সেদিন অফিস থেকে বাড়ি ফিরে দেখলাম টিভিতে সত্যজিৎ রায়ের 'আগন্তুক' চলছে।
জ্ঞান হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার সিনেমাটি দেখেছি।
প্রতিবারই সিনেমাটা আমাকে নতুন করে ভেবে দেখার উপাদান যুগিয়েছে।
সেদিনও ড্রয়িং রুমের সিনটা (যা সিনেমাটির অন্যতম মুখ্য সিনও বটে) আমাকে ছুঁয়ে গেল।
সত্যিই তো, মানুষ হয়ে মানুষের মাংস কোন সভ্য লোকে খেতে পারেনা।
কিছু কিছু উপজাতির নরমাংস খাওয়া বা ক্যানিবলিজম'কে কখনোই সভ্যতা বলা যায়না।
কিন্তু, শুধুই কি ক্ষুধা নিবারণের জন্য নরমাংস খাওয়া উপজাতিরাই বর্বর?
যারা কেতাদুরস্ত সাহেবি পোশাক পরে নির্বিকার চিত্তে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করে একটা গোটা শহরকে
ধ্বংস করে দিতে পারে তারা কী ক্যানিবল নয়?
যারা প্রতিদিন জাতি, ধর্ম, ভাষার বিভেদের নামে হাসতে হাসতে গণহত্যা করতে পারে তারা কী বর্বর নয়?
যারা জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণ করে তার পেট চিরে ভ্রূণ বের করে আনে অথবা
যারা আল্লাহু আকবর বলতে বলতে শিশুকে হত্যা করে তার মাকেই তার মাংস খেতে বাধ্য করে তাদের আমরা কি বলব?
তাদের কে কেন আমরা অসভ্য, বর্বব বলবনা?
আসলে, যে ঈশ্বর তথা ধর্মবিশ্বাস মানুষকে প্রভাবিত করে এই কাজ করায় তাই হল বর্বর।
সেজন্যেই পরিচালক, 'আগন্তুক' মামাবাবুর মুখ দিয়ে বলিয়েছেন, "যে জিনিস মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে আমি তা মানিনা।
ধর্ম অর্থাৎ রিলিজিওন এটা করেই, তাই আমি ধর্ম মানিনা।"
সিনটার লিঙ্ক দেওয়া হল।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:০১