somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দস্যি মেয়ে

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




কিরে কই ছিলি সারাদিন? চিৎকার করে আমিনার মা রাবেয়া আমিনাকে জিজ্ঞাসা করল।
-কই আবার থাকব, আমার কি আর থাকার জায়গা অভাব আছে নাকি? আমিনা হি হি উত্তর দিল। ছিলাম মনিদের বাড়ি, বিউটিদের বাড়ি, পপিদের বাড়ি, পরে সাবই মিলে ঘুরতে গেছি।
-আচ্ছা মা তুই এখন বড় হইছস না? তোর কি এখন আর এভাবে বনে-বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়ানো চলে? লোকে যে মন্দ বলে।
-লোকের কথায় আমার কাজ নেই আমার যেমনে ইচ্ছা আমি সেমনে চলব, তাদের কি? বেটা বেটিদের খালি পিলপিলায়। মা দেখ তোমার জন্য তেঁতুল আনছি।
- তেতুল! চমকে গিয়ে রাবেয়া জিজ্ঞাসা করল, তেঁতুল পাইছিস কই?
- কেন? পোড়া বাড়ির সামনে তেঁতুল গাছটা আছে না, সেটা থেকে ।
- ওরে মা রে! সর্বনাসী মেয়ে তোর কি ডর ভয় কিছু নাই? সেখানে কত্ত কি ভয়ংকর কি না কি থাকে!লক্ষ্মী মা আমার আর যাস না সেখানে।
- কই মা, আমি তো কখনো কিছু দেখি নাই, বিউটিরাও দেখে নাই। খালি আজাইরা কথা। আমি ওসব বিশ্বাস করি না। যাও তো হাত মুখ ধুয়ে খাব, খুব ক্ষুধা লাগছে।
- তোর আজ রাতের জন্য ভাত বন্ধ, কোন ভাত নাই।
-ওহু, বললেই হল, ভাত নাই। আমার জন্য যে রান্না করছ সেটা খাবে কে শুনি?
- বিড়ালে খাবে তা-ও তোকে দিব না।
- আচ্ছা খাব না। তোমার ভাত বিড়ালকেই খাওয়াও। লাগবে না তোমার ভাত আমার।
-শুন্, শুন্, এই মেয়ে শুন্। শুন্, নারে বাবা, এই মেয়েকে নিয়ে আমি আর পারি না। আমাকে জ্বালিয়ে মারল মেয়েটা। আরে তোদের আবার কি হল? চল হাত মুখ ধুয়ে দেই। মা রেগে দিয়ে আমিনার দুই ভাইকে বলল।

আমিনা সবার বড়। বাবার কিছু জমি আছে, তাতে ওদের সংসার ভালই চলে। আমিনা ক্লাস এইটে পড়ে। ভাই একটা পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে আর একটা ৫ম শ্রেণিতে। আর সবচেয়ে ছোট টা তো থাকে সারাদিন কোলে।

কি ব্যাপার আমিনা কই? আমিনার বাবা আমিনুর জিজ্ঞাসা করল রাবেয়াকে।
-আজ আমিনার ভাত বন্ধ।
-মানে?
-আজ আমি তাকে খেতে দিব না।
-কেন? কি করেছে আমার মেয়ে? সে কি হিন্দু ধর্মের অন্য পাপ করেছে। হি হি করে হেসে পড়ল আমিনুর। -ওই, খবরদার ওমন করে হাসবে না। তোমার জন্য মেয়ে এমন দস্যি হয়েছে। সারাদিন টই টই করে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়ায়। নাওয়া নেই, খাওয়া নেই, মেয়েটা তোমার একবারে বাঁদড় হয়ে গেছে।
-আরে ছোট মেয়ে এ বয়সে একটা আধটু দুষ্টামি করবেই।
-হু, এভাবেই মেয়েকে আশকারা দিচ্ছ তুমি; দেখ একদিন পস্তাবে, হ্যা।
-বুঝছি এখন যাও মেয়েকে ডেকে নিয়ে এস। -
-পারব না তুমি যাও। -
-আচ্ছা আমিই যাচ্ছি।

