somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের উন্নয়ন একটি অমীমাংসিত বিস্ময়: বিশ্বব্যাংক (কপি-পেস্ট) সকাল বেলায় মনটা ভাল হয়ে গেল ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০১৩ : বাংলাদেশের উন্নয়ন একটি অমীমাংসিত বিস্ময়: বিশ্বব্যাংক


বাংলাদেশের উন্নয়নকে বিশ্বব্যাংক একটি অমীমাংসিত বিস্ময় বলে মন্তব্য করেছে। বহুপক্ষীয় দাতা সংস্থাটি বলেছে, কিছু দেশ মানব উন্নয়ন সূচকে ভালো করেছে, কিছু দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভালো করেছে। যে গুটি কয়েক দেশ দুটি সূচকেই ভালো করেছে, তাদের একটি বাংলাদেশ।

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সম্পর্কে এসব কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ ‘বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০১৩’-এ। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে নৈরাশ্যবাদ বোধগম্য ছিল, কিন্তু তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অর্ধশতাব্দী ধরে পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশে নগরায়ণের ফলে যে উন্নতি হয়েছে, তা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও ঘটছে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার মতো বড় শহরকে কেন্দ্র করে শিল্পায়ন হচ্ছে। বর্তমানে অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান ৩০ শতাংশ, ১৯৯০ সালে ছিল ২০ শতাংশ। এখন নগরায়ণের হার প্রায় ৩০ শতাংশ, ১৯৮০ সালের চেয়ে তা দ্বিগুণ। ১৯৯০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে জিডিপিতে রপ্তানি খাতের অবদান তিন গুণ বেড়েছে, এটা সম্ভব হয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের কারণে, যেখানে নারী শ্রমিকের অবদান বেশি। এই কাঠামোগত রূপান্তরের সঙ্গে কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতার উন্নতি যুক্ত হয়ে জীবনমানের শ্রীবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

৪০১ পৃষ্ঠার বেশি বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদনের এবারের শিরোনাম ‘জবস’। এর অর্থ ‘কাজ’। মলাটে বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, ফরাসি, জাপানি, চীনা—এ রকম নানা ভাষায় জব বা কাজের শব্দার্থ দেওয়া হয়েছে। পৃথক একটি পৃষ্ঠায় মলাটের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর লেখা প্রথম বইয়ে বলা হয়েছিল, যদি বাংলাদেশের সমস্যা সমাধান করা যায়, তাহলে যুক্তিসংগতভাবে আস্থা রাখা যায় যে এর চেয়েও কম জটিল সমস্যার সমাধান সম্ভব। বাংলাদেশকে উন্নয়নের পরীক্ষা ক্ষেত্র হিসেবে এ কথা বলা হয়। অধিক জনঘনত্ব, সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ, অনুন্নত অবকাঠামো, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে এই নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।

বিশ্বব্যাংক বলছে, প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে। কৃষকেরা জমিতে এক ফসল থেকে দুই ফসলে গেছেন ও উচ্চফলনশীল জাত বেছে নিয়েছেন। ভাগ চাষের পরিবর্তে জমি ইজারার মাধ্যমে জমি চাষে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। এতে লাভবান হয়েছেন ভূমিহীন ও প্রন্তিক চাষি। অন্যদিকে দেশের সুপরিচিত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কল্যাণে ঋণ পাওয়ার বাধাগুলো দূর হয়েছে।

গ্রামাঞ্চলে এখন কৃষিতে উদ্বৃত্ত শ্রমিক আছে। তা সত্ত্বেও কৃষি মজুরি এখন ছয় কেজি চালের আর্থিক মূল্যের চেয়ে বেশি। ১৯৮০ সালে তা ছিল দুই কেজি চালের আর্থিক মূল্যের চেয়ে কম। মঙ্গা সময়ের মৌসুমি ক্ষুধাও এখন আর নেই।

কৃষি খাতের বাড়তি শ্রমশক্তি চলে যাচ্ছে কাছের শহরে। বাংলাদেশের নগরায়ণে পোশাকশিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই শিল্পে এখন ৩০ লাখ নারী কাজ করছেন। কৃষিকাজের লোক গিয়ে নির্মাণশিল্পেও কাজ নিচ্ছেন। অনেক অদক্ষ শ্রমিক দেশের বাইরে, বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশে কাজ করছেন। প্রবাসী আয় প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে।

সব শেষে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক নীতির ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দারিদ্র্য, যুব ও নারীবান্ধব কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এগুলো জনসংখ্যা কমাতে এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সরকারি-বেসরকরি বিনিয়োগে উৎসাহ জুগিয়েছে।

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৬
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×