একা একা বসে থাকতে আমার ভালই লাগে, প্রায় একা একা বসে থাকি। ভালো লাগার কোন কারণ থাকে না, সময়ে অসময়ে ভাল লাগে, যা খুশি তাই ভাল লাগে। মানুষ চাইলেও ভাল লাগা কে দূরে সরিয়ে দিতে পারে না; কেউ কেউ আবার পারেও। প্রায় অনেক দিন থেকে পড়াশুনা করতেছিনা না, এখন পড়াশোনার সময় এটা বুঝেও কেন যে বুঝতেছি না, সেটাও বুঝতেছি না। বসন্তকাল আমার প্রিয় ঋতু, আসলে শুধু প্রিয় বললে ভুল হবে, প্রিয়র উপর স্কয়ার বা কিউব দিলে হয়তো ঠিক হতে পারে। আগে কত কল্পনা করতাম, বসন্তের দিনে একা একা ঘাসের উপর বসে প্রিয়তমার সাথে ফোনে কথা বলতেছি, প্রিয়তমা আমাকে ফোনে আলতো করে কপালে চুমু দিচ্ছে! কল্পনা তো কল্পনাই; তা বাস্তব হতে গেলে ভাগ্য লাগে।
আজকাল সুক্তির সাথে আমার একটু বেশিই ঝগড়া হচ্ছে, হবেই না কেন; আমার কোন কথার যেন মূল্যই নেই তার কাছে। আমাকে নাকি সে ভালবাসে কিন্তু ভালোবাসার লক্ষণ পাই না। সেদিন ফোনে প্রায় অনেকক্ষণ ঝগড়া, অনেক কিছুই বলল আমাকে,আর কোনদিন আমার সাথে কথা বলবে না, আমি যেন তাকে ফোন না দেই, এই সেই, ইত্যাদি। ঝগড়া কোথা থেকে শুরু হয়েছিল আমি নিজেও জানিনা। তার দুদিন পরে আবার ফোন দিয়ে কান্নাকাটি শুরু, শুনেছি যারা কান্না করে তাদের মাঝে ভালোবাসা থাকে বেশি; আমার মনে হয় সুক্তি ব্যাতিক্রম। ওর মাঝে ভালোবাসার ছিটে ফোটাও নেই। আর যদি থাকেও সেটা উপস্থাপন করতে পারে না।
কিছুদিন ভাল মতই কথা হলো, কিছুদিন পর আবার ঝগড়া! এবার ঝগড়া টা বই নিয়ে। আমি ওকে বলেছি, 'শুধু বই পড়লেই হবে না, বই পড়ার সাথে সাথে বুঝতে হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হবে।' সুক্তি আমাকে বলল, 'হ্যাঁ আমি এটা জানি, আর হ্যাঁ, হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়ে কোন লাভ নেই, ওনার বইয়ে আমি শেখার মত কিছু পাই না।' আমি ওর কথা শুনে ওকে বললাম, তুমি যে বই গুলো পরেছ ওগুলো থেকে কি কি শিখেছ, বল শুনি। সে কিছুই বলতে পারল না। অতঃপর আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম সব। একটা বই পড়ে আমি সেখান থেকে কি কি শিখব, ওগুলো কি করে বের করব সেগুলো শেখালাম। তারপর বললাম, তুমি প্রমথ চৌধুরীর লাইব্রেরি প্রবন্ধ পড়েছ না? সে বলল 'না পড়িনি।' মেজাজ টা গেল খারাপ হয়ে। ওর বইয়ে আছে অথচ পড়েনি! আমার স্পষ্ট মনে আছে, ও আমাকে একদিন বলেছিল আমি পড়েছি, আজ বলছে না। ফোন কেটে দিলাম, আর বলে দিলাম_আজ আর কথা বলব না, মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেল। তারপর কিছু কথা ম্যাসেজে বললাম, এই আর কি।
রাত তখন ২ টা পার হয়েছে। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ শোনা যাচ্ছে। হঠাৎই আমার নিশ্বাস নিতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। বুকে ব্যাথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু করেছে মনে হয়। বিছানার চাদর নাকের রক্ত দিতে ভিজে গেল। আমি কেমন যেন অচেতন হয়ে যাচ্ছিলাম, কোন রকম ফোন টা হাতে নিয়ে সুক্তিকে ম্যাসেজ করলাম। ম্যসেজে লিখা ছিল, "আমার নিশ্বাস নিতে খুব সমস্যা হচ্ছে, নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।" কিছুক্ষণ পর রিপ্লে আসল, রিপ্লেতে লিখা ছিল, "নিজের মা বাবা কে ইনফ্রম কর বা মেডিসিন নাও, ও হ্যাঁ নিজের বিপদের সময় ভুল-ভাল মানুষ কে বলে কি হবে, তাই নেক্সট এ এই ভুল হবে না আশা করি। রিপ্লে টা পড়ে কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। মানুষ এতটা মায়া দয়া হীন হতে পারে জানতাম না। কখনো ভাবিনী আমাকে এমন ম্যাসেজ কেউ করবে, তাও আবার এমন সময় যখন আমার মৃত্যু ঘটতে চলেছে। সাথে সাথেই আমি ফোন টা বন্ধ করে দেই।