-কিরে মা কি করিস?
- কিছু না, বাবা। আস, বস।
- চল্ ভাত খাবি।
-না বাবা, আজকে আমার ভাত বন্ধ।
-কে বন্ধ করেছে তোর ভাত?
কেন? মা।
-তোর মা কি এ সংসারের কর্তা নাকি যে সে তোর ভাত বন্ধ করে দেবে?
-না, মা কর্তা হতে যাবে কেন? মা তো কর্তী। -
হা হা হা তা ঠিক। চল তো মা আমার খুব ক্ষধা পেয়েছে। তুই না খেলে কি আমি খেতে পারি? চল্ মা চল্।
-আচ্ছা চল, তবে মাকে কিন্তু বকে দিতে হবে।
- ঠিক আছে?

-এলেন বুঝি মহারানী ভিক্টোরিয়া ? মহা রানীর কি রাগ ভাঙল? রেগে গিয়ে রাবেয়া বলল।
-না ভাঙ্গে নাই। বাবা এখন তোমাকে বকবে তারপর রাগ ভাঙবে। -

হু হু হু, বাবা-মা দুজনেই, এমনকি পিচ্ছি ভাইগুলোও হেসে ফেলল। তারপর সবাই এক সাথে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।

আমিনা, ওই আমি না। মনির গলা মনে হচ্ছে।
-কিরে তোরা এত সকালে!
-মনে নেই ?
-ও তাইত; কিন্তু মা তো খুব রেগে আছে আমাকে যেতে দেবে না। উল্টা তোদেরও ঠ্যাঙাবে। কিন্তু জানিস আজকে আমার মাছ ধরতে যেতে খুবই ইচ্ছে করছে। আচ্ছা তোরা সামনে যা আমি আসছি।

অই বুবু কই যাস? পিছন থেকে আমিনার ছোট ভাই ডাকল।
-তা জেনে তোর কি দরকার?
-মাছ ধরতে যাবি তো, আমরাও যাব।
-পিটাব কিন্তু যদি আমার সাথে যাওয়ার কথা বলিস।
-তুই না নিলে মাকে বলে দেব কিন্তু।
-ওহ্ কি পাকা হয়েছিস তোরা। চুপি চুপি চল্, মা যেন টের না পায়।

-কিরে এতক্ষণ লাগে?
-মাকে ফাঁকি দেওয়া কি এক সহজ। -
-ওরা কই যাবে। মনি জিজ্ঞাসা করল।
-আরে ঝামেলা পাকাইছে, বলে না নিলে মাকে বলে দেব। ভালাই হলে হাড়িটা রাখতে পারবে ওরা। চল্ চল্।

আগের মত মাছ নাইরে। সালারা জাল দিয়ে সব মাছ পানি বেশি থাকতেই ধরে ফেলছে। যাই হোক যা পাইছি তা তিন ভাগ করে নেই চল্।
-তোদের বাড়িতে গিয়ে ভাগাভাগি করি চল্।
-না রে, মা এমনিকতই মনে হয় ক্ষেপে আছে।
-আরে কিছু হবে না। চল্।

হঠাৎ করে এক বৃদ্ধকে মাছ ধরতে দেখল। -
-দেখ্ দেখ্ হারু দাদু মাছ ধরছে। দেখে মেনে হয় অনেক মাছ পাইছে। মাত্র এই কয়টা মাছ, তাও আবার তিন ভাগ! কয়টা করে পাবি। দাড়া তোরা সবাই। আমিনা হারু মিয়ার মাছের হারিতে যত মাছ ছিল, সব মাছ তাদের হাড়িতে ঢেলে দিল এক দৌড়। অই ফাজিল মাইয়া আমার মাছ লইয়া কই যাস্? দাড়া আইতাছি বলে পিছন পিছন তাড়া করল হারু মিয়া।

