somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিউজিল্যান্ডে টিউশন ফী যেভাবে যোগাড় করেছি। নিউজল্যান্ড টু ইউরোপ (পর্ব - ১১)

৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যখন নিউজিল্যান্ডে যাই মাত্র ১৩শ ডলার ক্যাশ নিয়ে গিয়েছিলাম এই গল্প আগেই বলেছি। আজকে আমি জানাবো আমি কিভাবে আমার পড়াশোনার খরচ জোগাড় করেছি। নিউজিল্যান্ড গিয়ে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করে আমি সপ্তাহে পেতাম ২৮০ ডলার(ট্যাক্স কাটার পর)। কিন্তু এই টাকাটা আমার জন্য এনাফ ছিলো না অনেস্টলি। কারন আমি বাসা ভাড়া দিতাম ১৫০ ডলার, খাওয়া দাওয়া আরো ৫০ ডলার যেতো। ৮০/১০০ ডলার সেভ হতো সপ্তাহে কিন্তু সেটা কি আমার জন্য যথেষ্ট ছিলো? না! কারন আমি বাড়িতেও সাপোর্ট করার চেষ্টা করতাম। নিউজিল্যান্ডের ১০০০ হাজার ডলারে বাংলাদেশের ৫০হাজার টাকা কিন্তু এই জব দিয়ে আমার ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে আমার ৩/৪ মাস লাগতো আর বছর শেষে টিউশন ফী যেটা আসতো সেটার কথা বাদই দিলাম।

নিউজিল্যান্ড গিয়ে এএসবি ব্যাংকে একাউন্ট খুললাম। তখনকার সময়ে একাউন্ট খোলার সাথে সাথেই ১০০০ ডলারের ক্রেডিট কার্ড দিতো। আর জব থেকে স্যালারি ব্যাংকে ঢুকলে আরো ২৫০০ ডলার ওভার ড্রাফট হিসেবে দিতো। তখন আমি টেকনিকালি ৩৫০০ ডলারের মালিক । এই টাকা দিয়ে কি করবো তা নিয়ে ভাবতে থাকি। সুখে থাকতে ভুতে কিলায় টাইপ অবস্থা আরকি। BET365 সাইটে রেজিস্ট্রার করে ফাইনান্সিয়াল বেটিং শুরু করলাম। ফাইনান্সিয়াল বেটিং কি সেটা বুঝাতে চাচ্ছিনা। শুধু বলি, এটা অনেকটা খেলায় বাজি ধরার মত। আপনি প্রেডিক্ট করলেন ১ডলারের দাম আগামি পাচ মিনিট পর ৮৪ এর উপর থাকবে। যদি আপনার প্রেডিকশন ঠিক হয় আপনি জিতে যাবেন। এই বেটে বেশিদিন টিকতে পারিনি! লাভ লস মিলিয়ে প্রায় সমান অথবা কিছু লসে ছিলাম তাই সেটা ছেড়ে দিলাম। আমার লাইফে আমায় কোন কিছুর নেশায় ধরেনি সেটা হৌক টাকা, সিগারেট কিংবা এলকোহল। আমি কোনদিন নিজ টাকায় সিগারেট কিনে খাইনি, বন্ধু বান্ধবকে কিনে দিয়েছি সেখান থেকে একটা টান দিসি। কিন্তু আমি টানার জন্য কখনো কিনি নাই। কোন কিছুর নেশাই আমাকে কোনদিন কাবু করতে পারেনি। তাই বেটিং ছাড়তে আমার একদিনও টাইম লাগেনি।

এরপরই আমার লাইফে আসে ফরেক্সের আইডিয়া! শিখার ট্রাই করলাম কিন্তু এত জটিল বিষয় মাথায় ঢুকানোর ইচ্ছে হলোনা। কিন্তু বিষয়টা ভালো লাগতো তাই আমি ক্রিপ্টো কারেন্সিতে হাটা চলা শুরু করলাম! আস্তে আস্তে ক্রিপ্টো মার্কেটে বাই সেল শুরু করলাম। শুরুতে অনেক কম ইনভেস্ট ছিলো তাই একটা কারেন্সি কিনে অনেকদিন লেগে যেতো লাভ পাওয়ার জন্য। পরে আমি শাতোশি তে ফোকাস করতে লাগলাম। বিষয়টা অনেকটা এমন বেশি ইনভেস্ট করে কম লাভ করা। কিন্তু সল্প সময়ে লাভ করা। একটা এক্সাম্পল দিয়ে বুঝাই, ধরুন আমি একটা কারেন্সিকে 0.2800 রেটে কিনলাম এখন এটার রেট 0.2900 উঠতে একদিন সময় লাগবে। আবার এটার রেট নেমেও যেতে পারে। নেমে গেলেই লস। তো সেক্ষেত্রে আমি রিস্ক না নিয়ে 0.2820 তে বিক্রি করে দিলাম। যেটা ১০ মিনিটেই এই রেটে ঘুরাঘুরি করে নিশ্চিত আর আমি ১০ মিনিটে জন্য ইনভেস্ট করি।

ধরুন 0.2800 রেটে আমি ২০০০ডলারের কয়েন কিনলাম। তাহলে আমি পেলাম ৭১৪২ টি তাহলে আমি ২০ মিনিটের মধ্যে আমি এই কয়েন গুলো 0.2820 রেটে বিক্রি করে দিলাম তাহলে আমার লাভ কত হলো? 0.002 × 7142 = 14.28 ডলার। জ্বী অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আমি ২০০০ ডলারে মাত্র ১৪ ডলার লাভ করতাম আর আমি তাতেই খুশি। কারন আমি প্রতিদিন ১০টা ট্রেড করতাম আমার ১০০ ডলার আসতো। অনেকে বলে বিট কয়েনে ইনভেস্ট করে বড়লোক হয়ে যাবো কিন্তু না রাতারাতি বড়লোক হতে গেলে ফকির হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ভাগ্য ভালো হলে হয়ত মিলিওনিয়ার কিন্তু খারাপ হলে একেবারে ফকির আর আমার ভাগ্যের উপর আমার অগাত বিশ্বাস তাই তার উপর আমি ভরসা করিনা। আপনাদের জন্য আমি একটা একাউন্টের কিছু ট্রেড হিস্টোরিলাম। এই ট্রেড গুলো জাস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবার জন্যই করেছি। এইভাবে ট্রেড করে আমি নিউজিল্যান্ড লাইফের অনেকটা কাটিয়েছি।


ফুল ইমেজ লিংকঃ Click This Link

এই পোস্টটা কেউ আবার মোটিভেশন হিয়েবে নিয়েননা। আমি জাস্ট আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:৫০
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×