প্রথমত,
সম্প্রতি আল্লামা সাঈদীর ভয়েস নকল করে "সাঈদী এবং তার দুসর্ম্পকের নাতনীর ফোনসেক্স" নামে একটি ভুয়া অডিও ফেসবুক এবং ব্লগগুলোতে ছেড়েছে নাস্তিকরা। আমরা এই জঘন্য মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। অডিওটিতে দেখা যায় একজন পুরুষ মানুষ সাঈদী সেজে একটি মেয়ের সাথে জঘন্য কিছু কথা বলছে এবং সাঈদীর মাহফিলের ব্যাপারেও গল্প করছে। নাস্তিকরা জাতে তাল হলেও তালে কিন্তু ঠিক আছে। ষ্কাইপি কথোপকথন ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তাদের মাথায় আগুন লেগেছে। এখন মরন কামড় দিচ্ছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই নতুন নাটক। মানুষ কতটা জঘন্য হলে এমন একজন মহান ব্যাক্তিকে নিয়ে এরকম একটি অডিও বানাতে পারে? তারা কি জানেনা সত্যের
সামনে মিথ্যা নিতান্তই অসহায়। নাটক সাজাবি সাজা তাই বলে সাঈদীকে নিয়ে সাজাতে হবে? মানুষ কি এতই বোকা? এই যুগে যেখানে ভিডিও পর্যন্ত নকল করা যায় সেখানে এটাতো অডিও!! একজন
মানুষের ১০জনেরও বেশী অভিনেতার কন্ঠ নকল করার রেকর্ডও আছে!! তারা এটার জন্য শুধু তাদের মত চোর- বাটপারদের সমর্থন পাবে। কোন ভালো মানুষের সমর্থনতো পাবেই না উল্টো তাদের প্রতি মানুষের ঘৃনাটা বাড়বে। পরকালের কথাতো বাদই দিলাম। ফেসবুকে অনেকেই এমন অডিও আপলোড করবে এটাতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারন নাই। যে পেজে এমন ভিডিও দেখবেন সাথে সাথে পেজ আনলাইক দিয়ে ওই পোষ্টে একটা রিপোর্ট করে চলে আসবেন, ভুলেও কোন কমেন্ট
করবেন না এতে তাদের প্রচার বাড়বে। আমার মনে হয়না কোন সংবাদপত্র এটা প্রচারের সাহস পাবে। প্রচার করলে প্রমান দিতে না পেরে চিরদিনের জন্য ফেঁসে যাবে নিজেই!! শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাচারগুলোর জন্য মহা পরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রাখলাম। তিনি নিশ্চই সত্যকে বাচিয়ে রাখবেন। আল্লাহ আল্লামা সাঈদীকে সকল ষরযন্ত্র থেকে হেফাজত করুন এবং দ্রুত আমাদের
মাঝে বীরবেশে ফিরিয়ে দিন। আমীন!!
দ্বিতীয়ত,
যাঁরা যাঁরা অদ্যকার আল্লামা সাইদীর নামে বানোয়াট ফোনালাপ শেয়ার করছেন তারা কেউই কিন্তু ছাগু না, তারা ধর্মগাধাও না, হুজুগে আলকাতরা নতুন লুংগীতে টোকোর পাইতা নেয়ার লোকও না, চিলের পিছে অলীক কানের খোঁজে দাবড়ে ফেরা লোকও তারা না। তবে তারা কারা ? কারা তারা ? তারা হল জলাতঙ্কগ্রস্ত বিদগ্ধ কুকুর। কামড়ানো ছাড়া যাদের আর কোন ও কাজ নেই। কি কামড়চ্ছে , কাকে কেন কামড়াচ্ছে জানে না। শুধু জানে কামড়াতে।
অনিয়ন্ত্রিত ইগো মানুষকে কিভাবে খেলো করে ফেলে ! বানোয়াট ফোনালাপের লিংক শেয়ার করে কাউকে হেয় করার মাঝে যে নৈতিক দেউলিয়াপনা নিহিত তা এই জলাতংকে আক্রান্ত কুকুরেরা টের পায় না যদিও কুকুরদের কিছু কিছু অনুভুতি খুব প্রখরই হয়ে থাকে।
======== ডাঃ মাহবুবুর রহমানের ওয়াল থেকে==========
তৃতীয়ত,
সাঈদীর ফেইক অডিও বানানো বলদগুলো যে ভুলটি করে ফেলছে...
ব্লগ এবং ফেসবুকে সাঈদীর ফেইক অডিও যারা ছেড়েছে তার বেশ কয়েকটি অডিও বেশ নিখুঁত ভাবে বানালেও একটি অডিওতে মারাত্মক ভুল করে ফেলেছে ।
আসুন কোন অডিওতে ভুলটা করেছে সেটি দেখি ।ভাল করে কথপকথনটা পড়বেন এবং ব্যাকেটের বাক্যগুলো মাথায় রাখবেন।
সাঈদী:আসসালামু আলাইকুম।
অপর জন:আসসালামু আলাইকুম।
(লক্ষ্য করুন দুইজনের কেউই সালামের জবাব দেয়নি )
সাঈদী: তোমার কান্না এবং মোনাজাত শুনলাম।
অপরজন :প্রচন্ড কেঁদে উঠে হুজুর এত মানুষের ভিড় আল্লাহ যেন ঐ মানুষের উছিলায় এই দোয়াটা কবুল করে ।সমস্ত তাফসির মাহফিল যেন আল্লাহ আমাদের ভিক্ষা দান করে দেন।আজকে এত মানুষের ঢল।হাজার মানুষের উছিলায় খয়রাত দেয় আমাগো।
( একটু আগেও যে লোকটা একদম সাবলীল ভাবে কথা বলেছে সেকেন্ডের ভেতর লোকটা বুক ফাটা কান্না করে ফেলেছে)
সাঈদী: তাহাজ্জুতের নামাজের সময় বলবা.....
অপরজন: সাঈদী জিতাবে আপনাকে জিতাবে ।আপনারে জিতাবে না তো কারে জিতাবে ।ইনশল্লাহ জিতবেন ।আমি কাবাঘর ধরা এখন!
হা হা হা হা চরম ভুলটা করে ফেলেছে এখানেই। পরিচিত এক বড় ভাইয়ের অভিজ্ঞতা বলছি।
উনি ২ বার উমরা করেছেন। ২বারের মধ্যে মাত্র একবার কাবাঘরেরর পাশ ঘেষতে পেরেছেন এবং তাওয়াফ করার সময় কাবা শরীফে হাত লাগাতে পেরেছেন খুব অল্প সময়ের জন্য।কারণ,এত এত ভিড় এবং সবারই এত এত আগ্রহ থাকে যে কাবা শরীফকে ছোয়ার কোন ভাবেই ১-৩ সেকেন্ডের বেশী কাবা শরীফ ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকা যায় না। আর সেখানে একজন লোক কিনা কাবা শরীফ ধরে সাঈদীর সাথে ৩ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড কথা বলবে ?
কাবা শরীফে ছোঁয়া অবস্থায় একটা মানুষ ৩ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড কথা বলল, অথচ হাজার হাজার মানুষের তাওয়াফের কোন শব্দ আসল না?
সাঈদী যার কিনা বেশ কয়েকবার মক্কা শরীফে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে সে সাঈদী ফোনে আরেকজনের কান্না শুনবে ?
আরো সহজে বুঝার জন্য লিংক গুলো দেখুন-
০০১
http://sonarbangladesh.com/blog/summer/14224' target='_blank' >০০২