নিরাপদ কৃষি চাই
ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে(M.R.T.) পদ্ধতিতে ধান চাষ
ব্যবহারে কৃষি হবে নিরাপদ।
আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী,ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য যার উৎসহ হলো ধান। প্রতি বছরে ধানের ভালো উৎপাধন হলেও প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও অকাল বন্যার কারনে কৃষক তা সংরক্ষন করতে পারছে না। তাই নতুন পদ্ধতি ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে(M.R.T.) এর মাধ্যমে ধান চাষ করা হলে এই সমস্যা থেকে পরিত্তান পাওয়া সম্ভব হবে।(ইনশাআল্লাহ)
এক কেজি ধানে তিন কেজি পানি লাগে আর এই পানি উত্তলনে গর্ভস্থল পানি দিন দিন নিচে দিকে যাচ্ছে, যার ফলে অনেক সময় সেচ মেশিন দিয়েও পানি উত্তলন করা সম্ভব হচ্ছে না,আর সম্ভব হলেও তা ফসলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান হয় না,এই কারনে কৃষক তার কৃষি ফসল হারাতে হয়। এমতাবস্থায় আমরা যদি বর্ষা কালে নদ-নদী,খাল-বিল,পুকুর ও জলাসয় নতুন পদ্ধতিতে বেড ছাড়া ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে(M.R.T.) পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ করতে পারি,তাহলে গর্ভস্থল পানি শূন্যতা কমে আসবে এবং পানির অভাবে ফসলও নষ্ট হবে না। এমনি ভাবে এটি খরা,চর ও লবনাক্ত অঞ্চলে চাষাবাদ করা যাবে। (ইনশাআল্লাহ)
অনেক সময় কৃষক তার ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ফসলী জমি পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছে,জনসংখ্যা বৃদ্ধি ফলে কৃষি জমিনে বসত বাড়ী তৈরী হচ্ছে, এতে করে ফসলী জমি এক সময় হারিয়ে যাবে,এ ছাড়াও খাদ্য ঘাটতি পূরনে বিদেশ থেকে চাউল আমদানী করাতে দেশের আর্থিক অসচ্যলতা হচ্ছে, এমতাবস্থায় আমরা যদি সরকারী ও বেসরকারী ব্যক্তিদের সহোযোগিতায় কিশোগঞ্জ,মৌলভীবাজার,সিলেটের হাওর ও নিম্নাঞ্চল গুলোতে অল্প মেয়াদী ধানে জাত দিয়ে ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে(M.R.T.) পদ্ধতিতে ধান চাষ কতে পারি,তাহলে বছরে চারটি ফসল করে দেশের ঘাটতি পূরণ সক্ষম হবো, সাথে সাথে বিদেশেও রপ্তানি করতেও পারব।এর দ্ধারা দেশের কৃষি ফসল আরো উন্নতি ও যুগপযোগি চাষাবাদ হবে।যার ফলে কৃষক ও রাষ্ট্রীয় জনগণ আর্থিক লাভবান হবে। অবশেষে বলতে চাই এই ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে(M.R.T.) শুধু পানি এবং মাটি উপর চাষাবাদ ছাড়াও খরা ও চর এবং মরুভূমি অঞ্চলেও চাষাবাদ করা যাবে।(ইনশাআল্লাহ)
