বাবার পরামর্শ =
বাপের চার-পাঁচখানা ভবন আছে শহরে। মেয়েটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়েছে, গাড়িঘোড়ায় চড়ে বড়ো হয়েছে। একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি হতে বিবিএ-ও কমপ্লিট করেছে। বিয়ে হয়েছে এক তরুণ ঠিকাদারের সাথে। উপজেলা পর্যায়ের ঠিকাদার তার বর।
ধনীর এ দুলারী এয়ারকন্ডিশন্ড শয়নকক্ষে বসবাস করে অভ্যস্ত। কিন্তু, বরের (গ্রামের) বাড়িতে সেই সুব্যবস্থা নেই। ফলে, মেয়েটি ঠিকমতো ঘুমুতে পারে না। অতঃপর বাবার কাছে আবদার করলো শ্বশুর বাড়িতে তার শয়নকক্ষটিতে এসি লাগিয়ে দিতে। বাবা রাজি হলেন না। কারণ, যৌথ পরিবারের কেবল একটি বেডরুমে এয়ারকন্ডিশন লাগিয়ে দেয়া বেমানান মনে করলেন তিনি।
মেয়েটি মন খারাপ করে বাবার কাছে বারবার আবেদন জানালে বাবা বললেন, আমি চাইলে তোমার বেডরুমে এসি লাগিয়ে দিতে পারি। কিন্তু, গরমের দিনে এসি রুম হতে বের হয়ে তুমি যখন দেখবে তোমার শ্বশুর-শাশুড়িসহ বাড়ির অন্যরা হাত পাখা নিয়ে বাতাস করতে করতে গরমে ছটফট করছে তা দেখে তোমার ভালো লাগবে না, বরং, নিজেকে অপরাধী মনে হবে। তার চেয়ে বরং, এসি ছাড়াই ঘুমানোর অভ্যাস করে নাও। দেশে হাজারে কয়জনের বাসায় এসি আছে ভেবে দেখতো!
- কঠিন হৃদয়ের এই বাবার পরামর্শ আপনার কেমন লেগেছে বলবেন?