দিনের শেষে প্রিয়বন্ধু হয়ে থাকে একজন' ই
- স্নানঘরের দর্পণ
যে দর্পণে তুমি নিজে পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দরী রাজকন্য হয়ে র'বে
কনে সাজে তুমি, অথবা মাতৃত্বের জ্বরতপ্ত বিষণ্ণ মুহূর্ত -
মাঝ রাতের নীরবতা অথবা স্নিগ্ধ ভোর,
সে চোখেই ফুলেফুলে নিষ্পাপ তুমি
আরশি তে ভাসা সে দৃষ্টি, উদাসী সময়ের সুখ ডাক দেয়।
বাঁধভাঙ্গা কান্নার জোয়ার সে কখনো রুখবে না
কান্নারত কষ্টের ছায়া আঁকা ঠোঁটে,
কেউ খুঁজবে প্রেম কেউবা বিরক্তি কেউকেউ দেবে সান্ত্বনা
আরশিতে শুধু ভেজা শ্রাবণের রাশিরাশি জুঁই।
তোমার হাঁসিতে সমস্ত স্নানঘরে সে উচ্ছ্বাসের বাষ্পের অনুরণন আনবে,
যেদিন তোমার খুব করে পাহাড় দেখতে মন চাইবে, অথবা অরণ্য
চোখের কোনের সে স্বপ্ন প্রতিফলিত করবে উদার আহ্বানে।
গোলাপ অথবা ল্যাভেন্ডরের ঘ্রাণ নিয়ে
সমস্ত দিনশেষের ক্লান্তি মোছার ছবি আঁক তাতে যতনে
তোমার জন্য অপেক্ষার সমুদ্র বিছিয়ে রাখে তার অপার মুগ্ধতায়,
চায়ে আর কফিতে মন কথা খুলে বল যে নির্জনতায়, খুব জেনো
নয় সে মনের আঁচল মেলার একান্ত উঠোন।
সেই আঠারো'র অভিমানী দুকুল ছাপানো আবেগ
চব্বিশের শাড়ি সামলানো নবোঢ়া
তিরিশের ভরা সংসারের ব্যস্ততা
অথবা পঞ্চাশ পেরুনো নিঃসঙ্গতা -
আরশি! সে তোমাকে ভরসা দেবে সাহস যোগাবে,
ভর্ৎসনা সইবার অবসর টুকু আর
এন্টিসেপ্টিকে ক্ষত ধুয়ে নেবার নিগূঢ় রহস্য দেবে উন্মুক্ত করে।
ঝরা পাতা দিনে মলিন সে শুষ্ক পত্রে
আগুনের ফুলকি থেকে, আগুনের ফুল হয়ে উঠার মন্ত্র ও
স্নানঘরের আয়না সেই তোমার পরম বিশ্বস্ত বন্ধু
আদতে সে আসলেই যে তুমি নিজে,
নিজের চেয়ে কাছের বন্ধু আর কে থাকে বলো!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০