somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"কর্পোরেট_ফ্যাক্টসমুহ"

১৪ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

#কর্পোরেট_ফ্যাক্ট_১৩

আমাদের দেশে টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস নিয়ে সবারই কম বেশী নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আছে। এক যুগ আগেও এই সেক্টরটাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ের মানুষের কাজের ক্ষেত্র হিসাবে বিবেচনা করা হোত। তবে বর্তমানে এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা বদলেছে। এখন এই সেক্টরটা জব মার্কেটে মোটামুটি একটা ভাল জায়গা দখল করতে পেরেছে। তবুও কোথায় যেন একটা খামতি এখনও থেকেই গেছে। সবচেয়ে বড় বৈষম্য লক্ষ্য করা যায় বেতন কাঠামো খেয়াল করলে। একজন ফ্রেশারের স্টার্টিং স্যালারি অফার করা হয় ১৫-২০ হাজার বা হাতে গোনা কিছু ফ্যাক্টরিতে ২৫ হাজার টাকা। বর্তমান জব এনালাইসিস করলে আপনারা খুব সহজেই অন্যান্য সেক্টরের সাথে পার্থক্যটা ধরতে পারবেন। এই সামান্য টাকা নিয়ে পরিবারের খরচ বহন করা একটু কষ্টকরই বটে। এই প্রেক্ষিতে কারও কারও বক্তব্য অবশ্য ভিন্ন। কিছু কর্পোরেট ব্যাক্তিবর্গ প্রথমেই অবশ্য আপনাকে বলবে, "প্রথমে কত স্যালারি দিচ্ছে এটা না দেখে আগে কাজ শিখো। কাজ শিখলে টাকার অভাব হবেনা।" কথাটার সাথে পরিপূর্ণ একমত হওয়া সম্ভব না। যদি এটাই হয় তবে চার বছরের বি.এস.সি শিক্ষা জীবনের অবমূল্যায়ন করা হয়। একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বি.এস.সি সম্পন্ন করা ফ্রেশ গ্রাজুয়েট এবং একজন নন টেক কখনও সামান হতে পারেনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে একজন বি.এস.সি গ্রাজুয়েটকে শিখাতে যে শ্রম এবং সময় কোম্পানির খরচ করতে হয় তার চেয়ে ঢের বেশী শ্রম এবং সময় ব্যয় করতে হয় একজন নন গ্রাজুয়েট বা ননটেকের পিছনে।



বলতে পারেন যে, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সাথে ইন্ডাস্ট্রির প্র্যাক্টিক্যাল নলেজের বিস্তর ফারাক। তথাপি বেসিক নলেজ কিন্তু ঠিকই অর্জন করতে হয় বি.এস.সি সম্পন্ন করতে চাইলে। প্রথমত একজন গ্রাজুয়েটকে যখন আপনি ১৫ হাজার স্যালারি দিয়ে জয়েন করাচ্ছেন তখন তার প্রথম টেন্ডেন্সি থাকে যেকোনভাবে ৫-৬ মাসের এক্সপেরিয়েন্স শো করে ২০-২৫ হাজারে মুভ করার। এক্ষেত্রে কম্পানি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যদি সেই একই ফ্রেশারকে ২০-২৫ হাজারে নিয়োগ দেওয়া হোত তবে সে অন্যান্য সেক্টরের সাথে তুলনা করে হীনমন্যতায় ভুগতো না। এক্ষেত্রে তার জব সুইচ করারা প্রবনতাও কমে আসত বেশ অনেকটা। একটা কোম্পানির জন্য তার ফ্রেশারকে ধরে রাখা এবং ধীরে ধীরে তাকে ডেভেলপ করে কোম্পানির বড় পজিশনে উন্নীত করা কোম্পানির জন্যই লাভজনক। তাই প্রথমেই একজন ফ্রেশারের স্যালারি স্ট্র্যাকচারের দিকে কোম্পানির মালিকের নজর দেওয়া উচিৎ। ভাল ইমপ্লয়ির মাধ্যমে একটা কোম্পানির উন্নতি সম্ভব।

এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? প্রথমে এটা মেনে নিতে হবে যে, আসলেই স্যালারি তুলনামুলক ভাবে কম দেওয়া হচ্ছে। এবার সবাইকে এই মতে এক হতে হবে। এরপর বিভিন্ন টেক্সটাইলে এসোসিয়েশন গুলোকে একটা মিনিমাম রেঞ্জ সেট করার জন্য একত্র হতে হবে। একত্রে করা সম্ভব না হলেও যারা কোম্পানির এইচআর ডিপার্ট্মেন্টে বড় বড় পজিশনে আছেন তারা চেষ্টা করলে নিজ নিজ কোম্পানিতে ফ্রেশারদের জন্য ভাল একটা স্যালারি স্ট্র্যাকচার সেট করতে পারেন। এতে করে অন্যান্য কোম্পানিও বাধ্য হবে তাদের স্ট্র্যাকচার চেঞ্জ করতে। এখনই যদি স্যালারি স্ট্র্যাকচার নিয়ে কাজ না করা হয় তবে এই সেক্টরে মেধাবীদের আগ্রহ কমে যাবে। যদি ভেবে থাকেন একজন এমপ্লয়ি বেতন কমের জন্য চলে গেলে আরও দশটা ফ্রেশার পাওয়া যাবে। তবে আপনি ভুলের মধ্যে আছেন। এটা কোম্পানির ক্ষতির শুরুর ধাপ জাস্ট। অদূর ভবিষ্যতে অদক্ষ্য কর্মী নিয়ে ধুকে ধুকে ফ্যাক্টরি চালাতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৪৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×