পত্রিকাগুলোর উচিত দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা
কানাডা ইমিগ্রেশনের প্রতি প্রবল আগ্রহ সারা বিশ্বের মানুষের। এটি নতুন কিছু নয়। বিশেষতঃ সাম্প্রতিক করোনা মোকাবিলায় সমতুল্য দেশগুলোর চেয়ে কানাডা অনেকবেশি দক্ষতার পরিচয় দেয়ায় কানাডার উপর মানুষের আস্থা আগের যে কোন সময়ের তুলনায় এখন বেশি বলা চলে।
এ আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে সম্প্রতি কানাডা ইমিগ্রেশন নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে পত্রপত্রিকায়। তবে, সব লেখা কি আপনাকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিচ্ছে, বা সব ইউটিউব ভিডিও কি বাস্তবসম্মত তথ্য আপনার কাছে তুলে ধরছে? এ বিষয়টা ঠিকমতো যাঁচাই না করে ভুল পদক্ষেপ নিলে পরবর্তীতে নিউজ রিপোর্টার বা ইউটিউবারকে দোষ চাপিয়ে কোন সুফল পাবেন না। তাদের ভুলের জন্য ভিসা অফিসার আপনাকে কোনভাবেই ছাড় দেবেন না। তাই সাবধান!
প্রশ্ন হলো, সাবধান হবার উপায়টা কি? উপায় হলো, যিনি ভিডিও আপলোড করেছেন, বা পত্রিকায় লিখেছেন তাঁর পরিচয়টা শুরুতেই দেখে নেবেন। তিনি যদি কানাডায় রেজিস্টার্ড কোন ইমিগ্রেশন প্রফেশনাল হয়ে থাকেন তবে তাঁর তথ্যে নির্ভর করা যায়। কেননা, পাবলিককে সঠিক তথ্য জানানোর ব্যাপারে রেজিস্টার্ড প্রফেশনালদের দায়বদ্ধতা থাকে। এ কারণেই তাঁরা কোন তথ্য উন্মুক্ত প্রকাশের আগে বিভিন্ন সোর্স যাঁচাই করে সে তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হন। ভুল তথ্য দিয়ে পার পাওয়া তাঁদের জন্য কঠিন।
'প্রথম আলো' দেশের অগ্রগণ্য পত্রিকাগুলোর একটি। তারাও দেখি কানাডা ইমিগ্রেশন নিয়ে যে কারো পরামর্শ তাদের পত্রিকায় ছেপে দিচ্ছে। কম পরিচিত পত্রিকাগুলোর কথা না-ই বললাম। আমার জানামতে প্রায় এক ডজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত রেজিস্টার্ড কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট বর্তমানে সক্রিয় আছেন। এঁদের সবাই উচ্চশিক্ষিত সজ্জন এবং অনেকে ভালো লেখেনও। পত্রিকাগুলো চাইলে তাঁদের সাথে যোগাযোগ করে নিজ নিজ পত্রিকায় নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন/লেখা ছাপিয়ে জনগণের উপকারে লাগতে পারে। কেবল পত্রিকার কাটতি বা, ভিউয়ারের সংখ্যা বাড়াতে যেন মুখরোচক তথ্য পরিবেশন করা না হয়।
শুভকামনা।
ML Gani, RCIC