এই পিচঢালা পথটা আজ বড় অমসৃণ মনে হয়,
কেন যেন দুপুরটা বড় শান্ত লাগে,
নিশ্চুপ মনের পিয়ানোতে সুর দেখিনা ভুল করে,
প্রার্থনায় মানুষটাতে আজ খুব অপ্রাপ্তির আভাস জাগে ৷
শুভ্র মেঘের গতিবিধিকে পটভূমি করে আত্মপ্রসংশায় ব্যস্ত কাকের দল,
দিঘির জলে এক ফোটা শিশির দেওয়া মনটা আজ অপমানিত,
অতীত হিমালয়ের অস্পষ্ট স্মৃতি আজ কঠিন চোখের জল,
তাই আত্মপরিচয় গোপন করে মুক্ত কারাগারেই হচ্ছি পালিত ৷
স্বপ্নছিল ইচ্ছে গুলো ইট হয়ে যাবে,
শখের বারান্দা হয়ে যাবে কবির মন,
অপরিণত কবিতা গুলো কীর্তন করবে তোর,
সন্ধ্যা ঘুমালেই জেগে উঠব দুজন ৷
আমার গল্পের মোড় পাল্টে আজ উপসংহার অস্তিত্ব হারিয়েছে সে সন্ধ্যাতেই,
শখের স্বপ্ন গুলো পাথর হয়ে হেনেছে আঘাত,
কবির মৃত্যু হয়েছে সেই আহ্লাদি বারান্দাটাতেই,
শুধু অপরিনত কবিতা গুলো কীর্তন ছাড়েনি,ভুলেনি রাত ৷
মনে পড়ে সেই বাচ্চাটার পাগলামী গুলো,
তার স্কুল বাসের ড্রাইভার হওয়ার স্বপ্ন দেখেই কাটিয়ে দিত দিন,
তার গোলাপী ব্যাগের সাথে কাল ড্রেসটার অমিল দেখে ভাবুক হয়ে যেত বালক,
কাঠির পিস্তল,বাঁশের গাড়ি ফেলে নায়ক হয়ে ছুটে যেত বিরামহীন ৷
তার বিদ্যুৎ চমকানো চুলে সূর্যের হিংসা দেখে গর্ববোধ করতো প্রেমিক,
অমাবস্যাকে চোখ রাঙ্গানো পরীর রূপে মুগ্ধতা গুনতো অংকে কাঁচা ছাত্র ৷
কত ফুলের ইচ্ছে তার পূরন হয়ে যেত ছেলেটা বকা শুনতে শুনতে,
সেইসব স্মৃতি আজ মলিন,পড়ে আছে যত্রতত্র ৷
আজ তার কথা নেই,নেই তার নামের গান,
নিষ্টুরতা মেনে নিয়ে কিছু শুনার আগেই পরপারে সে,
ছেলেটা এই নিয়ম নামের অনিয়মটা মোটেও মেনে নিতে পারেনা,
"মেঘ গুলো সরে যাবে" আশায় বসে থাকে,একদিন তাকে দেখবেই আকাশে ৷
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