আমিনার মা আমিনাকে খোজতে খোজতে হয়রান হয়ে গেল। সাথে সাথে ছেলে দুইটার কোন খবর নাই । কই যে গেলে সকাল থেকে ছেলে-মেয়ে গুলা! রাগে গজ গজ করতে বলল রাবেয়া। সকাল থেকে কিছু খায়ও নাই। এখন প্রায় দশটা বাজে। হঠাৎ দেখে সবগুলো দৌড়ে দৌড়ে বাড়ির দিকে আসছে। তাদের দেখেই বুঝা যাচ্ছে মাছ ধরতে গেছে। আয় তোরা। আজ তোদের একদিন কি আমার একদিন। সবাই যখন দৌড়ে বাড়ির মধ্যে এসে পড়ল, রাবেয়া লাঠি নিয়ে তেড়ে আসলে বাচ্চাদের দিকে। তখন আমিনার ভাই বলল, মা দেখ কত্ত মাছ ধরছি।
-আজ তোদের সবকটাকে কাঁচা মাছ খাওয়াব। আমারে জ্বালিয়ে মারলি তোরা!শেষ করে ফেললি তোরা। কিন্তু, রাবেয়া কি আর করবে। ছেলে মেয়েদের মুখের হাসি যে তিনিও ভালবাসেন। দেখি কত মাছ পাইছিস। অনেকগুলোই ত। নে ভাগ কর্। বিউটি আর মনি ভাগ কর্। তিনটা ভাগ কর্। সঙ্গে আমিনার ভাইয়েরা চেচিয়ে বলল, আমাদের ভাগ কই? তোদের ভাগ লাগবে না। আমারটাই তোদের, ঠিক আছে? আমিনা মিষ্টি স্বরে বলল। ঠিক আছে বলেই মাথা নাড়ল দুজনেই। দাড়া তোদের মাছ ভাগ করাচ্ছি। হাপাতে হাপাতে বলল হারু। আমুর বউ তোমার এই ফাজিল মাইয়া আমার ডেচকির সব মাছ লইয়া পালইছে। তুমি এর বিচার কর। নইলে কিন্তু...। আর পায় কে আমিনাদের। পরে পরে দৌড়।

রাবেয়ার রান্না বান্না মাত্রই শেষ হইছে। আমিনা তোর বাবা আর দাদুর জন্য খাবার নিয়ে যা। অনেক বেলা হয়ে গেছে। মানুষগুলো কতক্ষণ না খেয়ে থাকব। তাড়াতাড়ি যা, মা। ভাই দুটিকে সাথে নিয়ে যা। আমিনা চলে গেল চকে বাবা আর দাদুর জন্য খাবার নিয়ে। তাদেরকে দেখেই দাদু ক্ষেপে গিয়ে বলল, সারাদিন খালি টইটই করে ঘুরে বেড়াস্। আমরা ক্ষুধায় মরতাছি। আমিনার সেদিকে কোন খেয়ালই নাই, সে দেখছিল বকরীর ছোট ছোট দুইটা বাচ্চা কি সুন্দর তিরিং বিরিং নাচছে। সে গিয়ে বাচ্চা দুটিকে ছোট একটা রশি দিয়ে একটা গাছের সাথে বেঁধে দিল। বাবা ডেকে বলল, কি করিস!কুদ্দুসের মার বকরীর বাচ্চা, তোরে পাইলে পিটাইব নে, ছেড়ে দিয়ে আয়। কে শোনে কার কথা। বাবা আর দাদুর সাথে ভাই-বোনেরাও খেল। খেতে বসে সবার সাথে খেতে নাকি মজাই লাগে?