পরিচিতিঃ- ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে (M.R.T.) তিনটি বস্তু দিয়ে তৈরী,(১) পরিবেশ বান্ধব প্লাষ্টিক ট্রে, যার ভিতরে মাটি ভরে চাষাবাদ করা হবে ও সেচ এর অটো কাজ করবে।(২) বাতাস যুক্ত প্লাষ্টিক কাঠি মোড়ানো,যা ট্রে কে ভাসিয়ে রাখবে ও দূর্যোগ মোকাবেলায় রকেট এর মত দুরান্ত কাজ করবে।(৩) ম্যাগনেট,যা ভাসমান ট্রে গুলো কে পরস্পর সংযুক্ত করে রাখবে।
(১) ট্রে, এটি সম্পূর্ণ ম্যানুফ্যাকচারিং করা হবে, যার পার্শ্ব দেড় ফিট এবং লম্বা দুই ফিট ও গভীরতা দশ ইঞ্চি হবে,এর ভিতরে চারটি ও বাহিরে দুইটি কাজ। ভিতরে চারটি কাজ,এক অটো ড্রয়ার যা ট্রে এর নিচের দিকে চার ইঞ্চি পরিমান সংযুক্ত থাকবে,এখানে সেচ এর পানি জমা থাকবে। দুই এর উপরে ট্রে পরিমান সুচের মত ছিদ্র প্লাষ্টিক নেট সংযুক্ত থাকবে,যা পানি ছেকার কাজ করবে, অবশ্যই এক ও দুই নম্বার সংযু্ক্ত টি শুধু খরা ও চর এবং মরুভূমি ও নিম্নাঞ্চলের জন্য,পুকুর ও জলাশয়ের জন্য এই দুইটি সংযুক্ত লাগবে না।তিন ট্রে এর মাঝ খানে নেটের সাথে ছয় ইঞ্চি পরিমান পিপিসি পাইপ উপরে পেচ কাটানো পয়েন্ট সংযুক্ত থাকবে,যা পরবর্তীতে চাষাবাদে কাজে আসবে।চার ট্রে উপরে চার ইঞ্চি ছিদ্র যুক্ত ও নিচে ছয় ইঞ্চি ছিদ্র মুক্ত থাকবে, ফসলের জন্য সেচ ও পানি জমানো কাজের জন্য।চিত্রঃ
(২) বাতাস যুক্ত প্লাষ্টিক কাঠি,যা ট্রে এর চতুর দিকে মোড়ানো থাকবে, এর পার্শ্ব ও লম্বা চার ইঞ্চি বাই ছয় ইঞ্চি,এবং এই গুলো ট্রে এর মধ্যে কাদা মাটি ভরা পর পুকুর ও জলাশয় উপর ভাসিয়ে রাখবে ও নিম্নাঞ্চল অথবা বন্যা কবলিত ফসলী জমি পানি আসার সাথে সাথে রকটের মত ফসল সহকারে পানির উপর ভেসে উঠবে।
(৩) ম্যাগনেট,যা বাতাস যুক্ত প্লাস্টিক কাঠির সাথে সংযুক্ত করা থাকবে,এবং এটি ট্রে এর চার দিকে চারটি স্থাপন করা হবে,সব কাঠিতে নয়। ম্যাগনেট সংযুক্ত থাকার কারনে ভাসমান ট্রে গুলো পরস্পর আটকিয়ে থাকবে।তাই এর নাম রেখেছি ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে যাকে সংক্ষেপে M.R.T. বলা হবে।চিত্রঃ
ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে (M.R.T.)এর চাষাবাদ পদ্ধতি।
একে দুই স্থানে চাষাবাদ করা হবে (১) পুকুর ও জলাশয় উপর,(২) চর ও নিম্নাঞ্চলের বন্যা কবলিত ফসলী জমি উপর,যেখানে বন্যা আসার পর ফসলী জমি নষ্ট হয়ে যায়।যদি পুকুর ও জলাশয় উপর করা হয়,তাহলে এর জন্য লাগবে ঐ পুকুর অথবা জলাশয় এর নিচে পলি মাটি অথবা পুকুর ও জলাশয়ের পার্শে কাদা মাটি সংগ্রহ করে রাখা ধান চাষ করা জন্য এতে লাগবে ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে,বালতি, বাঁশ ও প্লাষ্টিক দড়ি অথবা ইট ও প্লাষ্টিক দড়ি।
প্রথমে বাঁশ ও দড়ি দিয়ে ঘের তৈরী করে নিতে হবে,তারপর ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে কে পানির উপর ছেড়ে তার মধ্যে বালতি দিয়ে কাদা অথবা পলি মাটি ভরে দিতে হবে,অবশ্যই মাটি ১৬টি উপাদান বিশিষ্ট হতে হবে। অতপর ট্রে টি ঘেরে ভাসিয়ে দিতে হবে,তিন দিন অথবা এক সপ্তাহ পর অথবা সাথে সাথে ধানের চারা লাগিয়ে দিতে হবে। চিত্রঃ
