( তিন ভাগে বিভক্ত এই দূর্ভাগা জাতির কোনটিকেই ছোট করার মানসিকতায় আমার লেখা নয়, লেখা পড়ে কারো খারাপ লাগলে অবশ্যই তার সমালোচনার অধিকার আছে কেননা আমরা চতুর্থ জাতি ৭১ এর পরের প্রজন্ম ( এক জাতি ) আমরা বাংলাদেশের সত্যিকার মুক্তি চাই )
এক।
ভোর থেকেই জাপান থেকে আগত ব্যারিস্টার পটাশ দিয়াকশুর যেন অন্যরকম ব্যাস্ততা। কে যেন এক শিকারী শুয়োর ওকে রক্তের শিরাতে গুতো মেরে বলছে পটাশ কেন বসে আছিস , বেরিয়ে পড়। নয় মাসতো চলে গেল নয়টি শব্দও তো লিখতে পারনি এদেশের মুক্তিযুদ্ধ রাজাকার নিয়ে। তুমি কে ভেবেছ ওরা তোমাকে জামাই আদরে পাঠিয়েছে , এমনিই তোমাকে ছেড়ে দেবে। কাংটুক টাই রিসার্স ফাউন্ডেশান তোমাকে পাঠিয়েছে মোটা অংকের টাকা দিয়ে। ওদের রিসার্স পেপার চাই, সত্যের মিথ্যে অংশটুকু চাই, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে।
ড্রাইভার আবুলকে ও একটা তাড়াদিয়ে গুয়েভা চায়ে চুমুক দিতে দিতে ভাবছিল তাইতো এ আমি কি করছি। সত্যিই তো নয়টি শব্দও তো আমার কাছে নেই। যে কন্টাক্ট সাইনে আমি আসেছি তাতে কাংটুক টাই ফাউন্ডেশান আমার লাশ ও ফেরত দেবে না আমার পরিবারের কাছে যদি আমি ওরা যা চেয়েছে তা না দিতে পারি। পরক্ষনেই নিজে নিজে হেসেই বলল- কিয়াং পাউট - অদ্ভুত জাতি - ওদের স্বাধীনতার আজ ৩৯ বছর ওরাই কি পেয়েছে স্বাধীনতার মানে , মুক্তিযোদ্ধা রাজাকারের অর্থবহ সংগা দিতে। তুমি পারবে না পটাশ ফিরে যাও। নয় মাসের স্বাধীনতার শিশু এখনো পুষ্ট হয়নি - ইমম্যাচুউরড - আরো এক মাস দশ দিনের প্রয়োজন ছিল। ক্ষতিটা করেছে আরেক ইমপোরটেড ডাক্তার ক্লিনিকের বাইরে সার্জারি করে আর সেই বিজানু আক্রান্ত শিশুটি বয়ে বেড়াচ্ছে তার অপুর্ণতার গ্লানি যা সারাতে আরো নয়শত অথাবা নয় হাজার অথবা তৃতীয় কোন বিশ্বযুদ্ধের দরকার হবে। যে যুদ্ধে সব কিছু ধ্বংস হয়ে বেচেঁ থাকবে লাল সবুজের পতাকা পরিহিত একজন মানচিত্রহীন স্বাধীনতা বয়সী ভার্জিন নারী, সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া যৌবনদীপ্ত এক পাঠান শিশু আর অতিপরাশয় বৃদ্ধ কাপড়হীন শরীরের মহাত্মাগান্ধী।
ড্রাইভার আবুলের তাড়া পেয়ে পটাশ সাহেব সোজা হয়ে বসলেন আর হাত ইশারা করে বললেন নিচে যাও আমি আসছি। এই এক আজব চরিত্র আবুল মিয়া। ওর ধারনা পটাশ সাহেব বাংলা জানে কিন্তু চিটাগাংয়ের গালাগালি জানে না। তাই আবুল মিয়া কথা বলার আগে একটা না একাটা গালাগালি সম্বোধন করেই কথা শুরু করে। আজও তাই বলল- চুদির পুত ! গাড়ী রেডী। কৃস্নকলি নামের এক হাউজ মেড কাম ওয়ার্ম মেড ওই ঠিক করেছে পটাশ সাহেবের বাসার জন্য এক অদ্ভুত চুক্তির বিনিময়ে। যতবার কৃস্নকলি পটাশ সাহেবের বিছানায় যাবে তাতে আবুল মিয়া পাবে একশত টাকা করে আর কৃস্নকলি একশত তিন টাকা। পরের চুক্তি কৃস্নকলির সাথে আবুল মিয়ার - একশত তিন টাকা থেকে আবুল মিয়া পাবে উনত্রিশ টাকা। ঝড়বৃষ্টি যাই থাকুক পটাশ সাহেব আবুল মিয়াকে একশত টাকা দিয়ে চলেছে প্রতিদিন কিন্তু কৃস্নকলি আবুল মিয়াকে এক পয়সাও দেয়নি এখনো। তাই সাহেব বাইরে গেলে কিংবা সুযোগ পেলেই ওদের মধ্যে ঝগড়া চলছে প্রতিদিন। দিন তারিখ খাতা দেখিয়ে আবুল মিয়া বলছে তার পাওনা টাকার কথা আর কৃস্নকলি বলছে - টাহা পামু কৈ ? সাহেবের কাছ থেকে টাহা নিমু ক্যান ? কিছু হইছে নাকি ! সাহেবেরে চাপ দিতাছি - কইছে যাওয়ার আগে কিছু দিবো। সত্যি কইতাছি আবুল ভাই চুক্তির বরখেলাপ আমি করুম না, গরিব মানুষের ওয়াদার ঠিক আছে। একদিন হইলেও তার টাহা তুমি পাবা। আবুল মিয়ার ধারনা কৃস্নকলি ওরে মিথ্যে বলছে ওরে অংক শিখাইতেছে। মনে মনে বলল- শালি আবুলেরে চিন না , বুঝবা মজাটা। নোয়াখাইলা রিকসা সমিতির প্রাক্তন সভাপতি আমি। সাহেব খালি বিদায় হোক - পায়জামা পরা রিকসাওয়ালাদের দাওয়াত দিয়া বাসায় আনুম। ফাইটা যায় গানটা লাইভ শোনার ইচ্ছে ছিল কিন্তু শিল্পী এখন এম পি টাহা দিলেও কাম অইবো না। মফিজের সিডি টা চাইয়া আনুম আর ফাইটা যায় গানটা ছাইড়া শালি তোমারে আমি সারারাত নাচামু। ঘুমাইছো তো খাজুরের কাটার খোচা থামাথামি নাই।
চলবে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