আমিনা, মনি আর পপি বিউটিদের বাড়িতে যাচ্ছে। হঠাৎ তারা দেখল হালিমদের বাড়ির পেয়ারা গাছটায় রাশি রাশি পেয়ারা ঝুলছে। তারা পেয়ারা পারতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত একটি ডাল ভেঙ্গেই ফেলল। এই দেখে হালিমের ছোট ছেলে দৌড়ে মা মা করতে করতে ঘরের দিকে ছোটে গেল। আমিনা ভাবছে, কাজ হইছে রে! চ্ল্ চল্ বলেই আমিনারা পরে পরে দৌড়।

রাবেয়া আমিনুরকে বলছে এভাবে যদি মেয়ের নামে বিচার আসে তাইলে কিভাবে হবে? আমি এ দস্যি মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেব। বিয়ে না দিলে ওর এ দস্যিপনা কমবে না।
-তুমি কি পাগল হয়ে গেছ, আমিনার মা? মেয়ের সামনে মেট্রিক পরীক্ষা। বয়সই বা কত হইছে? মাস্টাররা তো বলে মেয়ে পড়াশুনায় ভাল। খালি একটু বান্দ্রামি করে। এরকম একটু আধু সবাই করে। তাই বলে তুমি মা হয়ে তাকে এত অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে বিপদে ফেলতে চাও?
-আমার আর ভাল লাগে না ওর নামে বিচার শুনতে শুনতে।

আমিনা দুষ্টামী করলেও এখন পড়াশুনা করছে ভাল। তার চোখে এখন একটা স্বপ্ন আর তা হল ম্যাট্রিকে এ প্লাস পাওয়া। সে পরীক্ষা দিল এবং এ প্লাসও পেল। তার বাবা-মা অনেক খুশি। মা বলল, কিন্তু মেয়ের দুষ্টামী তো এখনো কমল না গো। আমিনুর বলল, বড় হলে নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে।

একদিন কলেজ থেকে আসার সময় আমিনারা দেখল আবুর মা খুব কান্না কাটি করছে। গিয়ে জানতে পারল যে আবু খুব পেট ব্যাথা। মজিবুর ডাক্তার বলছে, সদরের হাসপাতাল নিয়ে যেতে। কিন্তু কোন গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারছেনা। হঠাৎ করে দেখল একটা সিএনজি এদিকে আসছে। থামলে দেখে চেয়ারম্যানের ছেলে। তাকে অনুরোধ করলে সে না করে দেয়। কিন্তু, আবুকে তো বাচাতে হবে। তাই, আমিনারা জোড় করে চেয়ারম্যানের ছেলেকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে আবুকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে এবং ডাক্তার বলছে আর একটু পরে নিলে আবুকে বাচানো যেতে না। পরে যখন বাবা ছেলেকে বকা ঝকা করছে তখন ছেলে বুঝতে পারছে যে সে অন্যায় করছে।

অন্য একদিন আমিনারা কলেজ থেকে ফেরার পথে দেখল দুইটা বখাটে ছেলে হাসীকে বিরক্ত করছে। দেখে তো আমিনার মেজাজ গেল গরম হয়ে। ছেলেগুলোকে প্রথমে অনুরোধ করলে, তারা উল্টা তাদেরও টিজ করতে শুরু করল। এক পর্যায়ে আমিনারা সবাই মিলে ছেলে দুটিকে বেধরক মারধর করে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।

কলেজে পড়তে গেলেও আমিনার দস্যিপনা মোটেও কমে নাই। সেই আগের মতই বিচার আসত বাড়িতে। যদিও সে আগের মত দস্যিপনা করে ঘুরে বেড়ায় তবুও কয়েকটা ভাল কাজ করে গ্রামের মানুষের অনেক ভালবাসা কুড়িয়ে নিয়েছ। এলাকার অনেক মানুষ এখন আমিনাকে আর্শীবাদও করে।

