somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই হাসিই বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন চাঁদ দেখা হয় না। খুব ইচ্ছে করছে চাঁদ দেখতে। রাতও প্রচুর গভীরতায় ধাবমান। সবাই গভীর নিদ্রায় তলিয়ে। হোস্টেলের এই একটা ভালো গুণ। রাত জেগে তাস খেলা কিংবা অন্য কোনো কাজে রাত জাগা এই হোস্টেলের ছাত্রদের খুব অপছন্দ। অপছন্দ বললে অবশ্য ভুলই হবে। আসল কথা হলো, হোস্টেলে কড়া নজরদারীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাই ঘুম। আমি কম্বলের নিচে মোবাইল টিপছি। অন্যরাও বোধয় তা-ই করছে। তবে বোঝবার উপায় নেই। শীতকাল হওয়ায় ছাত্রদের অনেক সুবিধা। কম্বলের নিচে নিজেদের কার্য সাধন করতে পারছে। আমার মোবাইল টিপতে খুবই বিরক্ত লাগতেছে। ফেসবুক, হুয়াটসাপ ভালো লাগছে না। চাঁদ দেখবো। তবে বের হওয়া মুশকিল। রুমে আমরা চারজন থাকি। খাট দুটো। একটা খাটে বাবু আর শুভ। অন্য খাটে আমি আর সুজন। সুজন আমার পাশেই শুয়ে। বিশাল খাট। কিন্তু সে আমার গা ঘেষে না ঘুমালে বোধয় শান্তি পায় না। হারামীরে মাঝেমাঝে প্রচন্ড ভয় লাগে। যদিও জানি গা ঘেষে ঘুমানোর মধ্যে তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য নাই। খুব ভালো ছেলে। তার সাথেই ভার্সিটিতে প্রথম বন্ধুত্ব হয়। ছেলেটা শুইলেন মরে যাওয়ার মত করে ঘুমাই পড়ে। সে রাত ১১ টায় ঘুমিয়ে পড়বে। সকাল ১০ টার পর ঘুম থেকে উঠবে। দুপুরে আবার ঘুমাবে। কোথা থেকে আসে এতো ঘুম ভেবে পাই না। এই নিয়ে কয়েকবার জিজ্ঞেসও করেছিলাম।
- সুজন তুই এতো ঘুম কই পাস? এতো বেশি ঘুমের মধ্যে কি এমন মজা?
ছেলেটা সারাক্ষণই হাহাহা করে হেসে আমার প্রশ্নগুলো উড়িয়ে দেয়। উড়িয়ে দেয় কথাটা বলতেই একটা মজার কথা মনে পড়ে গেলো। সুজনের মুখে উড়িয়ে দিবো কথাটা আঠার মত লেগে থাকে। যেমন, যখন কারো সাথে তার ঝগড়া হয় তখন সে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে পারে না। বিভিন্ন ক্যাটাগরির মাতৃভাষা তার দেড় ইঞ্চি মুখগহ্বর দিয়ে বের হয়। এই সকল মাতৃভাষার মধ্যে অন্যতম একটা বাক্য হলো "পাঁদ দিয়ে উড়াই দিবো।" তার এই বাক্যটা শোনার পর শত্রুপক্ষও হো হো করে হেসে উঠে। এই বাক্যটার কারণে অনেক বড় বড় বিপদ থেকে এভাবেই বেচে ফিরে। না হয় প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঘুমানোর বদলে চিরনিদ্রায় তলিয়ে যেতো।

আমি সুজনের উপর দিয়ে বিছানা থেকে নেমে পড়ছি। নিঃশব্দে, যেন তার ঘুমের কোনো ডিস্টার্ব না হয়। যদিও আগেই বলেছি যে মরা ব্যক্তির মতো ঘুমানো তার অন্যতম গুণ। গার্ড দরজার বাইরে শুয়ে নাক ডাকছে। তার নাক ডাকা আর গোয়ালঘরে গরু ডাকা সমান। আমি কোনোরকমে গার্ডকে ফাঁকি দিয়ে ছাদে উঠলাম। ঘড়িতে তখন রাত ৩ টা। চাঁদের আলোয় বিল্ডিংয়ের ছাদ আলোকিত হয়ে আছে। এমন জ্যোৎস্নাময়ী রাতে যেকোনো প্রেমিকেরই তার প্রেমিকার কথা খুব করে মনে পড়বে। আমারো মনে পড়ছে। খুব মনে পড়ছে। গত বছর এমন অনেক আলোকরাত্রিই মেঘনার সাথে কাটিয়েছিলাম। সারারাত গল্প আর গল্প। মেয়েটা গল্প করতে খুব ভালোবাসে। আমি গল্প-গুজব শুনতে খুব একটা পছন্দ করি না। তবে মেঘনা গল্প শুরু করলে আর থামতে দিই না। বড্ড ভালোবাসি মেয়েটিকে। সেও আমায় ভালোবাসে। খুব ভালোবাসে। তবে আগের মতো ভালোবাসে কি? একটা চোখের আলো নিভে যাওয়ার পর কি সে আমায় আগের মতো ভালোবাসবে?