যখন ধানের ফসল হবে তখন ধান কেটে,ট্রে থেকে আগাছা পরিস্কার করে তিন দিন অথবা এক সপ্তাহ পর নতুন করে ধানের চারা লাগিয়ে দিতে হবে,এমন করে কৃষক বৎসরে চারটি ফসল করতে পারবে। চিত্রঃ
আর যদি বন্যা কবলিত ফসলী জমি উপর করা হয়,তাহলে প্রথমে চাষাবাদ জমি কে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী কাদা কাদা করে মই দেওয়ার পর দুইটি ট্রে এক সাথে লাইন ভাবে সাজিয়ে দিতে হবে,এবং দুইটি লাইনে মাঝে দেড় ফিট জায়গা খালি রাখতে হবে,এবং খালি জায়গা থেকে কোদাল দিয়ে কাদা মাটি উঠিয়ে ট্রে গুলোতে ভরতে হবে,তখন সেখানে নালা তৈরী হয়ে সেচ এর জন্য পানি জমা থাকবে। আর খালি জায়গা দিয়ে চলা ফেরা করতে হবে ধান লাগানো ও অন্যান্য কাজের জন্য যেমনঃ-সার ও কীটনাশক প্রয়োগ,আগাছা পরিস্কার,ট্রে পানি শেষ হলে মগ দিয়ে সেচ দেওয়া, (ইত্যাদি)। যখন বন্যার পানিতে ট্রে গুলো প্লাবিত হবে,তখন রকেটের মত দূরান্ত ভাবে পানির উপর ফসল সহকারে ভেসে উঠবে। চিত্রঃ
যদি ভাসমান অবস্থায় ধানে কোন ধরনের রোগ আক্রান্ত হয়,তাহলে পুকুর ও জলাশয়ে কিনারায় অথবা মাঝ খানে ভাসমান মাচা বসিয়ে তার উপর থেকে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে, অবশ্যই মাচা নিচে খালি জায়গা থাকবে যাতে স্প্রে করা ম্যাগনেটিক ট্রে গুলো মাচার নিচ দিয়ে বাহির হয়ে যায়, অথবা ডিজিটাল ড্রোন দ্বারা কীটনাশক স্প্রে করা হবে। চিত্রঃ
উল্লেখিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে সেচ এবং অকাল বন্যা ও প্রাকৃতি দূর্যোগ থেকে কৃষকের ফসল নিরাপদ থাকবে,সাথে সাথে পুকুর ও জলাশয় এবং বন্যা ও বৃষ্টি পানি আর্থিক খরচ ছাড়া সেচ এর জন্য উত্তম ব্যবস্থা।যদি প্রাকৃতি দূর্যোগ উপরের থেকে আসে, যেমনঃ-শীলা বৃষ্টি,পাখী ও পোকা মাকড় এর আক্রমন,(ইত্যাদি)।তাহলে এ ক্ষেত্রে আমাদের ট্রে এর মাঝখানে পেচ কাটানো পাইপ ব্যবহার করব।শীলা বৃষ্টি থেকে ফসল কে রক্ষার্থে দুই ট্রে এর জন্য একটি প্যালাস্টিক নেট লাগবে যা আবহাওয়া পূর্ভাবাসের পূর্বে লাগানো হবে।এটি দুইটি ট্রে এর সমান লম্বা ও পার্শ্ব হবে ও দুইটি পেচ কাটানো পয়েন্ট ও সাথে দুইটি পিন থাকবে,এবং ট্রে এর সাথে নেট লাগানো জন্য একটি আলাদা পাইপ লাগবে যার লম্বা দুই ফিট,উপরে ছিদ্র ও নিচে পেচ কাটানো।আর পাখির আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য ভূতের হাড়ি হাত দিয়ে বানিয়ে ছয় ফিট পাইপের সাথে লাগিয়ে দিবে। চিত্রঃ
প্রথম ট্রে গুলোতে মাটি দেওয়া পর পিপিসি পাইপ লাগিয়ে দিবে তারপর আবহাওয়া পূর্ভাবাসের পূর্বে প্লাষ্টিক নেট লাগিয়ে দিবে এবং ফসল বড় হওয়া পর ভূঁতের হাড়ি লাগিয়ে দিবে।চিত্রঃ
