বন্ধু ,
এই ব্যস্ততার শহরে এসে আমরা এতোই ব্যস্ত যে নিজের দিকেই খেয়াল করতে পারি না , আবার অন্য কারো দিকে খেয়াল করব? কিন্তু
তোর এই সব কিছু খেয়াল করার অভ্যাসটা আমার খুব ভাল লাগে।
এই যেমন দেখ তোর লেখাটা কতদিন আগে পড়তে বলেছিলি অথচ পড়তে পড়তে পড়লাম আজ। পোস্টটা সুন্দর ছিল তার সাথে লেখার গভীরতা আমাকে মুগ্ধ করেছে ।
এবার আসি আসল কোথাতে , তোর দেখা সেই ১৪ বছরের কিশোরী যার কিনা এইসময় সাথীদের সাথে ঘোরাফেরা করার কথা ছিল।কিন্তু সেই মেয়েটি কিনা নিজের শরীরের ভিতর করে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে আরেকটি শিশুকে । প্রার্থনা করি সেই কিশোরী যেন ভালোভাবে বেঁচে থাকে। আল্লাহ যেন মেয়েটিকে সুখে রাখে এই প্রার্থনা তো করতে পারছি না। কারণ আমরা ;মানে আমাদের সমাজ গলা টিপে হত্যা করেছে তার সুখে থাকার সম্ভবনাকে। মেয়েটির স্কুলে পড়ার কথা ছিল, কিন্তু এই বয়সে আমরা তাকে বসিয়ে দিয়েছি বিয়ের পিড়িতে । দেশ স্বাধীন হয়েছে আজ ৪০ বছর হল , জাতি হিসাবে আমরা আরও বেশী শিক্ষিত হচ্ছি ঠিকই কিন্তু আমাদের শিক্ষা আজও কাগজে আর কলমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে যাচ্ছে ।
এইবার আসা যাক তার স্বামীর কথাতে , তোর লেখোনীর বর্ণনা মতে তার বয়স ছিল ২১ বা ২২ বছর। হতে পারে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী তার বিয়ের বয়স হয়েছে। কিন্তু এই ২২ বছর বয়েসের যুবকটি কতোখানি যানে জীবন সম্পর্কে । সে তো সবেমাত্র জীবনকে জানতে শিখছে , তার কী সময় এসেছে একজন মানুষের দায়িত্ব নেবার ? প্রশ্নটা তোকে নয় পুরো জাতিকে .....................
আমার তো মনে হয় সে কেয়ারলেস না বরং সে দিশেহারা ,
আমার তো মনে হয় সে জানেনা কী তার করা উচিৎ। আমার মনে হয় সে ও তার স্ত্রীর মতোই অবাক !!!!
তাই আমি তোর মতো করে সেই মেয়েটির অবাক হবার কথা শুনে ভাবতে পাড়লাম না যে মেয়েটি সুখে আছে। বরং আমার কাছে মনে হয়েছে যে মেয়েটি জানেনা তার কী করা উচিৎ ? কী হবে তার সামনের পদক্ষেপ ? কী অপেক্ষা করছে তার জন্য আগামীকাল?
সে জানবে কী করে আমরা তো তাকে জানবার সুযোগ দান করি নাই । তাই আমি প্রার্থনা করি , তার সন্তান যেন তার মতো কপাল নিয়ে পৃথিবীতে না আসে। সে যেন জানতে পারে তার আগামীর কথা।
বি : দ্র: মেয়েটির রোগা পাতলা শরীরের লজ্জাটা শুধু তার স্বামী বা তার শ্বশুর বাড়ির লোকদের বা তার পরিবারের নয়; এ লজ্জা পুরো জাতির,আমাদের সকলের।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




