শৈশবে বহুবার শোনা ঘটনাটা হয়তো অনেকেরই জানা। তবুও আবার না হয় নতুন করে শুনুন।
শাহজাদী নামের আমাদের এক ফুফু পড়তেন কুমিল্লা শহরে হোস্টেলে থেকে। তিনি একবার বাড়ি আসলে তার মুখ থেকে এই জ্বীনের কাহিনি শুনে একধরনের ভয় বুকে বাসা বেধে ছিল অনেকদিন।
কোন এক শহরতলীতে মেয়েদের হোস্টেলে এক রুমে তিন জন ছাত্রী থাকতো। তাদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক ছিল। তারা একে অপরের বান্ধবী হয়ে উঠছিলেন। তখন সে এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলনা। তো স্বাভাবিকভাবেই রাতের বেলা হ্যারিকেন জ্বালিয়ে পড়া-শোনা করতে হতো।
এক রাতে ১১।০০ ঘটিকার পর দুই বান্ধবী শুয়ে পড়ল। কিছুক্ষনের মধ্যে একজন ঘুমিয়ে গেল। আরেকজনের ঘুম আসছিলনা তাই সে জেগে থাকা বান্ধবীকে বলল-তুমি তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করে হ্যারিকেন নিভিয়ে দাও।
একটু পরে সেই শুয়ে থাকা বান্ধবীটি যা দেখল তাতে তার শরীর শিউরে উঠল। সে দেখল তার জেগে থাকা বান্ধবী বিছায় শুয়ে পড়েছে
এবং তার হাতটি লম্বা হতে হতে সেই জলন্ত হ্যারিকেন এর কাছে গিয়ে হ্যারিকেন নিভিয়ে দিয়ে আবার যথাস্থানে চলে গেল।
চোখের সামনে এমন একটা কান্ড ঘটতে দেখে সেই বান্ধবী খুব ভয় পেল। কিন্তু সে কোনভাবেই তা প্রকাশ করলনা। এক রকম ছট ফট করেই তার রাত কাটলো।
পরের দিন সকালে সেই বান্ধবী হোস্টেল সুপারকে সব বলে দিলে সুপার তাকে এই বলে শান্তনা দিল যে-তুমি হয়তো স্বপ্ন দেখেছ।
রুমে ফিরলে সেই জ্বীন বান্ধবী বলল- এতদিন আমার রহস্য গোপন ছিল। কিন্তু তুমি জেনে গেছ এবং তা অন্যকেও জানিয়েছ। তাই আমার পক্ষে আর এখানে থাকা সম্ভব নয়।
আমি আসলে জ্বীন। পড়া-শোনা করার জন্যই মানুষের বেশে তোমাদের সাথে ছিলাম। দেখ ঐ যে জানালার পাশে খেজুর গাছটা ওটার উপরে উঠেই আমি এখানে আসা যাওয়া করতাম। আজ আবার ওখান দিয়েই চলে যাব।
তুমি ভাল থেক। ভয় পেয় না । আমি কারো ক্ষতি করবোনা।
কথা শুনে এক প্রকার আতঙ্কে ও ভয়ে সেই বান্ধবীটি ঘামিয়ে উঠল। সে দেখল তার চোখের সামনে-জানালা দিয়ে সাই করে তার এতদিনের চেনা বান্ধবী অচেনা রূপে সেই খেজুর গাছটির উপরে গিয়ে উঠল এবং চোখের পলকে অদৃশ্য হয়ে গেল।
বিঃদ্রঃ আমি মুসলিম হিসেবে বিশ্বাস করি জ্বীন আছে। অনুগ্রহ করে কেউ এ নিয়ে তর্কমূলক মন্তব্য করবেন না ।
ছবি : কালের কন্ঠের কালের খেয়া ম্যাগাজিন থেকে মোবাইলে তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