকরী কোন ফল পাওয়া যাবে না। এটা অনেকটা রাজনীতির ময়দানে আনকোরা , অনভিজ্ঞ কাউকে নির্বাচনী যুদ্ধে নামিয়ে দেয়ার মত। দেখা যাবে আনকোরা ও অনভিজ্ঞ নেতৃত্বের হাতে পরে বিপুল জনপ্রিয় ব্রান্ডিং প্রতীক জনগণের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়।অথচ অনেক প্রতিবন্ধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভেবে থাকেন একটা জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্রান্ড কারো হাতে তুলে দাও , সে পরিচিত , অপরিচিত , অভিজ্ঞ , অনভিজ্ঞ ,ইমেজ সম্পন্ন হোক বা নাই হোক, বিজয় তার নিশ্চিত।কিন্তু তারা ধারণাই করতে পারেন না,তাদের আবেগমিশ্রিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে বাধ্য। কারণ প্রশিক্ষণ বিহীন কাউকে দিয়ে যেমন অত্যাধুনিক বিমান চালানো যায় না, তা এফ-৩৫এ হোক বা মিগ-২৯ যাই হোক না কেন ,তা মুখ থুবরে পড়বেই। তেমনি অনভিজ্ঞ , আনকোরা ও অপরিচিত কাউকে দিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে জেতা যায় না। তা অসম্ভব জনপ্রিয় রাজনৈতিক প্রতীক নৌকা বা ধানের শীষ যাই হোক না কেন। নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী ফলাফল দেখে অন্তত তাই মনে হয়েছে।
তাই যেসব রাজনৈতিক নেতৃত্ব শুধুমাত্র দলীয় প্রতীক যে কারো হাতে (অর্থ্যাৎ যদু , মধু , কদু ) তুলে দিয়েই মসনদে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর, তারা ঘুমিয়েই থাকুন !
কারণ ঘুম ভাঙলেই যে, আপনাদের স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে যাবে!!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