সতর্কতাঃ-অবশ্যই পানির ভাসমান জীব-জন্তু থেকে রক্ষা করতে হবে,যেমনঃ- হাঁস,ব্যাঙ,শাপ,পাখি, কাকরা,(ইত্যাদি) তাই মাঝে মাঝে দেখে রাখতে হবে।এবং ম্যাগনেটিক ট্রে গুলো সাগর ও প্রবল স্রোতে এবং নৌকা,লঞ্চ,ইষ্টিমারের নৌ পথে চাষাবাদ করা যাবে না, বরং যেখানে জলাশয় স্থীর থাকবে সেখানে এর চাষাবাদ বিপলব ঘঠবে।(ইনশাআল্লাহ) যেমনঃ- পুকুর ও হাওর অঞ্চলের মত স্থান গুলোতে।
প্রশ্নঃ-ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে (M.R.T.) কি ভাবে সেচ কাজ করবে ও কয়টি ফসল করা যাবে? উত্তরঃ- পুকুর ও জলাশয় ১২ মাসই পানি থাকে,তাই সেচ এর কাজ সেখান থেকে করবে,এবং লাগাতার চারটি ফসল করা যাবে, এটি আমি পরিক্ষিত ও ফসল উৎপাদনে সক্ষম ।বন্যার সময় নিম্নাঞ্চ ছয় মাস পানিতে ভরপূর থাকে,তাই ছয় মাস দুইটি ফসল করা যাবে, বাকি ছয় মাসে তিন মাস কাদা মাটি শুকনো হতে সময় লাগবে এরই মধ্যে একটি ফসল করা যাবে, এবং বাকি তিন মাস অটো ড্রয়ার থেকে ফসলের জন্য সেচ এর পানি জমা থাকবে,তখন হবে একটি ফসল, আর এই চতুর্থ বার ফসল করতে করতে আবারো বৃষ্টি ও বন্যার পানি এসে যাবে।
প্রশ্নঃ-এই ম্যাগনেটিক ট্রে কত দিন টিকে থাকবে? উত্তরঃ- এটি লাইফ টাইম টিকে থাকবে,কারন সাধারন প্যালাস্টিক পলিথিন এক গবেষনায় পচতে লাগে ৪০০ চারশত বৎসর,আর একে তার চেয়ে শক্তিশালী ভাবে ম্যানুফ্যাকচারিং করা হবে যা লাইফ টাইম ব্যবহার করা যাবে।
প্রশ্নঃ-এটি চাষাবাদ করার পর স্থল ভাগে রাখা হবে? উত্তরঃ-না,এটি পুকুর ও জলাশয়ের উপর এবং বন্যা কবলিত ফসলী জমির উপর বার মাসই স্থাপন করা থাকবে।
প্রশ্নঃ-ট্রে গুলো আগাছা পরিস্কার পর মাটির ঘাটতি হবে কি? উত্তরঃ-হ্যাঁ হবে, তা অল্প পরিমান তাই মাটি ঘাটতি হলে তা পূরণ করতে হবে,অব্শ্যই এই কাজটি চার থেকে আটটি ফসল করা পর। (অর্থাৎ এক থেকে দুই বৎসর পর।) এবং মাঝে মাঝে ফসল কাটা পর অটো ড্রয়ার খুলে চেক করতে হবে যে তা তে পানি জমা হচ্ছে কি না? যদি ব্লক হয়ে যায় তাহলে পরিস্কার করতে হবে।
প্রশ্নঃ-ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে মূল্য কত? উত্তরঃ- ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
প্রশ্নঃ-গরীব কৃষক এটি কিনতে সক্ষম হবে কি? উত্তরঃ-যদি গরীব কৃষক কিনতে সক্ষম না হয় তাহলে সরকারী ও বেসরকারী কৃষি প্রতিষ্ঠান গুলো তাদেরকে আর্থিক ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করবে।
প্রশ্নঃ-এটি কি পরিবেশ বান্ধব? উত্তরঃ-হ্যাঁ,এটি পরিবেশ বান্ধব, কেননা একে ম্যানুফ্যাকচারিং করা হবে পরিবেশ বান্ধব প্লাষ্টিক দিয়ে যা সহজে পচবে না। যদিও প্লাষ্টিক থেকে কোন ধরনের গ্যাস বাহির হয়,তাহলে সবুজ ফসল তা শূষন করে নিবে।এবং জলাশয়ে মাছ ও জীব-জন্তুর কোন ধরনের ক্ষতি হবে না,কিন্তু কীটনাশক প্রয়োগ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে যাতে তা মাত্রাধিকার না হয়।