দুই বছর আগে প্রথম যেদিন মেয়েটিকে দেখেছিলাম, মেয়েটি রিকশা থেকে নামছিলো। আমি কাছেই দাঁড়িয়ে সুজনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বন্ধুমহলে আমার খুব সুনাম আছে। ভাববেন না আমি খুব ভালো ছেলে কিংবা খুব ভালো গুণের অধিকারী। বন্ধুর জন্য সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে রাত এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করতে পারে এমন মানুষ খুব কমই আছে। কিন্তু এই কাজটা আমি খুব ভালো পারি। এমনকি যদি কেউ বলে, ঠিক দশটায় উমুক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে। নিঃসন্দেহে আপনি ঠিক সাড়ে নয়টার পরপরই আমায় সেখানটায় পাবেন। তাছাড়া যদি কেউ দুইটা অপশন দেয়, প্লেনে করে সুইজারল্যান্ড ঘুরে আসো কিংবা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কারো জন্য অপেক্ষা করো। আমি ডানেবায়ে না দেখে অপেক্ষা করাটাই বেছে নিবো।
মেয়েটা কালো রংয়ের থ্রিপীচ পরেছে। আমাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলো,মেয়েদের কোনধরনের পোশাকে বেশি মানায়? আমি বললেছিলাম শাড়ী। কিন্তু মেয়েটাকে দেখার পর ইচ্ছে করছিল মত পরিবর্তন করি। কালো থ্রিপীচে মেয়েটাকে অন্যরকম লাগছিল। থ্রিপীচের কালো উড়না দিয়ে হিজাব বানিয়েছে। তার পুরো শরীর ঢাকা। শুধু ফর্সা মুখমণ্ডল জনসম্মুখে। মনে হচ্ছিল আঁধারের ভিতর থেকে কোনো চাঁদ উঁকি দিচ্ছে।
সেদিন রাতে আর ঘুমোতে পারি নি। সারারাত তার চোখ, কপাল,ঠোঁট কল্পনায় এসে ধরা দিচ্ছিলো।
এরপর টানা দিন পাঁচেক সেই একই জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। মেয়েটার কোনো খোঁজ মিলেনি। এদিকে সুজন,বাবু আর শুভ ভাবছে আমি তাদের থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করছি। আসল ঘটনা জানতে আমায় খুব চাপ দিলো। মেয়েটির কথা বললাম। তারা উঠেপড়ে লাগলো মেয়েটার খোঁজ নিতে। দশদিন পর সেই রাস্তায় দেখা মিললো। সুজন মেয়েটার কাছে গেলো। ছেলেটার খুব সাহস। মেয়েটার সামনে যাওয়ার জন্য একমাত্র সে-ই সাহস দেখালো। আর বাকিরা সব ভীতুর ডিম। আমিও কম কি! ওরা ভীতুর ডিম হলে,আমি ভীতুর ডিমের খোসা।সুজন মেয়েটার সামনে গিয়ে খুব স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের কথোপকথন হালকা হালকা শব্দে বাতাসে ভেসে আসছে।
- হ্যালো মিস!
- জ্বী বলুন।
- আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো!
তারপর তারা কি কি কথা বলছে কিছুই শুনতে পারছি না। সুজন ফকিরের বাচ্চাটা কিছুক্ষণ পর পর চুলের ভাজ ঠিক করছে। দেখে মনে হচ্ছে আমার কথা বলতে গিয়ে নিজেই হাবুডুবু খাচ্ছে।

