somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিয়ামত বা মহাপ্রলয় (৫ম পর্ব)

১৪ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(Universal Cataclysm)
৪র্থ পর্বের পরের অংশ...
মহাবিশ্বের ধ্বংস হবে কি হবে না তা নিয়ে অবিশ্বাসীদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে এবং অবিশ্বাসের ঘোরে তারা এ ব্যাপারে সব সময়েই দ্বন্দে ভোগে। তবে আল্লাহতায়ালার প্রতিশ্রুত কিয়ামত যে অবশ্যই সংঘটিত হবে এবং অবিশ্বাসীরা অচিরেই তা জানতে পারবে, এবিষয়টি আল-কোরআনে প্রদত্ত ঐশী তথ্যসমূহে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। মহাবিশ্বের ধ্বংস যে অবশ্বম্ভাবি, বর্তমান বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার আলোকে এর পক্ষেই বেশী সমর্থন পাওয়া যায়। তবে এই ঘটনা বৃহৎ সংকোচনের মাধ্যমে ঘটুক অথবা বস্তু ও প্রতিবস্তু জগতের মধ্যে সংঘর্ষের ফলেই ঘটুক না কেন, এর ফলে যে মহাবিশ্বের বর্তমান অবয়বের আমুল পরিবর্তন সাধিত হবে তাতে কোনই সন্দেহ নেই
পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত বৈজ্ঞানিক তথ্যসমৃদ্ধ আয়াতগুলোর মধ্য থেকে কিয়ামত বা মহাপ্রলয় সম্পর্কিতকয়েকটি উল্লেখযোগ্য আয়াতের বাংলা আনুবাদ এই আলোচনার বিভিন্ন পর্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসাথে কিয়ামত সম্পর্কে বর্তমান যুগের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও ধ্যান-ধারণা { স্টিফেন ডব্লু হকিং-এর সাড়া জাগানো গবেষণা-ধর্মী (A Brief History of Time) এবং (Blackhole And Baby Universes And Other Essays) -শত্রুজিত দাশগুপ্ত- কর্তৃক বাংলায় অনুবাদকৃত (কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস) ও (কৃষ্ণগহ্বর এবং শিশু-মহাবিশ্ব ও অন্যান্য রচনা)} নামক পুস্তক দুটি থেকে সংগৃহিত এবং পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ্‌ প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য ও ইংগিতের সাথে সমন্বয় সৃষ্টির সাথে সাথে আমার নিজস্ব কিছু বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা-ভাবনার বহিঃপ্রকাশই এই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। প্রকৃত খবর মহাজ্ঞানী মহান আল্লাহতায়ালাই ভাল জানেন। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ, সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই।
বিজ্ঞান-
অনেকের বিশ্বাস কৃষ্ণগহ্বরের অন্তিম বিস্ফোরণের শক্তি হবে এক কোটি এক মেগাটন হাইড্রোজেন বোমার সমান। অন্যদিকে সার্ন ( CERN অর্থাৎ জেনেভায় অবস্থিত কেন্দ্রকীয় গবেষণার জন্য ইউরোপীয় সংগঠন )-এর আর. হ্যাগের্ডন এর মতে একটি কৃষ্ণগহ্বর যত ক্ষুদ্রতর এবং তপ্ততর হবে ততই সেটা বৃহত্তর এবং বৃহত্তর সংখ্যক বিভিন্ন জাতিয় কণিকা উৎসর্জন করবে এবং এমন একটা বিস্ফোরণ সৃষ্টি করবে যেটা কার্ক প্রকল্পের ভিত্তিতে গণনা করা বিস্ফোরণের চাইতে এক লক্ষ গুণ বেশী শক্তিশালী। কৃষ্ণগহ্বর থেকে কণিকা ও বিকিরণ নির্গত হলে তার ভর হ্রাস পাবে। শেষ পর্যন্ত এর ভর শুন্যে পরিণত হবে এবং কৃষ্ণগহ্বরটি সম্পূর্ণ মিলিয়ে যাবে। যে বস্তুগুলি কৃষ্ণগহ্বরের ভিতরে পড়বে সেগুলো তাদের নিজস্ব ক্ষুদ্র একটি শিশু-মিহাবিশ্বে চলে যাবে। একটি ক্ষুদ্র স্বয়ংসম্পূর্ণ মহাবিশ্ব যা আমাদের অঞ্চল থেকে শাখা বিস্তার করবে এবং যা আবার স্থান-কালের আমাদের অঞ্চলে যোগ দিতে পারে। কৃষ্ণগহ্বর থেকে যা বেরিয়ে আসে সেটা কিন্তু কৃষ্ণগহ্বরে যা পড়েছিল তার চাইতে পৃথক। শুধুমাত্র শক্তিটা একরূপ থাকবে। কণিকার সাথে বিপরীত কণিকার সংঘর্ষ হলে তারা বিনাশ প্রাপ্ত হয়। অবশিষ্ট থাকে শুধুমাত্র শক্তি। { বিস্তারিত জানার জন্য কৃষ্ণগহ্বর এবং শিশুমহাবিশ্ব ও অন্যান্য রচনা এবং কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস - বই দুটি দেখে নিতে পারেন। }
আল-কোরআন (Al-Quran)-
সূরা হাক্কা- (69.Al-Haaqqa //The Reality) -আয়াত নং-(১৩ - ১৬)
(৬৯ : ১৩) অর্থ- যখন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে- একটি মাত্র ফুৎকার,
(69 : 13) Then when the trumpet is blown instantly.