দেখতে দেখতে আমি বড় হয়ে উঠল । এইচ.এস.সি পাস করার পর স্বনামধন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়। কিন্তু, তার মা তাকে কিছুতেই ঢাকায় পাঠাবে না। এটা তার দৃঢ় সংকল্প। তার কারন হিসেবে তিনি দেখান মেয়ের দস্যিপনা। যতদিন বাড়িতে ছিল ততদিন তাকে সে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছে। কিন্তু, দূরেও যদি আমিনা এসব করে তবে কে তাকে আগলে রাখবে সেখানে । কিন্তু, আমিনা যখন তার মাকে কথা দিল যে সে আর দস্যিপনা করবে না এবং সবাই যখন তাকে বুঝাল যে, মা হয়ে মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎটা এভাবে নষ্ট করাটা ঠিক হচ্ছে না, কেবল তখনি তিনি ঢাকায় পাঠাতে রাজী হলেন।

যে দিন আমিনা গ্রাম ছেড়ে ঢাকা আসল সেদিন গ্রামের সবাই তাকে বিদায় দিতে আসল। সবাই একটাই কথা বলছে যে সারা গ্রামটাকে তুই মাতিয়ে রাখতি। এখন যদি তুই না থাকবি তবে গ্রামটা শুন্য হয়ে যাবে। তোর অভাবে গ্রামখানি সত্যিই শুন্য মনে হবে। সেই যে বখাটে ছেলেদের আমিনারা মেরেছিল, তারাও এসেছে। তারা বলল দিদি, তুমি আমাদের কাছে আদর্শ, তুমি আমাদের সঠিক রাস্তাটা দেখিয়েছ। আমাদের ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছ। আমারাও তোমায় দেখে দেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসব পড়তে। আবুর মা তো আমিনাকে জরিয়ে ধরে সেই কি কান্না! আমিনাকে তিনি ছাড়তেই চাচ্ছে না। চেয়ারম্যানের ছেলে এসে বলল আমি তোমাকে দেখে অনেক শিখেছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর্শীবাদ করি অনেক বড় হয়ে তুমি গ্রামে ফিরে এস। আর আমরা সবাই মিলে আমাদের এ গ্রামটাকে সুন্দর করে তুলব।

গ্রামের সবাই আমিনাকে স্টেশন পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এল। বান্ধবীদের কান্নার ঢল-ই থামানো অসম্ভব ছিল, বাবা-মা আর ভাইদের কথা কি বলব। দাদু বলল, গিন্নি আমারে ছেড়ে থাকতে পারবি তো? বুকটা ভেঙ্গে এল কান্নায়। এতক্ষণ অনেক কষ্টে কান্নাটা চেপে রেখেছিল। কিন্তু, সে বাধ আর টিকল না। হাউ মাউ করে মা আর দাদুকে জরিয়ে ধরল আমিনা। কাঁদতে কাঁদতে একসময় ট্রেনে গিয়ে উঠল আমিনা। চোখের জলে সবাই তাকে হাত নেড়ে বিদায় দিল। সে তো আবার ফিরে আসবে তবুও তার জন্য গ্রামের সবাই কেন এত কষ্ট পাচ্ছে? কারো মনের এতটা ভালবাসা কিভাবে এই দস্যি মেয়েটা নিতে পারল!

আমিনা চেয়ে থাকল জানালা দিয়ে যতক্ষণ দেখা গেল সবাইকে।

আমিনার দস্যিপনা কি এখনো আছে ঢাকা বিশ্বকবদ্যালয়ে পড়তে এসে?


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৩
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামাস বিজয় উৎসব শুরু করেছে, ইসরায়েল বলছে, "না"

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮



গতকাল অবধি হামাস যুদ্ধবিরতী মেনে নেয়নি; আজ সকালে রাফাতে কয়েকটা বোমা পড়েছে ও মানুষ উত্তর পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। আজকে , জেরুসালেম সময় সন্ধ্যা ৮:০০টার দিকে হামাস ঘোষণা করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×