আজকে থেমে থেমে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামে। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারে বাড়িতে যাব। মা বলেছেন কয়েক রকমের মাছ কিনে নিয়ে যেতে। অফিস শেষ করে বের হলাম । মাথায় মাছের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। টিপটপ বৃষ্টি পড়ছেই। ছাতা হাতে টি এন্ড টি কলোনি মাছ বাজারে গেলাম। বড় সাইজের একটি রুই ও চিংড়ি মাছ কিনলাম।
মা আরো বলেছেন বাবার জন্য কম কাটাওয়ালা মাছ নিতে। কারণ কাঁটাওয়ালা মাছ এখন আর তিনি খেতে পারেন না, পছন্দ ও করেন না। বাসার পথ ধরলাম। হাজীপাড়া পৌঁছতেই দেখি কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে ঝরে পড়ে আছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। অনেক মানুষ হেটে যাচ্ছে আমি ফুলটা কুড়িয়ে ব্যাগে ভরে নিলাম।
বাসায় বাবু ও তার মা নেই। বাবুর নানা অসুস্থ হয় তাকে দেখতে গিয়েছে সাথে আম জাম আর কাঁঠাল খাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে। মাছ প্রসেসিং করে ফ্রিজে রেখে বিস্কুট খেয়ে আসর নামাজ পড়ে আবার চৌমুহনী মাছ বাজারে গেলাম। এখানে পেলাম বড় বাইম মাছ আর সাগরের টাইল্লা মাছ। মাছ নিয়ে ফিরতেই মাগরিবের আজান হয়ে গেল। মাছ ধরা শেষ করি ফ্রিজে রেখে মাগরিবের নামাজ পড়ে কি নাস্তা খাওয়া যায় ভাবছি। এর মধ্যে ডিম সিদ্ধ হয়ে গেল। চা বানানোর চিন্তাটা বাদ দিলাম। দুধ গরম করে তাতে এক চামচ চিনি দিয়ে নামিয়ে নিয়ে এবার মুড়ি নিয়ে বসলাম। একমুঠো মুড়ি দুধের ছিটিয়ে দিয়ে চামচ দিয়ে তুলে খাচ্ছি। কৃষ্ণচূড়ার ছবিটা নিয়ে এর মধ্যে ফেসবুকে পোস্ট করে ফেললাম।
ফাগুনের বনে বনে ফুটিয়েছিলে আগুনের মতন
বৈশাখী ঝড়ে ঝরে গেলে কৃষ্ণচূড়া তুমি কে করবে যতন।
আবার এক মুড়ি দুধের মধ্য দিয়ে চামচ দিয়ে খেয়ে নিলাম এভাবে দুধ শেষ হওয়ার আগে মুড়ি খেতে থাকলো। কিভাবে খাওয়াটা আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। খেতে খেতে ভাবলাম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি এ বিষয়টা নিয়ে ব্লগ একটা পোস্ট দেই। পোস্ট দিতে দিতেই ভাবলাম পিছনের গল্পটাও তুলে ধরি। এখন এশারের আজান হচ্ছে চারিদিকে। নামাজ শেষে ব্লগে সময় দিব ।সবাই ব্লগের সাথেই থাকুন।