(৬৯ : ১৪) অর্থ- পর্বতমালা সমেত পৃথিবী উৎক্ষিপ্ত হবে এবং একই ধাক্কায় ওরা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে।
(69 : 14) And the earth and the mountains are being crushed
after lifting up all at once.
(৬৯ : ১৫) অর্থ- সেদিন সংঘটিত হবে মহাপ্রলয়,
(69 : 15) That is the day when will happen the universal cataclysm.
(৬৯ : ১৬) অর্থ- আকাশ বিদীর্ণ হয়ে বিশ্লিষ্ট হয়ে পড়বে।
(69 : 16) And the heaven will cleave as-under, then on the day it will be in a miserable condition.
সূরা তাকভীর- (81.At-Takwir // The Overthrowing) -আয়াত নং-১১
(৮১ : ১১) অর্থ- যখন আকাশের আবরন অপসারিত হবে।
(81 : 11) And when the covering (dimentional binding) of the space will be removed,
সূরা আম্বিয়া-(21.Al-Anbiya // The Prophets) -অয়াত নং-১০৪
(২১ : ১০৪) অর্থ- যেদিন আকাশমন্ডলীকে গুটিয়ে ফেলব, যেভাবে গুটান হয় লিখিত দফতর; যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টি করেছিলাম, সেভাবে পূনরায় সৃষ্টি করব; প্রতিশ্রুতি পালন আমার কর্তব্য, আমি তা পালন করবই।
(21 : 104) The Day when We shall roll up the spaces as the angel Sajil rolls up the record of deeds. As We created first, We shall creat again just like that. This is a promise on Us; We shall necessarily do it.
সূরা রহমান- (55.Ar-Rahman // The Beneficent) -আয়াত নং-৩১
(৫৫ : ৩১) ছানাফরুগ্বু লাকুম আইয়্যুহাছ ছাক্বালা-ন।
{ ছাক্বালানি=(অর্থ)-দুটি ভারী জিনিস --১৫৪পৃষ্ঠা। ছা=(অর্থ)-অচিরে, অদূর ভবিষ্যতে--২০৯পৃষ্ঠা। ফারাগ্‌তা=(অর্থ)-অবসর প্রাপ্ত হলো - ২৭০পৃষ্ঠা--(কোরআনের অভিধান -- মুনির উদ্দীন আহমদ ) }
{(সাকালানি) শব্দটি (সাকাল)-এর দ্বি-বচন। যে বস্তুর ওজন ও মূল্যমান সুবিদিত, আরবী ভাষায় তাকে বলা হয়। (ছানাফরুগূ) শব্দটি (ফারেগুন) থেকে উদ্ভুত, এর অর্থ কর্মমুক্ত হওয়া--পবিত্র কোরআনুল করিম- মূল- তফসীরে মাআরেফুল ক্বোরআন - (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসির) -অনুবাদ ও সম্পাদনা--মওলানা মুহিউদ্দীন খান--১৩১৯ ও ১৩২০পৃষ্ঠা। }
{ ফারেগুন=(অর্থ)-দায়িত্ব সম্পাদন করে অবসর প্রাপ্ত, দায়মুক্ত --আল-কাওসার---মদীনা পাবলিকেশন্স। }
(৫৫ : ৩১) অর্থ- ওহে দুই ওজন-বিশিষ্ট বস্তু অচিরেই বা অদূর ভবিষ্যতে তোমাদের বিষয়ে মনোনিবেশ করব বা ফায়সালা করব বা অবসর নেব বা কর্মমুক্ত হব।
(55 : 31) O you two weightable matter (particle & anti-particle), immediately or near future We shall play attention to you and come to a conclusion about you.
সূরা নূর- (24.An-Noor // The Light) -অয়াত নং-৪২
(২৪ : ৪২) অর্থ- আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই এবং প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকে।
(24 : 42) And it is for Allah only the Kingdom of spaces and earth and to Allah is the return.
