এডমন্টন শহরে আমাদের বাসার বিপরীতে এক ইরানি দম্পতি বসবাস করেন। বয়স চল্লিশের কোঠায়। ধর্ম পরিচয়ে তাঁরা মুসলমান, কিন্তু চালচলন পশ্চিমা ধাঁচের । মেয়েটি সচরাচর শর্টস (হাফপ্যান্ট) পরে, গায়ে স্লিভলেস জামা।
সান্ধ্য-ভ্রমণের সময় এ দম্পতির সাথে দেখা হলে আলাপের এক পর্যায়ে ইরানে মেয়েদের হিজাব পরার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি আলোচনায় এলো। মেয়েটিকে প্রশ্ন করলাম, 'কখনও ইরান বেড়াতে গেলে তুমি কি হিজাব পরবে?'
- অবশ্যই।
- কিন্তু, তুমি তো সচরাচর তা পর না!
- তাতে কি, জান নিয়ে তো কানাডায় ফিরে আসতে হবে। - - [অতঃপর তিনজনই একসাথে হাসাহাসি।]
বলতে দ্বিধা নেই, মুসলমানদের একটি বড়ো অংশই ধর্মের মূলসুরটি ধরতে অক্ষম। এভাবে বলপ্রয়োগে কাউকে ধার্মিক বানানো যায় না। অন্যসব ধর্মেও জোরজবরদস্তি কমবেশি আছে।
কেউ ধর্মচর্চা করবেন কি করবেন না সে বিষয়টি তাঁর উপরই ছেড়ে দেয়া উচিত। নইলে ধর্মচর্চার নামে ভণ্ডামি চলবেই। নিঃসন্দেহে, ভন্ডের চেয়ে অধার্মিক উত্তম।