যৌক্তিকতা
(১) বাংলাদেশে ৪৭টি হাওর অঞ্চল রয়েছে,তম্মধ্যে যদি ৩০টি হাওরে ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে (M.R.T.) পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা যায়,তাহলে দেশে ধানের ঘাঠতি পূরন হয়ে বিদেশে রফতানি করা যাবে,এতে দেশের অর্থনীতি কাঠামো সুদৃড় হবে।
(২)প্রতি বসরে অকাল বন্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে কৃষক তার কৃষি ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে,আর চাই না কৃষকের কান্না এইাই হলো কৃষকের চূড়ান্ত সমাধান ও নিরাপদ কৃষি।
(৩)পানির জন্য কৃষক হাহাকার অসময়ে পানি,অর্থাৎ যখন ফসলের জন্য পানি দরকার তখন পানি পায় না,আর যখন পানি দরকার নাই তখন হয় অকাল বন্যা,তাই সর্বাস্থা এর চাষাবাদ করা যাবে।বন্যায় কৃষক কর্মহীন হয়ে পড়ে,তখন তাদের কর্মসংস্থা ব্যবস্থা হবে,এবং শহর অঞ্চলে চাপ কমে যাবে।
(৪) বর্তমান বিশ্বে জলবায়ূ পরিবর্তনে কৃষি কে গ্রীন হাউস ও হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে,যা গরীব কৃষকের জন্য ব্যয় বহুল।এ ছাড়াও পরিবেশবীদদের নিকট এই দুই পদ্ধতি জলবায়ূ পরিবর্তনের কারন সমূহের মধ্যে ধরা হয়।আর আমার এই আবিস্কার করা ম্যাগনেটিক রকেট ট্রে(M.R.T.) পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে পরিবেশের কোন ধরনের ক্ষতি হবে না।(ইনশাআল্লাহ)
(৫) এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে,ফসলের জন্য খরচহীন সেচ এর ব্যবস্থা হবে।এবং বার মাসে কৃষক চারটি ফসল ঘরে উঠাইতে পারবে।(ইনশাআল্লাহ)
(৬) বাংলাদেশর নদ-নদী, হ্রদ ও জলা, হাওর, বাঁওড়, খাল, বিল, ঝিল, দীঘি, পুকুর ও জলাশয় এবং চর ও বন্যা কবলিত নিম্নাঞ্চল অনাবাদি পড়ে থাকবে না,বরং এর দ্বারা চাষাবাদে কৃষকের সুদিন ফিরে আসবে। এছাড়াও বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে একটি নতুন উপহার দিবে।(ইনশাআল্লাহ)
(৭) কৃষি কাজ এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে জলবায়ূ পরিবর্তন ও প্রার্কৃতি দূর্যোগ মোকাবেলা কৃষি ফসল কে নিরাপদ রাখবে।(ইনশাআল্লাহ)
(৮) সরকার নদ-নদী খাল-বিল এর খনন কাজ করছেন,এটি দেশের জন্য অনেক উত্তম কাজ।কিন্তু এক যুগ পর আবারো সেখানে পলি মাটি জমা হয়ে পড়বে।তখন সরকার কে আবার বার্তি খরচ করা লাগবে।তাই এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে কৃষক তার ট্রে গুলোতে পলি ও কাদা মাটি পানির তলদেশ থকে উত্তলন করে ভরবে,এতে করে নদ-নদী খাল-বিল এর পলি মাটি জমা হবে না। (ইনশাআল্লাহ)
আবিস্কারকঃ- কৃষক মাওলানা আল-মামুন (সাখী)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