সন্ধ্যাবেলা সুজনকে ধরলাম।
- মেয়েটার সাথে কি কি কথা বলেছিস? সেই রাস্তা থেকে জিজ্ঞেস করে আসতেছি। জবাব দেস না কেন?
- আরে শালা দেখতেছিলাম কতটা উতলা হস! মেয়েটার নাম মেঘনা। অনার্স প্রথমবর্ষে পড়ে।
- এতক্ষন বললে কি তোমার বাপের ধন নষ্ট হইতো? যাকগে আমি তো অনার্স চতুর্থবর্ষতে। ভালো মানাবে বল!
- শালা তাড়াতাড়ি রেস্টুরেন্টে নিয়া খাওয়া। এতবড় কাজ কইরা দিছি।
- আরে দোস্ত দিমু আগে মেঘনাকে পাই।
- পাই যাবি। একসপ্তাহ ওয়েইট কর।
- বলিস কি!!!
কথাটা বিশ্বাস করি নি। তবে বিশ্বাস করতে হলো যখন দেখলাম তিনদিন পর মেঘনা আমার কাছে এসে হাজির।
- নাম কি তোমার?
- জ্বী আমার নাম সামির।
- আমাকে ভালোবাসো?
- হু।
- কতটা ভালোবাসো?
অবাক হলাম। এমনভাবে প্রশ্ন করছে যেনো আমি আসামী আর সে উকিল। মনে হচ্ছে মেয়েটার বাবা উকিল। বাবা যখন বাসায় অনুশীলন করে তখন সে গভীর মনোযোগী হয়ে লক্ষ্য করে।
- কি হলো চুপ করে আছো যে?
- জ্বী মানে ইয়ে অনেকখানি ভালোবাসি। আমার বুকের ভিতরে ঝড় শুরু হলো। নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। এমনটা হওয়ার কারণ কি? খুব নার্ভাস তাই এমনটা হচ্ছে। মানুষ যখন বেশি নার্ভাস হয় তখন তার চুল ভিজে যায়,কপাল বেয়ে ঘাম ঝরে, গাল লাল লাল হয়ে যায়, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় প্রচুর। এই সকলকিছুই আজ আমার সাথে হচ্ছে। তার মানে আমি নার্ভাস। খুব নার্ভাস । মেয়েটা সব বুঝতে পারছে। খানিকবাদে বললো,
- আমাদের একজন আরেকজনকে জানতে হবে। আর তাই আজ থেকে আমরা একসাথে থাকবো। ঘুরোঘুরি করবো। দুজন দুজনকে বুঝবো। রাজি?
এদিকওদিক না দেখে রাজি হয়ে গেলাম।
বাইশ দিন পর আমরা ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হলাম।

কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ভোর হয়ে গেলো। এতো লুকোচুরি করে, গার্ডকে ফাকি দিয়ে চাঁদ দেখতে আসছিলাম। আর চাঁদ দেখেছিলাম কিনা তা-ই ভুলে গেছি।

রুমে গিয়ে একটা ঘুম দিলাম। এগারোটার পর ঘুম থেকে উঠলাম। সুজন নাস্তা আনতে গেছে। শুভ আর বাবু পড়ছে। এই দুইটা ছেলেই আছে যারা সারাক্ষণ পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পড়াশুনা শেষ হলে অনায়াসে ভালো চাকরী জুটবে। সুজনও কোনো রকম চাকরী পাই যাবে। সমস্যা হলাম আমি। এই আধা অন্ধরে কে চাকরী দিবে! কোথাও জুটবে না চাকরী। মাঝেমধ্যে ইচ্ছা করে যে চোখটা ভালো আছে সেটাও নষ্ট করে ফেলি কিংবা সুইসাইড করি। কিন্তু বাবা আর মেঘনার মুখটা মনের চোখে ভেসে উঠলে সুইসাইড-ফুইসাইড নামের কোনো সাইডেই যাইতে ইচ্ছা করে না । মাকে পাঁচ বছর বয়সে হারিয়েছি। তাই মায়ের মুখ মনের চোখে ভাসে না। এখন বাবা আর মেঘনাই আমার ফ্যামিলি। মেঘনাকে বিয়ে করে বাবাকে আমাদের কাছে নিয়ে আসবো।
ড্রয়ারের ভিতর থেকে মোবাইলটা বের করলাম। বারোটা মিসড কল। বাবার নাম্বার থেকে। কি ব্যাপার! তাড়াতাড়ি কল ব্যাক করলাম। দুইবার রিং হয়ে কেটে গেলো। তৃতীয়বার একটা মেয়ে ধরলো।
- হ্যালো!
- হ্যালো কে? বাবা কোথায়?
- আপনার বাবা স্ট্রোক করেছে। গ্রামের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আর কিছু জানতে না চেয়েই ফোন রেখে দিলাম। তাড়াহুড়ো করে আধঘণ্টার মধ্যেই বেড়িয়ে পড়লাম। সুজন, শুভ আর বাবুও সঙ্গে এলো। গ্রামে যেতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগলো। বাড়ি না গিয়ে সোজা হস্পিটালে চলে গেলাম। হস্পিটালে অনেক মুরব্বী এবং গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বসে ছিলেন। হস্পিটালের বাইরেও গ্রামবাসীদের ভীড়। বাবা গ্রামের চেয়ারম্যান। ভীড় হওয়াটাই স্বাভাবিক। হস্পিটালের ভিতরে গিয়ে বসে রইলাম। চার বন্ধু সৃষ্টিকর্তার নাম জপতে লাগলাম। দশ মিনিট পর ডাক্তার খুব বিষন্ন মন নিয়ে ফিরে এলো। বুঝা হয়ে গেছে। দৌড়ে বাবার কাছে গেলাম। বেডে শুয়ে আছে বাবা। তার চোখ খোলা। আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন। চোখের কোণে অশ্রু। অশ্রুই বলে দিচ্ছে মৃত্যুর আগে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। বাবাকে জড়িয়ে ধরে একটা চিৎকার দিলাম। পুরো হস্পিটাল কেঁপে উঠলো। হস্পিটালের বাইরে শতশত কাক দলবেঁধে কাকা করছে।

