ভারতে বন্দেমাতরম নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে।অনলাইন আনন্দবাজার প্রত্রিকা পক্ষে-বিপক্ষে নিজস্ব মত তুলে ধরে পাঠকদের সাম্প্রদায়িক ও উসকানিমূলক, কুরুচিকর কোনও মন্তব্য না করে নিজের সুচিন্তিত অভিমত প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছে।খবরটি হুবহু তুলে দিলাম।
পক্ষে: বন্দেমাতরম গান এবং দেশমাতৃকার বন্দনা করার সঙ্গে ইসলাম ধর্মের বা মুসলমানত্বের কোনও সঙ্ঘাত নেই। ইসলামের অবমাননাও হয় না। স্বাধীন ভারতে এই নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করছেন কিছু মৌলবাদী ও অসৎ উদ্দেশ্যসম্পন্ন মুসলিম নেতা মন্ত্রীরা। এরা ধর্ম নিয়ে যতটা অনাবশ্যক স্পর্শকাতর নিজের দেশ বা জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নন। তারই কুখ্যাত নজির রাখলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ শফিকুর রহমান বুর্ক। বন্দেমাতরম গান চলাকালীন তা বয়কট করে ইচ্ছে করেই বুধবার সংসদের ভিতর থেকে বাইরের দরজার দিকে হাঁটা লাগালেন। স্তম্ভিত বাকি সাংসদরা। তিনি বেশ করেছেন এবং লজ্জিত নন বলেও জানিয়েছেন। এই ঔদ্ধত্য দেখিয়ে হিন্দু মৌলবাদীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলেন তিনি। কোরান শরিফ বা ইসলামে কোথায় নির্দেশ রয়েছে যে, আল্লা ছাড়া নিজের মা বা দেশমাতৃকার বন্দনা করা যাবে না? বন্দেমাতরম বয়কট তাই দেশদ্রোহিতার সামিল। সে তিনি যত বড়ই ধার্মিক মুসলমান হোন না কেন। আর মুসল্লম ই ইমান যে মানে না সে কিসের মুসলমান? প্রশ্ন একটাই, সাংসদ শফিকুর আগে মুসলমান না আগে ভারতীয়?
বিপক্ষে: ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে কে কার প্রতি আনুগত্য দেখাবেন তা নিয়ে কেউ কাউকে বাধ্য করতে পারে না। ইসলাম ধর্মে এবং কোরান শরিফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সর্বশক্তিমান আল্লা ছাড়া কোনও মুসলমান অন্য কারও বন্দনা করতে পারেন না। তাছাড়া বসপা সাংসদ শফিকুর তো জানিয়েছেন, 'জাতীয় স্তোত্র' জনগণমন অধিনায়ক-র সময় তিনি আর পাঁচজনের মতোই উঠে দাঁড়ান। কিন্তু 'জাতীয় গান' বন্দেমাতরম তিনি গাইবেন না। কারণ তাতে ইসলামের অবমাননা হবে। নিজের ধর্মের অবমাননা করার অধিকার তাঁর নেই। তাই একজন অভিজ্ঞ সাংসদ ও মুসলমান হিসেবে নিজের অবস্থানে তিনি ঠিক।
(পাঠকদের অনুরোধ, সাম্প্রদায়িক ও উসকানিমূলক, কুরুচিকর কোনও মন্তব্য না করে নিজের সুচিন্তিত অভিমত প্রকাশ করুন) অনুরোধে--আনন্দবাজার পত্রিকা
সূত্রঃ-
মুসলমান হলেই বন্দেমাতরম বয়কট করা যায় না
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



