অনেক বছর আগে যখন এইচএসসিতে পড়ি এবং হোস্টেলে থাকি তখন এক বন্ধুর চুলকানি হল। সময় অসময়ে সে শুধু সারা শরীর চুলকায়। কেউ একজন বিরক্ত হয়ে বলল, ইস শুরু করছিস কি একটু থাম না।
তখন সে বলল আরে দোস্ত থামমু কি, যখন চুলকানির জ্বালা উঠে মন চায় বাপের দুই খানি খেত বেচে দিয়ে দুইজন কামলা রাইখা শরীলডারে মন মত চুলকাই।
তার এই ডায়লগ শুনে আমরা সবাই হাসতে হাসতে শেষ। ইদানিং আমারও বেশ চুলকানি হচ্ছে রীতি মত এলার্জি হয়েছে এখন সেই বন্ধুর কথাটা মনে পড়েছে। না সে ঠিকই বলেছিল চুলকানি যখন উঠে তখন আর বন্ধ রাখা যায় না। আরো চুলকাতে মন চায়, মন চায় জায়গা জমি বিক্রি কইরা দিয়া মন মত শরীর চুলকাই।
বেগুন খেয়েছিলাম আর খেয়েছিলাম গরুর গোস্ত কিন্তু এগুলো তো এর আগেও খেয়েছি কই তখন তো এরকম এলার্জি হয় নাই। তার বছর পাঁচ বছর আগে একবার এলার্জি হয়েছিল তখন বেশি পরিমাণে ইলিশ মাছ ও গরুর মাংস খাওয়ার ফলে হয়েছিল।
ওষুধ খেয়ে যখন কম ছিল না তখন নারকেল তেলে কাঁচা হলুদ কেটে দিয়ে রেখেছিলাম তারপর সেই তেল ব্যবহার করতে আস্তে আস্তে কমে গিয়েছিল। এবারও তাই করতে হবে দেখছি। প্রথমে চুলকানি মনে করে পেভিসন মলম দিয়েছিলাম। যখন সারছে না তখন ওষুধও খেলাম। চুলকানি কমে গেলেও এলার্জি ঠিকই রয়ে গেছে। চুলকালে ফুলে যাচ্ছে। লাল দাগ হয়ে যাচ্ছে।
ভয়ে এই বর্ষা মৌসুমে ইলিশ খাচ্ছি না। উফ অসহ্য। চুলকানি মনে হয় লজ্জা শরম কমিয়ে দেয়। যখন তখন যার তার সামনে চিপায় চাপায় হাত চালাতে হয় । লজ্জার কথা মনে থাকে না। উফ বাকি কথা পরে হবে আগে চুলকাই।