জামান বয়স ২৩। অনাত্নীয় কোন মেয়ের
সাথে পাঁচ মিনিটের জন্যও হলেওতার
কখনো কথা বলা হয়নি। তবে
গল্প,উপন্যাসের মাধ্যমে সে মেয়েদের
সম্পর্কে কিছুটা জানে।অন্তর্লীলা
উপন্যাসের কৃশানুর চরিত্রের সাথে
তার যথেষ্ট মিল আছে।জামান ভদ্র
ছেলে আর ভদ্র ছেলেরা মেয়েদের শুধু
দ্যাখে কিন্তু তাদের ডিসটার্ব করে
না।জামান মেয়েদের সামনে
মুখচোরা।পাড়ার প্রতিবেশি
মেয়েদের সাথে কিংবা সহপাঠিণী
মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় তার
বুকের ধুক ধুক শব্দ সে তার নিজ কানে
শুনতে পায়।তাই কাউকে পছন্দ হলেও সে
তাকে তার ভালবাসি কথাটা
জানাতে পারেনি।ভালবাসি
কথাটা সবাই বলতে পারে না ,
পরিবার বা সমাজের কারনে হয়ত এটা
বলা সম্ভব হয়ে ওঠে না।হয়ত সে একটু সময়
নিয়ে ভাল লাগার কথাটা বলতে চাই।
নিজেকে আরও যোগ্য করে তার সামনে
উপস্থাপন করতে চাই।
.
মেয়েটার নাম লাবণ্য।শেষের কবিতার
লাবণ্যর রূপের চেয়ে গুণ বেশি,কিন্তু এই
লাবণ্যর রূপ আর গুণ দুটোই অতুলনীয়।বিয়ে
উৎসবে তাকে প্রথম দ্যাখে জামান।
তাকে এক পলক দেখেই তার অবচেতন মন
বলে উঠে তুই যদি আমার হইতি রে.....
তার কমলার কোয়ার মত ঠোট,মেঘ
কালো টেউ খেলানো চুল।তার কাজল
কালো চোখ দুটো এমন যে চোখে চোখ
পড়লে ধর্ষিত হতে হয়।দেখলে মনে হয়
ভি ফর ভেনডেটা মুভির নায়িকা
নাটালী পোর্টম্যান ।
.
.
জামানের চিন্তা চেতনায় সব সময়
বিরাজ করত লাবণ্য। যেমনি ভাবে দ্য
অ্যলকেমি তে ফাতিমা বিরাজ করত
স্যান্টিয়াগোর মনে।সে লাবণ্য কে
নিজের বউ ভাবতে শুরু করেছিল।তার
কারণ ও আছে। বছরে যে দুই -একবার
জামানের লাবণ্যর সাথে দেখা হত
তখন তারা তাদের সাথে এমন ভাব করত
যেন ভালবাসি হয়নি বলা তবু দুজন
দুজনকে ভালবাসি।
.
এভাবে দুই বছর পার হয়ে যায়।
.
.
একদিন লাবণ্য অন্য একটি ছেলের হাত
ধরে সেই ফাগুনী পুর্নীমার রাতে
গোলাপ চাষের জন্য দূর দেশে
পালিয়ে যায়........
.
লাবণ্য কে উদ্দেশ্য করে জামান,
.
ছি লাবণ্য,
আমি সৎ থাকতে পারলেও কেন তুমি
সতী থাকতে পারলে না.... ( সৎ এর
বিপরীত শব্দ সতী)।পৃথিবীর কোটি
কোটি পুরুষ প্রতিদিন তোমাকে
ভালবাসার কথা জানাবে,তাই বলে
কি তুমি তাদের কে ভালবেসে
ফেলবে?এটা নিয়ে মাথা ঘামালে
তো মেয়েদের কিছু করাই হত না।
আমি কেন চুপ থাকি তুমি কি তা
জানতে
না?
আমি তোমার কাছে সময়
চেয়েছিলাম।Success talks loudest, success
can buy silence.কিন্তু তুমি আমাকে
জেগে উঠতে সময় দিলে না।ঝিঙ্গে,
করলা,লাউ যেরকম দিনে দুইবার করে
বাড়ে,তুমি তার চেয়েও দ্রুত বেড়ে
উঠলে।তুমি আমার অন্তরকে ছারখারট
তো করলেই তোমার পরিবার কেও তুমি
ডাইয়িং & প্রিন্টিং করে ছাড়লে।
তোমাকে আজ আমি তেমন কিছু বলবনা
শুধু একটি কথা না বলে থাকতে
পারছিনা। আচছা কেন আমি
তোমাকে নির্মলেন্দু গুনের " একটি
প্রেমের গোপণ প্রস্তুতি পর্ব "
কবিতাটি পড়তে দিয়ে ছিলাম তা
কেন তুমি অনুভব করতে পারলে না!
আমি তোমাকে আজ
আঘাত দিয়ে কোন কথা বলবো না
কারণ হাতুড়ি দিয়ে কোন কিছুকে
আঘাত করলে, হাতুড়ি ও কিছুটা গরম হয়।
অনেক অনেক ঘৃর্ণা।