(রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত গল্প 'ছুটি' নিয়ে নাটক, অনেক আলোচনা,সমালোচনা হয়েছে।কিন্তু গল্পটিকে ছন্দবদ্ধ কাব্যে রূপ দেয়া হয়েছে এই প্রথম )
ফটিক নামের একটি ছেলে
কাটাত সময় হেলে দুলে,
গ্রামের প্রান্তরে,প্রান্তরে
দোঁডাতো সে প্রাণ ভরে।
ছোট ভাই তার নাম মাখন,
জ্যেষ্ঠের বিপরীতে করে পন।
খেলার ছলে বিরুদ্ধে গিয়ে
পড়ে বেথা পেল পায়ে ,
তাদের দুরন্তপনার মাত্রা
বেড়ে রূপ নিল যেমন যাত্রা।
হঠাৎ একদিন একজন বিদেশী
হাতে লাগেজ মনে খুশি ,
নামল ঘাটে কি জানে গন্তব্য,
সে জানে জানা যার কর্তব্য ।
মন চক্রবর্তীদের বাড়ীর আশায়,
জিগ্গেস করল 'কোথায় পাওয়া যায়'।
ফটিক হোতা বলে এড়িয়ে চলল
অথচ কিভাবে সে গন্তব্য খুলল ।
শেষ পর্যন্ত হল জানা জানি,
ঐ বিদেশী ফটিকের মামা মনি ।
দেখা সাক্ষাৎ এর মাধ্যমে
উঠল ফটিকের কথা গরমে
ফটিকের পাঠে অবাধ্যতা আর
শুনল মাখনই সেরা বারংবার ।
এসব শুনে মামা বললেন, ফটিক
আমার সাথে গিয়ে থাকতে পারে ঠিক
মাও শুনে হলো ভীষন খুশী
ফটিক মহানন্দে মাখনকে করলনা আর দোষী ।
ছিপ, ঘুড়ি লাটাই আছে যত ফটিকের
এখন মাখনের হাতে তুলে দিল ঢ়ের
মামার সঙ্গে মহাখুশিতে
ফটিক কলিকাতায় গেল পড়িতে ।
কিন্তু পৌছল যখন সেখানে
মামীর আচরণ ব্যাথা তুলল মনে ।
পাবে অমনোযোগিতা আর অবাধ্যতা
পিষ্ঠ করে তুলল দারুন কাতরতা
তার উপর মামাতো ভাই -বোনদের আচরণ
দীর্ণ বিদীর্ণ ও শীর্ণ করল ফটিকের মন
এমন মুহুর্তে একদিন হারিয়ে ফেলল বই
মামী তা শুনে বলল আমি এত পয়সাওয়ালা নই
তোমাকে মাসে কয়েকবার কিনে দেব ।
ফটিক ব্যাথায় শীর্ণ হল নব ।
ব্যাথায় ব্যাথায় হঠাৎ এলো কাপুনি জ্বর
পারলনা আর কাটাতে সে ঘোর
মা মা বলে ডাক তুলেছিল সে,
কিন্তু মা যে বড্ড দেরী করে আসে ।
মৃত্যু যন্ত্রনায় যখন ছটফটালো ঠিক
তখন মৃত্যুর মাঝে সন্ধি করল ফটিক ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১০ রাত ৯:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




