সেক্স অফেন্ডার রেজিস্ট্রি =
কেউ যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কনভিক্টেড হলে কানাডা পুলিশ তার তথ্য সেক্স অফেন্ডার রেজিস্ট্রি'তে রেকর্ড করে রাখে। উদ্দেশ্য, জনসাধারণকে এ ধরণের অপরাধী হতে সুরক্ষা দেয়া। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় কারো কারো রেকর্ড ১০ বছর, কারো ২০ বছর বা কারো তথ্য সারাজীবন এ রেকর্ডে রাখা হয়। নতুন নতুন সেক্স ক্রাইমের ইনভেস্টিগেশনেও এ রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়। পুলিশ সেক্স অফেন্ডারদের গতিবিধি টেকনোলজির সহায়তায় মনিটর করতে পারে। এছাড়া, এ ধরণের অপরাধী কোন শিশু সমাগম, যেমন, পার্ক, স্কুল, ইত্যাদিতে গেলে তা পুলিশকে জানিয়ে যেতে হয়। শিশুদের নিকট হতে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলার বাধ্যবাধকতাও তাদের থাকে। কোন কারণে শিশুদের কাছাকাছি বসে কাজ করতে হলে প্রাপ্ত বয়স্ক কারো উপস্থিতিতে তাদের তা করতে হয়।
দুর্ধর্ষ প্রকৃতির সেক্স ক্রিমিনালরা এক শহর হতে অন্য শহরে যেতেও পুলিশের অনুমতি লাগে। সেক্ষেত্রে পুলিশ আগেভাগেই তার গন্তব্যের এলাকার জনসাধারণকে ওই সেক্স ক্রিমিনালের উপস্থিতি সম্পর্কে জানিয়ে রাখে, যাতে তাঁরা আগে থেকে সতর্ক হতে পারেন।
যত যোগ্যতাই থাকুক, কিছু কিছু চাকুরীতে সেক্স অফেন্ডারদের নিয়োগ দেয়া হয় না। যেমন, স্কুল পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েও কোন প্রার্থী অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন যদি সেক্স অফেন্ডার রেকর্ডে তাঁর তথ্য থাকে। কানাডায় আমি এক বাংলাদেশিকে জানি, যাঁর নাম কানাডার সেক্স অফেন্ডার রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দেশ বিদেশের অনেক ডিগ্রি তাঁর আছে, তবু, তাঁর বিরুদ্ধে কয়েক কিশোরীর বুকে হাত দেয়ার অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছিল।
বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রায়ই বলাৎকার বা ধর্ষণের মতো অপরাধে অভিযুক্ত হতে শোনা যায়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের মতো অপরাধের ঘটনা সচরাচর পত্রপত্রিকায় দেখা যায়। সেক্স অফেন্ডার রেজিস্ট্রি ব্যবস্থা চালু হলে এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে সহজ হয়ে উঠবে আশা করা যায় । বাংলাদেশ বিষয়টা সক্রিয়ভাবে ভাবতে পারে।
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৬