হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করে চায়ের দোকানদারের কাছে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে এখন অবধি তার আর তার পালিত কুত্তাগুলোর যে পরিমান অপকর্মের রেকর্ড বাজা শুরু হয়েছে এতে দুই পক্ষই ঘুমাতে পারছে না। একপক্ষ হচ্ছে আপাতত সাধারণ জনগণ অন্য পক্ষ হচ্ছে তার পালিত কুত্তাগুলো।
সাধারণ জনগণ রাতের বেলা ঘুমাতে গেলেই প্যাচ লাগিয়ে ফেলছে পাচার করা অর্থের পরিমানের শুন্যের সংখ্যা নিয়ে , আয়না ঘরের অমানুষিক নির্যতনের গল্প সরাসরি ভিকটিমের মুখ থেকে শুনে, পিলখানার পরিকল্পিত নারকীয় বীভৎস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা এবং সদ্য প্রকাশ হওয়া কিছু অসহ্য ছবি, হেফাজতের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞ এবং সেই লাশ গুলো ট্রাকে করে এনে মাতুয়াইল ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লার সাথে ক্রাশ করে গার্বেজ বানানোর প্রক্রিয়া, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন আরো কত কি। আমার ঘুম হয়না হাসিনার মুখ টা চোখের সামনে ভেসে উঠলে, সে যখন কান্না করছিলো গ্লিসারিন চোখে দিয়ে তখনও কতটা রক্ত পিপাসু দেখাচ্ছিল তাকে।
অপর দিকে তার পোষা কুত্তাগুলোর ঘুম হচ্ছে না এর বিভিন্ন কারণ আছে। কেউ খোলস পাল্টানোর চেষ্টা কিভাবে করবে তা বুঝতে পারছে না, কেউ এখনো যুক্তি খুঁজে যাচ্ছে এসব অপকর্মকে কিভাবে বৈধতা দেওয়া যায় তা ভেবে , কেউবা তাদের নেত্রীর এই পালিয়ে যাওয়ার রীল মেনেই নিতে পারছে না। আরো অনেক কারণ আছে তাদের ঘুম না আসার। যেখানে লিখছি এই ব্লগেও কিছু সোনামনিরা আছেন এসব কে খুব সিলি ভাবেই নিতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না। তাদের মন্তব্য এবং পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে এরা আর যাই হোক জিহবা সংবরণ করতে পারবে না। বলছে নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করে এসব করেছে তৃতীয় পক্ষ। এখন যখন হাসিনা ও তার পোষা কুত্তাগুলোর পুর্বের অপকর্ম প্রকাশ পাওয়া শুরু করেছে জানিনা এরা কাকে দায়ী করবে এসবের জন্য।
আমার মাথায় এখনো একটা প্রশ্ন ঘুরছে , সেনাবাহিনী কেন হাসিনা কে এতো সহজে চায়ের দোকানে পাঠাইলো ? তার আর তার পোষা কুত্তাগুলোর অপকর্ম কি তারা জানতো না ? সেনা বাহিনী কি দীর্ঘমেয়াদি কোনো গোপন পরিকল্পনার কোনো আশ্রয় নিলো? দেশে তো কারাগারের অভাব ছিল না, হাসিনা সেখানে থাকতো।
আবার মনে হচ্ছে যে হাসিনা দেশে থাকলে তার প্রশিক্ষিত কুত্তাগুলো যেকোনো ভাবেই আবার ভুগ ভুগ করতে করতে কামড় দেওয়া শুরু করতো। সাধারণ মানুষ সব সময় লড়াই করতে পারবে না এটা প্রমাণিত , তবে তারা যখন খেপে যাবে তখন জীবনের মায়া ত্যাগ করে হলেও সত্যকে প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু হাসিনার পোষা কুত্তাগুলো মনে হয় জন্মের পর থেকেই অপকর্মে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তাই এদের সাথে সম্মিলিত ভাবে না লড়াই করলে পরাজয় নিশ্চিত যার প্রমান এখন আস্তে আস্তে পাওয়া যাচ্ছে মানে প্রকাশ হচ্ছে। কেউ যদি আন্দাজ করতে পারেন হাসিনাকে সেইফ এক্সিট দেওয়ার কারণ কি তবে বলতে পারেন। শুনেছি সেনা বাহিনী প্রধান হাসিনার আত্মীয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৭