somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোলার কোকার অনেকাংশেই জ্বালানী চাহিদা পূরণে সক্ষমঃ পর্ব-১

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিদ্যুত নিয়ে সরকার খুব ভালো নেই। শীতকাল আসছে বলে কিছুটা রক্ষা। আগামী গ্রীষ্মের আগে খুব আশাব্যঞ্জক কিছু না করলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া
কষ্টকর হয়ে পড়বে। এনার্জি সেভিং ল্যাম্প সরবরাহ করা হচ্ছে- এটা খুবই ভাল একটি উদ্যোগ। তবে ল্যাম্প উন্নতমানের না হলে কিন্তু এর খারাপ প্রভাব পড়বে পুরো বিদ্যুত সিস্টেমে।
হারমোনিক্স add হয়ে সিস্টেমের বারোটা বাজাতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে এনার্জি নিয়ে খুবই কথাবার্তা চলছে।
তবে সবসময় যা হয় তা-ই হচ্ছে বলে মনে হয়। ব্যবসায়ী, আমলা, অর্থনীতিবিদ আর আইনজীবিদেরকেই বেশি দেখছি এ ব্যাপারে কথা বলতে।
সব জায়গায় একই মানুষকে দেখলে রাগ লাগে-ভন্ডামীও মনে হয়-এরা সবখানেই ধান্ধা খুজে বেড়ায়। সরকারই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুযোগদাতা।
সব কিছুতে ব্যাবসা করলে হয় না- বিদ্যুত নিয়েও যদি করা হয় তাহলে এর ফল খুব ভাল হবে না ভবিষ্যতে।

কিভাবে কি করলে দেশের বিদ্যুত মানে এনার্জির উন্নতি হতে পারে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে টকশো গুলোতে।
আমিও একটু তেলে ঘি ঢালতে চাচ্ছি। অনেক দিন ধরেই লিখব লিখব বলে আর লিখা হচ্ছে না। তা যাই হোক- শুরু করি।

যেকোন দেশের জন্যে এ মুহূর্তে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এনার্জি। জ্বালানী নিয়ে কমবেশি সব দেশই চিন্তিত। বাংলাদেশ কতটুকু চিন্তা করছে তা
ঠিক বুঝা যাচ্ছে না। এ কথাটি এ কারণে বললাম যে- এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোন গাইডলাইনই তৈরী হয়নি।
তবে যত দিন যাচ্ছে ব্যাপারটি ততই প্রকট আকার ধারণ করছে। ইউরোপিয়ান দেশগুলো অনেক আগে থেকেই রিনিয়্যুবল এনার্জি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তারা অনেক ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে। আর রিনিয়্যুবল এনার্জি
আমাদের বিদ্যুত সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু এ এনার্জির একটা বড় সমস্যা হচ্ছে এর প্রাথমিক খরচ কোনভাবেই কমানো যাচ্ছে না। কমানোর নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত
রয়েছে। বাংলাদেশেও এ নিয়ে ছোটখাট কিছু কাজ হচ্ছে।

প্রাথমিক খরচ কিংবা পরবর্তী অপারেটিং cost যাই বলি না কেন বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি এ এনার্জি গ্রহণে সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয়-মূলত অর্থনৈতিক কারণে। আমাদের যে পরিমান গ্যাস রয়েছে তাতে খুব বেশিদিন যাবে না যদি না কোন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়। এ ব্যাপারটি মনে হলে আমি
আতকে উঠি। চিন্তা করতে কষ্ট হয় যে কিভাবে দিন কাটাব যদি সত্যিই এমনটি হয় যে ঢাকা শহরের বিশ কিংবা পচিশ তলায় গাছের লাকরি
দিয়ে রান্নাবান্না করতে হবে। পুরো শহর ছেয়ে যাবে ধুয়ায় তখন-সন্ধ্যার পর পরই পুরো শহর হয়ে যাবে এক অন্ধকারের নগরী। কেননা তখনতো
বিদ্যুতও থাকবে না। এ কথাগুলো পড়তে কিংবা লিখতে ইচ্ছে করে না। আমি চাইও না এমনটি কোনদিন হোক। তবে তার জন্য অনেক কাজ করতে হবে সবার।

আমাদের মূল্যবান গ্যাস সম্পদকে কিভাবে বাচিয়ে রাখা যায় তার একটা ছোট্ট উপায় খুজে পেয়েছি। আর তাই তা সবার সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি।
আমি বিভিন্ন কারনে এনার্জি রিলেটেড নানা ফোরামের সাথে জড়িত।
কিছুদিন আগে জানতে পারলাম- আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এমনকি আমাদের প্রতিবেশি ভারতেও 'সোলার কোকার' দারূন জনপ্রিয় একটি প্রযুক্তি। এটিই একমাত্র সৌর প্রযুক্তি যেখানে অনেক কম খরচে জ্বালানী চাহিদা পূরণ সম্ভব। এবং এর manufacturingও খুব সহজ। যে কেউ ইচ্ছে করলেই বানাতে পারবে।

আমরা সবাই আশা করব এ প্রযুক্তিটি যত দ্রুত সম্ভব আমাদের দেশে জনপ্রিয় করে তুলতে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
এতে কিছুটা হলেও গ্যাসের উপর চাপ কমবে। আর উত্তরাঞ্চল যেখানে এখনো গ্যাস যায়নি কিংবা যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই সেখানে তো সোলার কোকার খুব ভালভাবেই শুরূ করা যায়। আমাদের দেশের আরেকটা বড়
সুবিধা হল আমরা যেহেতু বিষুবরেখার সরাসরি নিচে তাই সারাবছরই রোদ পাই এবং তা প্রায় বারো ঘন্টার মত প্রতিদিন। তাই আমরা ইচ্ছে করলেই সোলার এনার্জি বেশি capture করতে পারি।
আশা করি সময় থাকতেই আমাদের কর্তাব্যক্তিরা এ ব্যাপারে একটু সজাগ দৃষ্টি দেবেন।

আগামী পর্বে সোলার কোকারের নানাদিক তুলে ধরব ইনশাল্লাহ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×