
কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি দেখতে সুন্দর আর সুদর্শন হলেও তার চেহারার আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক ভয়ঙ্কর অপরাধী। সে ক্যামেরার সামনে ভোলাভালা, সহজ সরল টাইপ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করলেও ক্যামেরার বাহিরে সে ছিল ভয়ানক এক মানুষ।
আসলে পাপ বাপকেও ছাড়েনা। পিতা -পুত্র মিলে যে অপরাধের স্বর্গ গড়েছিল তা এখন ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে। গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে আফ্রিদির বাবা বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ২৪ আগস্ট সিআইডির একটি বিশেষ দল বরিশালে অভিযান চালিয়ে তৌহিদ আফ্রিদিকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে এবং ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
আফ্রিদির বাবা মাইটিভির সামন্য কর্মচারী থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মাইটিভির মালিক বনে যান। আর এদিকে আফ্রিদ্রি মিডিয়ায় নিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর বনে যান। ডিবি হারুনের সাথে তার দহরম মহরম সম্পর্কর ভিডিও ফাস হয়েছে। সে ডিবি হারুনের উলঙ্গ ভিডিও ডিলিট করার জন্য একাধিক সোস্যাল মিডিয়া এক্সপার্টকে ডেকে পাঠায় তারা অপারগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে নির্যাতন করতো।
একাধিক নারীর সাথে ও নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক তৈরী করে ভিডিও তৈরী করে রাখতো। পরে এদেরকে ভয় ভীতি দেখাতো । তার কথা না শুনলে মুনিয়ার মত দুনিয়াছাড়া করার হুমকি দিত।
একাধিক ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে তিনি হেনস্তা করেছেন এবং তাদের কাউকে কাউকে আদালত পাড়া পর্যন্ত ঘুরিয়ে এনেছেন। সরকারের উন্নয়নের চিত্র কনটেন্ট তৈরী করে দেখাতে বাধ্য করতে চেয়েছিল তার কথা যারা না মানত তাদের উপর নেমে আসত নির্যাতন, জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের নগ্ন ভিডিও করে রেখে দিতেন এছাড়াও সে তার অধীনে থাকা নারীদের দিয়ে যারা তার কথা শুনত না তাদেরকে ফাসিয়ে সর্বশান্ত করতেন।
রাহী নামের তার বন্ধুকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ও বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে তার অপকর্ম যেন ফাস না করে হুমকি দিত। তার একাধিক ফোনকল ফাস হয়েছে। অন্যর প্রেমিকাকে ভাগিয়ে বিয়ে করেছে।
এবার মজা বুঝ চান্দু। এদিকে একদল হুমরি খেয়ে পড়েছে, তৌহিদতো কনটেন্ট ক্রিয়েট করে অনেক মানুষকে দান খয়রাত করতো। আরে ভাই এটাতো ভাল মানুষি সেতো আড়ালে সরকারের পা চাটা গোলাম ছিল। সে ইউটিউভ ও ফেসবুকে এদেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে দমিয়ে রাখতো যারা তার নির্দেশনায় কাজ না করতো। ভাবা যায় কি ধরণের মানসিক বিকারগ্রস্থ ছিল এই তরুন।
তার অনেক ভিডিও দেখে আমরা হয়তো তার জন্য প্রথমে আফসোস করেছি কিন্তু যখন সত্য বেরিয়ে এলো তখন ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই সে প্রাপ্য নয়।
এদিকে এখন তার আইনজীবী তাকে বাঁচাতে সে নাকি ক্যান্সারে আক্রান্তর নাটক শুরু করেছে। এদের বিচার হোক। দেশ শান্তিতে থাকুক।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