বাবাকে সাড়ে তিন হাত একটা জমিতে শুইয়ে শহরে চলে এলাম।আসার সময় ঘর থেকে বাবার ব্যবহারকৃত গামছাটা আনলাম। সিদ্ধান্ত নিয়েছি গ্রামে আর যাবো না। গ্রামে আমাদের সেরকম কোনো আত্মীয় নেই বললেই চলে।

মোবাইলে রিং বেজে যাচ্ছে। হাতে নিলাম। মেঘনার ফোন।
- হ্যালো!
- হ্যালো,কোথায় তুই? মেঘনা আমায় তুই করেই বলে। আমিও বলি। তুই শব্দটাকে যে ভালোবাসাটা খুঁজে পাওয়া যায়,তুমি শব্দে যায় না।
- হোস্টেলে।
- হোস্টেলে কি করছিস? হোস্টেলে বসে থাকলে বাবার কথা বেশি মনে পড়বে। বের হ ! ঘুরতে যাবো।
ফোনটা কেটে দিলাম। ভাবলাম বের হবো না। কিন্তু মেয়েটা অপেক্ষা করবে। চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। শীতকাল এমন একটা সময় যে সময়টাতে সূর্য দেখা দেয় না। দিলেও খুব কম। আর আমি চোখে সানগ্লাস দিয়ে বের হইছি। অনেক অপরিচিত লোক তাকিয়ে থাকে। মেয়েরা আড়চোখে তাকায় আর ভাবে, "পাগল নাকি ছেলেটা!" আর ঠিক তখনই সানগ্লাসটা খুলে কানা চোখটা দেখিয়ে সবার কনফিউশন দূর করে দিই।তবে হ্যা তারা এমনটা ভাবে কি না আমি ঠিক সিউর না। আন্দাজ করে বলছি।

মেঘনার হোস্টেল গেইটের বাইরে এসে দাঁড়ালাম। মিনিট পাঁচেক পর সে এলো। আজ সাজগোজ করেনি। সাজগোজ ছাড়াই যেকোনো পরী মেয়েটার রূপে হার মানতে বাধ্য। একটা পার্কে গিয়ে বসলাম।
- সামির!
- হু!
- একটা কথা রাখবি?
- কি কথা?
- আমার মাথায় হাত দিয়ে বল....
- আগে বল না কি কথা!
- আগে মাথায় হাত দে!
টু শব্দ না করে মেঘনার মাথায় হাত রাখলাম।
- নে এবার বল।
- যতক্ষণ আমার কথা রাখবি বলে কথা দিবি না ততক্ষণ মাথা থেকে হাত সরাবি না।
- ঠিকাসে, এইবার বল..
- কথা দে কখনো আত্মহত্যার কথা চিন্তা করবি না।
- কি বলছিস এসব?
- আগে অনেকবার চিন্তা করেছিলি, সুজন থেকে শুনেছি।
- কি লাভ বেঁচে থেকে। এইসব পড়াশুনা দিয়ে কি হবে? এই এক চোখ কানারে কে চাকরী দিবে? বাবাও চলে গেলো!
- তুই আমাকে ভালোবাসিস?
- হু! খুব!
- তাহলে আমার জন্যে বেঁচে থাকবি। তোকে চাকরী করতে হবে না। আমি চাকরী করবো।
- কি বলছিস এসব?
- আমার জন্য বাঁচবি না?
- বাঁচবো!
- কাল থেকে পড়াশুনায় মন দিবি। পড়াশুনা শুধু চাকরী করার জন্যই করে না বুঝলি! নে এইবার মাথা থেকে হাত নামা। আর হাতটা কাঁধে রাখ।
বলেই মেয়েটা মুচকি হাসলো এবং আমার বুকের ডান পাশে মাথা রাখলো।
খুবই পবিত্র হাসি। এই হাসিই আমার বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা।এই হাসি দেখেই সারাটা জীবন কাটিয়ে দেয়া সম্ভব ........
--------------
০৫/১১/১৫
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×