somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Bonolota sen Of Nato

২৪ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

#বনলতা (গল্প)

এক সন্ধে রাত্রিরে বনলতার ঘরে ঢুকলুম , যেয়ে দেখি বনলতা মেহগনি কাঠের খাটের ওপর শুয়ে আছে কাথাঁমুড়ি দিয়ে । এত-একটা জীর্ণঘর ,ষাট পাওয়ারের বাল্পের আলোটা আরো যেন লীন । বনলতার মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হল ,কতদিন যেন ওর শরীরে পুষ্টি ঢুকেনি ! দেখতে পঞ্চাশ বছরের কোন মধ্যবয়স্ক নারীর মত লাগচে । জ্বর বুঝার জন্য কপালে হাত দিতেই বনলতা জেগে উঠলো , বার বার ঢুগ গিলে আমতা আমতা করে ইশারায় দেখালো ঐ চেয়ারটি টেনে কাছে বসো । এরপর একটু উঠেয়ই বসলো , আগে থেকে অনেক সতেজ দেখালো ওকে । কিছুক্ষন নিশ্চুপ থেকে বললো , তুমি আসলে কেন ? পাড়ার ভদ্রর লোকের ছেলে তুমি , জানলে দুর্নাম রটে যাবে না ?
-শুনলাম , খুব অসুস্থ তুমি !
বনলতাঃ তাইকি এসেচো ? ঠিক করে বলো ?
-হুম ।
বনলতাঃ এখনও রোজ এসে দাড়াও বাইরে ,প্রায়ই দেখি জানালার দিকে তাকিয়ে আছ , এখনও কি কোন আশা আছে ?
-তুমি জানালার ভেতর দিয়ে তো টেরপাও , কোনদিন জানালা খুলেঁ ডাকনিতো ?
বনলতাঃ শুন, তুমি আমার অনেক ছোট ।
-বড়রা বুঝি খুব ভালো ?
বনলতা আর নিশ্চুপ হয়ে গেল , পর থেমে থেমে বললোঃ কি করছো এখন?
-বেকার ।
বনলতাঃ ও ।
-কি হয়েচে তোমার ?
বনলতাঃ শরীরটা একেবারেই ভালো নেই । মাথা এখনো জিম জিম করচে ।
-তুমি যদি চাও তোমার কপাল আলতো করে টিপিয়ে দিই, ভালো লাগতে পারে ।
বনলতাঃ আমার শরীর ধরার ফন্ধী বুঝি ?
-কিছুটা নিশ্চুপ হয়ে গেলাম ।
বনলতাঃ মাকে ,গিয়ে বল বিয়ে করিয়ে দিতে , বেশ্যাদের পিছনে ঘুরে সময় নষ্ট করো না ,ফতুর হবে তুমি ?
-ফতুর ? আমার কিছু নেই তো ।
বনলতাঃ জানো এই জীবনে কতজনকে ফতুর করেচি ?
-কতজন কে ?
বনলতাঃ বহুজন কে , যখন রুপ লাবন্য আরো ছিল কতজন যে তাদের জমি -জমা , স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে আমার পিছন ঢালচে ! সেই অভিশাপেই পড়িচি মানুষ , সেই অভিশাপেই ! কতজনার সাংসারে আগুন ধরিয়েচি আমি , আর এখন ধুকে ধুকে মরেচি জীবনে সাংসার কি সেই স্বাদটাই পেলুম না, জন্মদিতে পারলুম না নিজের রক্তে গড়া সন্তানকে ।
-সব ,ঠিক হয়ে যাবে । এখনো সময় ফুড়িয়ে যায়নি , একটু গুছিয়ে নিজের মত সাজিয়ে নিতেই পার ।
বনলতাঃ হুম , এরপর তাই করবো ।
-করো, পারবে তুমি । মানুষ সব-সময় এক ভুল বার বার করে না ।
বনলতাঃ আচ্ছা তুমি আসো কেন এখানে ?
-তুমি , বনলতা বলে !
বনলতাঃ কেন, বনলতার মধ্য কি আলাদা ব্যাপার আছে ?
-ঐ তো, বনলতা সেন অফ নাটোর ! তোমাকে শুনিয়েছিলাম কবিতাটা , ওর সাথে তোমার মিল খুজি ।
বনলতাঃ সত্যিই কত সুন্দর কবিতা গো ।
-হুম ।
বনলতাঃ ওমন কোন নারী ছিল পৃথিবীতে ?
-হুম ছিল, এই যে তুমি যেমন আছ । আমাদের চারশাপঁ নিয়েই গল্প,কবিতা ।
বনলতাঃ বনলতা সেন তো কত পবিত্র বিষয় , ও তো আমার মত মাগী ছিল না ?
-বনলতা সেনও হয়তো ছিল !
বনলতাঃ মাগী ছিল ?
-হয়তো ।
বনলতাঃ দুর, মিথ্যা বলচো ! আমাকে শান্তনা দেবার জন্য বলচো এগুলো ।
-মিথ্যা নয় , সত্যিই ।
বনলতাঃ কেমন?
-বনলতা সেন ছাড়াও আরো কিছু কবিতা ছিল বনলতা সেন কে, সেখানে ভিন্ন রকম ভাবে এক একটি চরিত্র । একজায়গায় ছিল , অন্ধকারে বুকের ওপর খেলা করে যাও বনলতা সেন ।
-বনলতাঃ সেটা কি প্রমাণ ?
-অন্ধকারে শরীরের ওপর নিত্যতো তোমরাই জানো ! আর -মিলুদাও পতিতাপল্লীর পাশেই থাকতো সে খানেই হয়তো বনলতার সাথে সন্ধি হয়েছিল ।
বনলতাঃ হলেও , ঐ বনলতা সেনের সাথে আমার অনেক তফাদ ! সে কত ভালো ছিল, আমি কতজনের সাংসারে আগুন ধরালাম ।
- সবাই , সবার জন্য আন্তরিক না , এই যে তুমি যেমন আমার প্রতি ।
বনলতাঃ সত্যিই গো , সবাই তো এখানে আসে শরীর প্রয়োজনে , এসেই জাপিয়ে পড়ে । তুমি আসলে একটু শান্তিই পাই মানুষ, কত মজার মজার গল্প তুমি জানো , খুব ছোট্টবেলাতে হারিয়ে যাই কথা বলতে বলতে আবার ভাবি তুমি তো ছোট্ট যদি দুর্নাম রটে যায় ।
-পারস্পারিক সাহার্য্য পাওয়া বা নেয়ার মধ্য দুর্নাম নেই । আর আমি তো , বনলতা সেনকে খুজচ্ছি এতে প্রেম মিথ্যা নয় ।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×