আমি বেশ কয়েকবার লক্ষ্য করেছি, মাঝে মাঝে জীবনের ভেতর-বাহির কিছু যন্ত্রণায় আমার কলম ধরা হয় না, ঠিক সেই সময়েই প্রায়শই কোনো বই পড়ারও সময় হয় না। অর্থাৎ সাহিত্য জগতের চৌহদ্দিতে আমার অনুপস্থিতি তখন তীব্র। আর তার পাশাপাশি অন্য একটি ঘটনা দেখি যে এই অনুপস্থিতির পরপরই আমি এমন কিছু বই পড়ার সুযোগ পাই যে মাঝের আফসোসটা আর বেঁচে রয় না!
ঠিক তেমন একটি মুহূর্তেই হাতে নিলাম "কঙ্কাবতীর কথা"! মাঝে যে অনেকদিন কিছু পড়ছি না, সত্যি বলতে সেই আক্ষেপটুকু ২৪ঘন্টাতেই উধাও!
উপন্যাসের প্লট, চরিত্র রচয়ন, বর্ণনা---- মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়েছি! এত নিপুণ লেখনী!!!
গল্পের নায়িকা, দোলন আর আরবাজ- এই তিনটে চরিত্র বড় জীবন্ত! আশেপাশেই বিরাজমান! মেয়েটির ভালো থাকতে চাওয়া, দোলনের না চাইতেও পালিয়ে বাঁচা, আরবাজের আগমন---হয়তো আমাদের আশেপাশেই অদৃশ্যভাবে আমাদের জীবনের গল্পের সাথেই জড়িয়ে রয়েছে!
নায়িকার পারিবারিক ইতিহাস বড় অদ্ভুত, তবে অবাস্তব নয়। বাবার পরকিয়াটা মিথ্যা নয়, মায়ের মানসিকভাবে ভেঙে পড়াটাও অস্বাভাবিক নয়! আম্বিয়ার মায়েরাও সুযোগ খোঁজে মুখ চালানোর। আর ঝুমকি ফুফুর অজানা গল্প মনে দাগ কাটে!
লেখার ফাঁকে ফাঁকে গান আর কবিতার লাইনগুলো অন্যরকম তৃপ্তির খোরাক যোগায়! মুগ্ধতা এসে ভর করে এ মনে!
আপোকে শুধু এটুকুই বলব, বই পড়া শেষে তোমার ছবিতে একটু আলতো চুমু খেয়েছি! সামনে পেলে জড়িয়ে ধরব নিশ্চিত!

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



