আজকের গল্প হচ্ছে বাবুকে তুই করে বলা বা অশুদ্ধ করে কথা বলা নিয়ে ঘটনা।
আমার মেয়েকে যখন বিরক্ত নিয়ে কিংবা রাগ করে বলি- যা তুই এখান থেকে দূরে যা। তুই কেন এটা করলি, তুই কেন এটা নষ্ট করলি ? ব্যস হয়ে গেছে কান্ড। সে দৌড়ে তার মার কাছে গিয়ে মুখ ফুলিয়ে বলবে- আম্মু বাবা আমাকে তুই করে বলেছে। কেন তুই করে বলল ? তুমি বকা দিয়ে দাও।
খাওয়ার সময় যদি আমি কখনো বলি - আমি এই তরকারিটা খাইতাম না কিংবা এটা আমার ভাল্লাগেনা। তখন সে বলে তুমি এইভাবে কেন বলছ আব্বু। খাবো না বলতে হয়। ভালো লাগে না বলতে হয় । তখন আমি বলি কি আশ্চর্য তোমার জন্য কি আমি একটু মন খুলে কথা বলতে পারব না। সব সময় আমাকে শুদ্ধ করে কথা বলতে হবে। তখন আমার সব রাগ গিয়ে পড়ে বাবুর মায়ের উপর। কারণ সে বলে বাবুর সামনে অশুদ্ধ বললে বাবুও অশুদ্ধ বলা শিখবে।
গতবার গ্রামে যাওয়ার পর বাবু ছেলে মেয়েদের সাথে মিশে তুই বলা শিখেছে, আঞ্চলিক শব্দও শিখেছে। বাসায় যখন মেয়ে আমার কোন কারণে রেগে যায় তখন সে তুই শব্দটা ব্যবহার করে, কথা বলে অশুদ্ধভাবে। তখন আমি বলি- এগুলোতো আমার কাছ থেকে শিখে নাই। বাচ্চারা সব কিছুই শিখবে, আটকিয়ে রাখা যাবেনা।
সেদিন রাতে বাবুকে না ঘুমানোর জন্য তার বা তাকে মেরেছে। যখন আদর করে কাছে টানছে তখন সে বলল, যা দূরে যা, তুই আমারে ধরবিনা। তুই আমারে মারছত, আমি তোর সাথে ঘুমাইতামনা।
বাবুর মা বলে-কি আমাকে তুই করে বলছ ?
আমি বলি বলবেই। কেন তুমি ওকে মারলে। ও ব্যথা পায় না বুঝি। থাক আমার কাছে চলে আস আম্মু।
বাবু আমার কাছে এসে শুয়ে কানে কানে বলে-দুষ্টুটা আমাকে মারছে । আব্বু তুমি বকা দিয়ে দাও। আমি কৃত্রিম বকা দিলাম বাবুর মাকে। বললাম রাত ১২।০০টা পার হয়ে গেছে এবার ঘুমাও। সকালে আমার অফিস আছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:১১