somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈদ শুভেচ্ছা

১৩ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছোট্ট এক জীবনের প্রতি পরতে পরতে মিশে থাকা আনন্দের মাঝে ঈদ আনন্দ সব চাইতে বর্ণীল। স্মৃতিতে থাকা শৈশব থেকে শুরু করে আজকের করোনা কাল। কতরূপে নানাঢঙে রঙধনু হয়ে ছুঁয়ে গেছে যে ঈদ! সব উচ্ছ্বাস মিলেমিশে ঐকতান। তবে সব স্মৃতির মাঝে আইসিং অন দ্যা কেক হয়ে আছে শৈশবদের ঈদ।

আমার মনে থাকা শৈশব আমি কাটিয়েছি পুরানো ঢাকায়। চাঁন রাত হচ্ছে সারাজীবন ই ঈদের শুরুর আরেক ঈদ! তারাবী নামাজের পর শুরু হত তারাবাতি, মেহেদী আর পটকার ফুলঝুরি। পুরানো ঢাকায় রোজার আমেজ শুরু হত শবে বরাত এর এক সপ্তাহ আগে থেকে, ঝিল্লী শুকায়ে মরিচা বাতি বানিয়ে প্রতিদিন রোদে শুকানো, তারাবাতির কালেকশন। আর শবেবরাতের রাতে পাতার বাটিতে তেহারি। এমন বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে রোজায় দিন শেষে সবচাইতে আনন্দ জমা ছিল গামলা ভর্তি বাঙ্গি লেবু’ র শরবতে। বোম্বাই জিলাপির টুইটুম্বুর রসে। দুই টাকার বরফ কিনে আনা যেন এক একদিনের সাফল্যের মানদণ্ড ছিল বন্ধু বান্ধবদের কাছে।

ধুপখোলা মাঠে রোজার ঈদে সাত দিন আর কোরবানির ঈদে তিন দিনের মেলা বসত। আমার শৈশবের ঈদ আনন্দ সেই মেলার লাল নীল কাঁচের চুড়ি, মাটির হাড়ি বাসন। নাগর দোলায় এখনও স্মৃতি’র দোলনায় ঝুম ঝুম আনন্দ। নতুন জামা জুতা নিয়ে ঘুমের স্মৃতি অনেকেরই। কত কষ্টে নতুন জামার নকশা আর রঙ কে লুকাতে হত। ছেলেরা যেমন মরিচা বাতির জন্য মশলা সংগ্রহ করত, তেমনি বড় আপুদের দেখতাম কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে রাখত। চাঁন রাতের দিন দুধের সর কাচাঁ হলুদ আর কমলার খোসা বেটে রাখত, সকালে গোসল করার জন্য। ভোর রাতে উঠে গোসল সেরে নতুন জামা জুতায় সাজতাম। মায়ের রান্না ঘরে ততক্ষনে মৌমৌ সুবাস! প্রিয় বন্ধুদের সাথে এরপর দে ছুট। ঈদের দিন মসজিদের সামনের রাস্তা সহ আশের পাশের সমস্তটা জুড়ে ঈদের জামাত হত, আমি ছাদে না হয় বাসার পাশের বারান্দায় অপেক্ষা করতাম নামাজ শেষ হবার। সবাই মিলে একসাথে সেজদা দেয়ার দৃশ্য ছিল অপার্থিব অনুভূতি।

এখনকার এই ভার্চুয়াল ঈদ নিয়ে কি ই বা বলার আছে? রোজার ঈদ, কোরবানির ঈদ সব ঈদ ই এখন কোভিড ঈদ ! আমাদের জীবন সময় আনন্দ সবকিছুই কেমন এক ফ্রেমে আটকে আছে। দিন শেষে এটুকু ভাবতে ভালোলাগে পরের বছর নিশ্চয়ই আমরা একটা স্বাভাবিক সময়ে ফিরে যাবো। হ্যাঁ নিশ্চয়ই ফিরবো।

ঈদ মোবারাক সবাই কে !
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৫৫
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×