আজকে লেখার বিযয়বস্ত ছিল অন্যকিছু গতকালের লেখার বাকি অংশ কিন্ত অনলাইনে বাংলা পত্রিকা পড়তে গিয়ে হতবন্ব। আমার জানা মতে গনতন্ত্রে সব চেয়ে বড় ক্রাইম মত প্রকাশের স্বাধীনতা বন্ধ করা। আমি এ দেশে কয়েকজন আমেরিকানদের সাথে কথা বলেছি তারাও এব্যাপারে একমত। প্রসংগত বলে রাখি আমি কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই এবং কাউকেই আক্রমন করে কিছু লেখার ইচ্ছে আমার নেই। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় নিজে যাহা ভাল বুঝি তাহাই প্রকাশ করি। আমি জানি না আমার এ লেখায় কেউ উপকৃত হবে কিনা তবে বিযয় বস্ত যেহেতু শেখার তাই শেখার কিছু থাকলে থাকতেও পারে। একটা ব্যাপারে আমার সাথে আপনিও একমত হতে পারেন ইউনিভারসাল বা সত্যির বাপারে আপানার সমালোচনা বা বাড়াবাড়ি অপ্রাসংগিক। যেমন একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিস্কার হতে পারে। স্পেস কখনও শুন্য থাকবে না, কোন ভাবে সেটা শুন্য হলে চারদিক থাকে বাতাস সেখানে প্রবাহিত হয়ে যত দ্রত সম্ভব শুন্য স্হান পুরন হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা শব্দ বা বাতাস ইউনিভারসাল , এটাকে কখনো টেপ মেরে আটকে রাখা যায় না। আরো একটু একধাপ এগিয়ে বলি, মুসলমানদের কাছে কোরআন ইউনিভারসাল, সে ক্ষেত্রে কেউ তার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বলল এটা ভুয়া তার মানে এটা মিথ্যে হয়ে যাবে? । আমি আমেরিকার ওয়াসিংটন ডিসিতে থাকি এবং এখান থেকে এ কথাটাই আপনাদের বলতে চাই এরা আপনাদের যা বলে আর অন্তর ধারন করে সত্যকারের গনতন্র । আরো একটা উদাহরন দেই আমেরিকার ইতিহাসে কখনো কোন সংবাদ পত্রকে সরকারী হস্তক্ষেপে বন্ধ করা হয়নি। শুধু জনগনকে একটা মেসেজ দেওয়া হয়েছে মিথ্যে সংবাদ থেকে বিরত থাকুন আর এতেই অবিশ্বাসী অনেক সংবাদ পত্র এমনিতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আসলে আপনাকে কাজ করতে হবে রুটে। যেমন হাতে গোনা দু একটা সংবাদ পত্র ছাড়া কেউ টাকা দিয়ে সংবাদ পত্র কিনে না। সংবাদ পত্রই জোর করে মানুযের হাতে পৌছে যায় কেননা ওখানে ব্যাবসায়ীদের ব্যাবসার বিজ্ঞাপন থাকে আর মানুযের হাতে পত্রিকা না গেলে মানুয জানবে কিভাবে। সরকারের কাজ হচ্ছে গনতন্রের উন্নয়ন বা জনগনের ম্যাক্সিমাম ইউটিলিটি বের করে দেওয়া। দেখুন কিভাবে- তারা রাস্তা ঘাটে ওয়ালে দেওয়ালে সাইনবোর্ড বা বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়েছে তাহলে ব্যাবসায়ীরা কিভাবে মানুযের কাছে যাবে- মাধ্যম - গনমাধ্যম - তাহলে গনমাধ্যম কিভাবে মানুযের কাছে যাবে-ভাল সংবাদ নিয়ে বা ক্রিয়েটিভ কিছু নিয়ে যেতে হবে যাতে মানুয সেটা অনতত একটু হলেও চোখ বুলিয়ে দেখে আর ভাগ্য ভাল হলে ব্যাসায়ীর বিজ্ঞাপন টা একটু নজরে পড়ে। আর দুটা উদাহরন দিয়ে লেখাটা শেয করবো । কালকে হোয়াইট হাউজের সামনে একটা র্যলী আছে বিযয়টা ড্রোন হামলা আমেরিকাকে বন্ধ করতে হবে আর এটা করছে কোন পাকিস্তানি বা আফ্রিকান না খোদ আমেরিকানরাই। আপনি বিস্বাস করুন আর নাই করুন র্যালী শান্তিপুর্ন ভাবে হবে , পুলিশের কোন বাড়াবাড়ি হবে না , রাস্তা বন্ধ হবে না, ব্যবসায়িক ক্ষতি হবে না আর সরকার র্যালী ভালভাবে সম্পর্ন করার জন্য যা কিছু করার সবই করবে। তাদের গাড়ীর দরকার হলে গাড়ী দিবে , টাকার দরকার হলে টাকা দিবে, তাদের নিরাপদে বাসায় ফেরার ব্যাবস্হা করবে। এটাই গনতন্র। বিস্বাশ করুন আর ণাই করুন অসংখ্য আমেরিকান এবং কানাডিয়ান আমাদের মানে বাঙালীদের একটা প্রশ্ন নিয়মিত করে- তোমাদের দেশে এত মন্ত্রি কেন তার মানে জন গন কোন কাজ করে না ? দ্বিতীয় প্রশ্নের কোন উত্তর কি দেব ভেবেই পাই না- তোমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রি বা মন্ত্রিদের বাসার সামনে এক প্লাটুন পুলিশ মিলিটারী থাকে কেন ? আমরা বলি ওরা মহাপুরুয , মহামানবী ওদেরকে মানুয মেরে ফেলবে। ওরা বলে হোয়াট এ স্টেন্জ ? জন গন না ওদের ভোট দিয়ে বানিয়েছে আবার সেই জন গনই ওদের মেরে ফেলবে ? তোমরা সত্যিই আজব দেশের মানুয। আর আমরা মাথা নিচু করে আমাদের কাজে যাই। চলবে.....
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




