somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফুড ব্যাংকের অনৈতিক ব্যবহার

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

= ফুড ব্যাংকের অনৈতিক ব্যবহার =

কানাডায় কেউ না খেয়ে মরে না। যাদের ঘরে খাবার নেই তারা নিকটতম এলাকায় ফুড ব্যাংক কোথায় আছে তার খোঁজ নিয়ে সেখানে গেলে খাবার দাবারের একটা ব্যবস্থা হয়ে যায়। সেখানে চাল, ডাল, রুটি, ডিম, ফলমূল, ইত্যাদি বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ডোনাররা এসব দান করে থাকেন। স্পষ্টতই, এটা আর্থিক দুর্দশাগ্রস্থদের জন্য সাময়িক ব্যবস্থা। স্বচ্ছলদের এ সুযোগ কাজে না লাগানোই প্রত্যাশিত।

প্রজাপতি নামের ভারতীয় এক ছাত্র (international student) সম্প্রতি ফুড ব্যাংকে গিয়ে তার প্রয়োজনমতো খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে তার ভিডিও দিলো ইউটিউবে। উদ্দেশ্য, তার মতো যারা নানা দেশ হতে কানাডায় পড়াশোনা করতে এসেছে তারাও যেন বিনামূল্যে ফুড ব্যাংক থেকে খাবার সংগ্রহ করে খরচ বাঁচায় সে কাজে উদ্বুদ্ধ করা। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হবার ধান্ধাও হয়তো ছিল।

ভিডিওটি সম্প্রচারের পর কানাডায় অনেকেই তার খোঁজখবর নিতে শুরু করলেন। অবশেষে জানা গেলো, পড়াশোনার পাশাপাশি বাৎসরিক ৯৮,০০০ ডলারে কানাডার একটা নামি ব্যাংকে সে খণ্ডকালীন চাকুরিও করছে। সে একজন ডাটা সায়েন্টিস্ট। বেতন বেশ ভালোই বলা চলে। কারণ, কানাডার বেশিরভাগ মানুষই মিনিমাম ওয়েজ, অর্থাৎ, বছরে ৩৫,০০০ বা তার কাছাকাছি আয় করে থাকে। সে হিসেবে তার আয় মিনিমাম ওয়েজের প্রায় তিনগুন। স্বভাবতই এমন একজন স্বচ্ছল মানুষের ফুড ব্যাংকে যাওয়া কানাডিয়ানরা সহজভাবে মেনে নেয়নি।

অধিকন্তু, একজন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট যখন কানাডায় পড়তে আসে তখন সে ঘোষণা দিয়ে আসে যে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে যত খরচ প্রয়োজন তা তার আছে। অর্থাৎ, সে যথেষ্ট স্বচ্ছল। তাই, নৈতিক বিবেচনায় এমন ছাত্ররা ফুড ব্যংকে যাবার কথা নয়। প্রজাপতিও একজন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। এ বিষয়টিও তার মাথায় রাখা দরকার ছিল।

ঘটনা জানার পর যে প্রতিষ্ঠানে সে চাকুরী করতো সে প্রতিষ্ঠান তাকে চাকুরিচ্যুত করেছে। পাশাপাশি, সংক্ষুদ্ধ কানাডিয়ানদের কেউকেউ অনলাইনে তাকে কানাডা ছেড়ে চলে যাবার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ফলে, সে এখন নিজ বাসা হতে রাস্তায় বেরুতেও ভয় পাচ্ছে।
কানাডায় যারা পড়াশোনা করতে এসেছে সচেতন করার লক্ষ্যে তাদের সাথে এ তথ্যটি শেয়ার করুন। ভুলেও যেন কেউ এমনটি না করে।

এম এল গনি, RCIC-IRB
কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৫
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×