দুর্নীতি দমনে দুদক এবং এনবিআর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এতদিন তারা কেবল চুনোপুঁটিদের উপর তাদের কর্তৃত্ব দেখিয়েছিল। এখন সময় পাল্টেছে। তাই তারা চাইলে রাঘববোয়ালদেরও আইনের আওতায় আনতে পারে।
তবে মেগা দুর্নীতিবাজ হাসিনা আমলের কর্মকর্তাদের দিয়ে এ কাজটি করা সম্ভব হবে মনে হয়না। কেননা, তাদের সাথে রাঘববোয়ালদের বহুদিনের লেনদেনের সম্পর্ক তৈরী হয়ে আছে। তারা চাইলেও সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না। তাই, শুরুতেই দুদক এবং এনবিআর-এর দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের সরিয়ে দিতে হবে, এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে; নইলে বরাবরের মতো সর্ষেতেই ভুত থেকে যাবে।
তদন্তে দুর্নীতিবাজ হিসেবে যারা চিহ্নিত হবে তাদের কেবল রদবদল বা বদলি করলে কোন সুফল পাওয়া যাবে না, বরং ক্ষতি হবে। কারন, তারা নতুন কর্মস্থলে গিয়ে সেখানে দুর্নীতির বিষবাষ্প ছড়াবে। উন্নতদেশের আদলে দুর্নীতিবাজদের তাৎক্ষণিক বরখাস্ত ও গ্রেফতার করে জেল জরিমানা না দিলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমাজে কঠোর বার্তা যাবে না কোনদিনও।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৩