somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মামুন রেজওয়ান
আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

"কর্পোরেট_ফ্যাক্টসমুহ"

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"কর্পোরেট_ফ্যাক্ট_১৮"

মোটামুটি প্রায় ৩/৪ বছর পর আমাদের ডিপার্টমেন্টের জিএম দেশে এসেছেন। অর্থাৎ তিনি হংকং থেকে বাংলাদেশে, আমাদের ফ্যাক্টরিতে এসেছেন। সপ্তাহ খানিকের জন্য এই ভ্রমন। তো দেশে আসার দুইদিন পর তিনি আমাদের ডিপার্টমেন্টের সিনিয়রদের সাথে একটা মিটিং করলেন। কম বেশী পুরাতনদেরকে নামে চিনলেও চেহারা খুব একটা চিনলেননা। যারা মোটামুটি কনফারেন্সে ম্যাডামের সাথে এটেন্ড করে তাদের চেহারা চিনেছেন। তো কথা প্রসঙ্গে কে কে কোন কোন সেকশন দেখছে এটা জিজ্ঞাস করলেন সবাইকে। নিজের পরিচয় এবং ওয়ার্কিং এরিয়ার বর্ননার পাশাপাশি একটা জিনিস সবাইকে উল্লেখ করতে বললেন যে, তোমরা এই সেকশনের দায়িত্ব পাওয়ার পর কি কি উন্নতী করেছ?

প্রত্যেক সেকশন বিশেষত সুইং, কাটিং, ফিনিশিং, প্রিন্টিং, এমব্রয়ডারি যার যার পরিচয় এবং ওয়ার্কিং এরিয়ার বর্ননার পাশাপাশি কমন একটা এচিভমেন্ট উল্লেখ করল। সেটা হল আগে এফিসিয়েন্সি এত ছিল এখন সেই এফিসিয়েন্সি বাড়িয়ে এত করেছি। এই কথা বলার সাথে সাথে ম্যাডাম জিজ্ঞাস করলেন, " What did you do to increase your efficiency?"

তখন প্রত্যেকে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা উল্লেখ করল। ম্যাডাম সেই মিটিং এর প্রত্যেকটা পয়েন্ট নোট করে নিয়েছিলেন। এবং এক সপ্তাহ পর চলে যাওয়ার আগে সকল ম্যানেজারকে ডেকে কিছু পয়েন্ট কারেকশন করিয়ে দিয়েছিলেন। তো এখন এই পোস্টের লার্নিং পয়েন্টে চলে আসি।



ম্যানেজমেন্ট এন্ড রেজাল্ট জানতে চায়না। অর্থাৎ এফিসিয়েন্সি বাড়ানো হয়েছে এটা এন্ড রেজাল্ট । এক কথায় এটা ফলাফল। আপনি যদি শুনেন একজন গোল্ডেন এ+ পেয়েছে, তখন আপনি বুঝতে পারবেননা এটা অর্জনের জন্য তাকে কি কি করতে হয়েছে? কিন্তু কেউ যদি বলে, " আমি প্রতিদিন ১৫-১৬ ঘন্টা লেখাপড়া করেছি, সব কিছু নোট করেছি, বুঝে বুঝে পড়েছি, ঘোরাঘুরি-আড্ডা বাদ দিয়ে বই নিয়ে থেকেছি সারাক্ষন এবং অবশেষে এ+ পেয়েছি। " তখন আপনার চোখে তার কাজ করার রাস্তাটা পরিষ্কার হবে।
ম্যানেজমেন্ট বুঝতে পারবে আপনার রাস্তাটা অন্যের জন্য অনুসরনীয় কিনা। তখন ম্যনেজমেন্ট আপনার কাজকে বুঝতে পারবে। আপনার এফোর্টকে সম্মান জানাবে। আপনিও তখন অন্যের চোখে একজন অনুসরনীয় হতে পারবেন। কাজ আমরা সবাই কম বেশী করি। কেউ প্রচুর কাজ করি, কোম্পানিকে প্রচুর বেনিফিট এনে দেই কিন্তু দিনশেষে আমাদের অধিকাংশের মুল্যায়ন হয়না কারন আমরা ম্যানেজমেন্টের সামনে নিজেকে, নিজের এফোর্টকে উপাস্থপন করতে পারিনা।

তবে আরেক শ্রেনীর লোক আছে যারা অন্যের এফোর্টকে নিজের বলে চালিয়ে দেয়। এরাই মুলত উত্তর দেওয়ার সময় সর্বদা এন্ড রেজাল্টটা আগে উল্লেখ করে। কারন সেতো এফোর্ট দেয়নি তাই সে জানেনা কিভাবে উন্নতি আনতে হয়। এন্ড রেজাল্ট জানাটা খুব সহজ। আগে আমার এফিসিয়েন্সি এত ছিল এখন বেড়ে এত হয়েছে বলাটা সহজ। কিন্তু এর পিছনের গল্পটা খুব ত্যাগের, খুব কষ্টের।
শেষে আমাদের ফিলিপাইনের ডিজিএম ম্যাডামের একটা কথা বলে শেষ করছি, "Fortune will pay you back"

আল্লাহ বলেছেন,
"প্রতিপালকের ক্ষমা ও জান্নাত লাভের জন্যে তোমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এগিয়ে যাও। (একজন প্রতিযোগী বিজয়ী হওয়ার জন্যে যে প্রাণান্ত প্রয়াস চালায়, তোমরাও সেভাবে সৎকর্ম করো।) আর জান্নাতের বিস্তৃতি মহাকাশ ও পৃথিবীর সমান। আর তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে আল্লাহ-সচেতন সৎকর্মশীলদের জন্যে।"
-সূরা জুমা, আয়াত ১০


পার্থক্য শুধু আল্লাহর উপর আস্থা রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের সফলতার পিছনে থাকবে আল্লাহর রহমত + আমাদের পরিশ্রম।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×