আলোচনা-
{(৫৫:৩১) নং আয়াতটিতে দুইটি ওজন-বিশিষ্ট বস্তু বলতে কি বোঝান হয়েছে তা ভেবে দেখা দরকার। জগৎসমূহের স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা সম্ভবত এখানে দুটি পৃথক মূল্যমান বা বৈশিষ্ট্যের ওজন বিশিষ্ট পদার্থ কণিকা দ্বারা গঠিত অর্থাৎ এর একটি হচ্ছে পদার্থ কণিকা দ্বারা গঠিত এই বস্তু-জগৎ এবং অপরটি হচ্ছে সৃষ্টির আদিতে সৃষ্ট আদিম কৃষ্ণগহ্বর এবং নব গঠিত কৃষ্ণগহ্বর কর্তৃক উৎসর্জনকৃত বিপরীত কণিকা দ্বারা গঠিত প্রতিবস্তু জগতের বিষয়ে ইংগিত প্রদান করেছেন। কারণ এই দুই জগতই ওজন বিশিস্ট, তবে বিপরীতধর্মী।}

অতঃপর (৬৯:১৩) নং আয়াত অনুসারে আল্লাহতায়ালার নির্ধারিত কিয়ামত বা মহাপ্রলয়ের ক্ষণটি যখন সমাগত হবে তখন আল্লাহতায়ালার আদেশে শিংগার ফুৎকারে আসমানের সর্বত্র কৃষ্ণগহ্বরগুলো একে একে বিস্ফোরিত হতে থাকবে। আমরা বিজ্ঞানের বর্ণনায় জেনেছি যে, পৃথিবীর বেশ কাছে বিরাট ব্ল্যাকহোল আবিষকৃত হয়েছে এবং এক একটা কৃষ্ণগহ্বরের অন্তিম বিস্ফোরণে এক কোটি মেগাটন এমন কি এর চেয়েও লক্ষ গুণ হাইড্রোজেন বোমার সমান শক্তি উৎপন্ন হয়। প্রচন্ড শব্দের আঘাতে যেমন কানের পর্দা ফেটে যায়, তেমনি অন্তিম বিস্ফোরণের বিকট শব্দ-জনিত তরঙ্গের আঘাতে এই ক্ষুদ্র পৃথিবীটা উৎক্ষিপ্ত ও চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। সুতরাং (১০১:১,২,৩) ও (৬৯:১৪) নং আয়াতগুলো থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, পৃথিবীর নিকটবর্তী অতি ক্ষুদ্র, প্রচন্ড শক্তিশালী কোন কৃষ্ণগহ্বরের ভয়ংকর বিস্ফোরণের ফলে উৎপন্ন (১০১:১,২,৩) শব্দ-জনিত তরঙ্গের আঘাতে পৃথিবীটা (৬৯:১৪) উৎক্ষিপ্ত ও চূর্ণ-বিচূর্ণ হবে। সূরা কারিয়াহ্ এর (১০১:১,২,৩) নং আয়াতে কঠোর, কর্কশ শব্দ-বিশিষ্ট ঐ জিনিস বলতে যা কিয়ামতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, এমন কোন কিছুর প্রতি অর্থাৎ কৃষ্ণগহ্বরের অন্তিম বিষ্ফোরণের ফলে উৎপন্ন প্রচন্ড শব্দ-তরঙ্গের আঘাত করার ক্ষমতার প্রতি হয়ত এখানে ইংগিত প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া কৃষ্ণগহ্বরগুলো যেহেতু প্রচন্ডতম আকর্ষণ ক্ষমতার বলে আশে পাশের গ্রহ , নক্ষত্রগুলো সহ বস্তু জগতের সকল কিছুকে গ্রাস করছে এবং বিপরীত কণিকা উৎসর্জনের মাধ্যমে আমাদের অন্তরালে তথাকথিত শিশু-মহাবিশ্ব বা প্রতিবস্তুজগৎ গড়ে তুলছে, সুতরাং এমন এক সময় হয়ত আসবে যখন সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় (৮১:১১) নং আয়াত অনুসারে প্রথম আসমানের আবরণ অর্থাৎ বস্তু ও প্রতিবস্তু জগতের মধ্যকার সীমানা (ডাইমেনশন বা মাত্রাগত) সহ সপ্ত-আসমানের সকল সীমানা অপসারণ করা হবে। এর ফলে বস্তু ও প্রতি-বস্তু জগতের মধ্যে কোন অন্তরায় থাকবে না এবং (৬৯:১৫,১৬) নং আয়াত অনুসারে এদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটায় মহাপ্রলয় সংঘটিত হবে ও আসমান ফেটে খান খান হয়ে যাবে। অতঃপর (২১:১০৪) নং আয়াতে আসমানকে গুটিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ এখানে বস্তু ও প্রতিবস্তু জগতের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে যে উভয়েই সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে সেই দিকেই ইংগিত দেয়া হয়েছে। আর (৫৫:৩১) নং আয়াত অনুসারে, এই বস্তু ও প্রতিবস্তু জগতকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে যে দুই ওজনদার বস্তু সম্পর্কে ফায়সালা করা হবে তা বুঝে নেয়া যায়। সর্বস্রষ্টা মহান আল্লাহপাক (২১:১০৪) নং আয়াতের শেষ অংশে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছিলেন, ধ্বংসের পর পূণরায় সেভাবে সৃষ্টি করার বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। (ক্রমশঃ চলবে...)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪১
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×