
জার্মান শিল্পী লুকাস জিলিঞ্জার এর হাতের ছোয়ায় ও রঙতুলিতে নান্দনিক রূপ পেয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন। দেশের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনে যোগাযোগ নেই, তাই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের এ ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতাও নেই।
একমাত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ রয়েছে এই সুন্দর ও সুবর্ণ সুযোগ। লুকাস জিলিঞ্জার শাটল ট্রেনের গায়ে এঁকেছেন বিভিন্ন ধরনের ছবি- সংসদ ভবন, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিআরবি, সূর্যাস্ত, সমুদ্রসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য। নিজ অর্থায়নে আর আগ্রহেই শিল্পীর এই উদ্যোগ। এমন সুনিপুণ চিত্রায়ণে উচ্ছাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ সকলে।
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারী উপজেলায় অবস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে শাটল ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয় ১৯৮০ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত জোড়া ট্রেনে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন এই শাটল ট্রেনে। এই ট্রেনকেই ক্যানভাস বানিয়েছেন জার্মানির আরইউএসবি আর্ট গ্রুপের প্রধান শিল্পী লুকাস জিলিঞ্জার। নিজস্ব অর্থায়নে নান্দনিক শিল্পকর্মে রঙিন করে তুলছেন শাটল ট্রেন।
শিল্পী জানান, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনের নানান চিত্র তার প্রিয় ক্যানভাস ট্রেনে তুলে ধরেছেন তিনি। নান্দনিক সাজে শাটল ট্রেনকে পেয়ে উচ্ছাসিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সকলে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তারাও।
শাটল ট্রেনের নতুন এই রূপ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করা যায়।
ছবি ও তথ্য সূত্র-https://boishakhionline.com/
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




