যে শিক্ষার প্রয়োগ আমাদের দেশে সম্ভব নয় , সেই শিক্ষা দিতে রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের শ্রমে ,ঘামে ,অর্জিত ট্যাক্সের অর্থ ব্যয় নিঃসন্দেহে অপচয়!যে শিক্ষা বা শিল্প চর্চা করতে গেলে বা প্রয়োগ করতে গেলে একদল ভোট ব্যবসায়ীদের কাছে মাথানত হাটু গেড়ে হাতজোড় করে অনুমতি প্রার্থনা জানাতে হবে, সেই শিক্ষার খুব কি প্রয়োজন আছে ? ? না, সম্ভবত নাই ! অতএব , ভাস্কর্য যখন আমাদের দেশে তথাকথিত ধর্ম ও ভোট ব্যবসায়ীদের কাছে এতই অচ্ছুত, তাই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভাস্কর্য শিক্ষা বন্ধ করে দেয়া উচিৎ !!!
তাতে অন্তত আমাদের দেশের তথাকথিত প্রগতির মুখোশপড়া ভোটব্যবসায়ীদের ভণ্ডামি'র হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে !!
বিঃদ্রঃ ভাস্কর্য শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মীয় প্রধান দেশেই নয়, বিশ্বের অনেক ইসলামিক রাষ্ট্রেও দেখা যায় এমনকি সৌদি আরবের মত ইসলামিক রাষ্ট্র যেখানে শরিয়া আইন চালু আছে, সেখানেও ভাস্কর্য দেখা যায়। যেমন , গতবছর সৌদি আরবের ৮৬তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের ২১৬ বর্গমিটার উচ্চতার সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি উন্মোচন করা হয়েছে। যার নির্মাতা ও সৌদি চিত্রশিল্পী মোহাম্মদ আসিরি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি হিসেবে সালমানের ছবিটিকে স্বীকৃতি দিতে ইতোমধ্যে গিনেজবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে সৌদি শিক্ষা বিভাগ।
সংযুক্তিঃ আমাদের দেশে যারা ভাস্কর্য নিয়ে বিভিন্ন সময় তোলপাড় সৃষ্টি করেন তাদের অতিপ্রিয় চেতনাগত তাত্ত্বিক মোড়ল দেশ তুরস্কের আনাচে কানাচে শত শত ভাস্কর্য বা মুর্তি স্থাপিত আছে। শত শত বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা ধর্ম ও বর্ণের মানুষ সেইসব ভাস্কর্য দেখতে ছুটে আসেন। এসকল ভাস্কর্যের অনেকগুলোই আবার মসজিদের সামনে স্থাপিত। মজার বিষয় হচ্ছে সেগুলোতে কিন্তু কালো কাপড়ে ঢাকতে হয় না !!
মন্তব্যঃ আমাদের অতি ধর্ম ও ভোটব্যবসায়ীরা নিশ্চয়ই এর প্রতিবাদে ভবিষ্যতে সৌদি আরবে হজ্জব্রত পালন থেকে বিরত থাকবেন!! যতদিন বাদশাহ সালমানের মূর্তি ভেঙে উচ্ছেদ না করবে !!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১:০৭