যেদিন আমার মৃত্যু ঘটতে চলেছিল, সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। তারপর ১৫ টা বছর পেরিয়ে গেছে। আজ হঠাৎ সুক্তি কে খুব মনে পড়ছে। জানিনা সে কোথায় আছে, কেমন আছে। ১৫ বছরে সে আমার একবারও খোঁজ নেয়নি। এটা সত্যি যে, ও আমার কাছে আসতে চাইলেও আমি আসতে দিতাম না; ওর এটা শাস্তি। তবে হ্যাঁ ওকে অনেক ভালোবাসি। আমার সাথে অমন আচরণ করার পরেও তাকে ভুলতে পারিনি। আমার মন জুড়ে ও এখনো আছে, আর থাকবেও। ওকে কেন যে এত ভালবাসি তা জানিনা। যতদিন বেঁচে আছি দূর থেকেই ভালবেসে যাব। একা একা বসে থাকতে আমার ভালই লাগে, প্রায় একা একা বসে থাকি। ভালো লাগার কোন কারণ থাকে না, সময়ে অসময়ে ভাল লাগে, যা খুশি তাই ভাল লাগে। মানুষ চাইলেও ভাল লাগা কে দূরে সরিয়ে দিতে পারে না; কেউ কেউ আবার পারেও। প্রায় অনেক দিন থেকে পড়াশুনা করতেছিনা না, এখন পড়াশোনার সময় এটা বুঝেও কেন যে বুঝতেছি না, সেটাও বুঝতেছি না। বসন্তকাল আমার প্রিয় ঋতু, আসলে শুধু প্রিয় বললে ভুল হবে, প্রিয়র উপর স্কয়ার বা কিউব দিলে হয়তো ঠিক হতে পারে। আগে কত কল্পনা করতাম, বসন্তের দিনে একা একা ঘাসের উপর বসে প্রিয়তমার সাথে ফোনে কথা বলতেছি, প্রিয়তমা আমাকে ফোনে আলতো করে কপালে চুমু দিচ্ছে! কল্পনা তো কল্পনাই; তা বাস্তব হতে গেলে ভাগ্য লাগে।
আজকাল সুক্তির সাথে আমার একটু বেশিই ঝগড়া হচ্ছে, হবেই না কেন; আমার কোন কথার যেন মূল্যই নেই তার কাছে। আমাকে নাকি সে ভালবাসে কিন্তু ভালোবাসার লক্ষণ পাই না। সেদিন ফোনে প্রায় অনেকক্ষণ ঝগড়া, অনেক কিছুই বলল আমাকে,আর কোনদিন আমার সাথে কথা বলবে না, আমি যেন তাকে ফোন না দেই, এই সেই, ইত্যাদি। ঝগড়া কোথা থেকে শুরু হয়েছিল আমি নিজেও জানিনা। তার দুদিন পরে আবার ফোন দিয়ে কান্নাকাটি শুরু, শুনেছি যারা কান্না করে তাদের মাঝে ভালোবাসা থাকে বেশি; আমার মনে হয় সুক্তি ব্যাতিক্রম। ওর মাঝে ভালোবাসার ছিটে ফোটাও নেই। আর যদি থাকেও সেটা উপস্থাপন করতে পারে না।
কিছুদিন ভাল মতই কথা হলো, কিছুদিন পর আবার ঝগড়া! এবার ঝগড়া টা বই নিয়ে। আমি ওকে বলেছি, 'শুধু বই পড়লেই হবে না, বই পড়ার সাথে সাথে বুঝতে হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হবে।' সুক্তি আমাকে বলল, 'হ্যাঁ আমি এটা জানি, আর হ্যাঁ, হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়ে কোন লাভ নেই, ওনার বইয়ে আমি শেখার মত কিছু পাই না।' আমি ওর কথা শুনে ওকে বললাম, তুমি যে বই গুলো পরেছ ওগুলো থেকে কি কি শিখেছ, বল শুনি। সে কিছুই বলতে পারল না। অতঃপর আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম সব। একটা বই পড়ে আমি সেখান থেকে কি কি শিখব, ওগুলো কি করে বের করব সেগুলো শেখালাম। তারপর বললাম, তুমি প্রমথ চৌধুরীর লাইব্রেরি প্রবন্ধ পড়েছ না? সে বলল 'না পড়িনি।' মেজাজ টা গেল খারাপ হয়ে। ওর বইয়ে আছে অথচ পড়েনি! আমার স্পষ্ট মনে আছে, ও আমাকে একদিন বলেছিল আমি পড়েছি, আজ বলছে না। ফোন কেটে দিলাম, আর বলে দিলাম_আজ আর কথা বলব না, মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেল। তারপর কিছু কথা ম্যাসেজে বললাম, এই আর কি।
রাত তখন ২ টা পার হয়েছে। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ শোনা যাচ্ছে। হঠাৎই আমার নিশ্বাস নিতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। বুকে ব্যাথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু করেছে মনে হয়। বিছানার চাদর নাকের রক্ত দিতে ভিজে গেল। আমি কেমন যেন অচেতন হয়ে যাচ্ছিলাম, কোন রকম ফোন টা হাতে নিয়ে সুক্তিকে ম্যাসেজ করলাম। ম্যসেজে লিখা ছিল, "আমার নিশ্বাস নিতে খুব সমস্যা হচ্ছে, নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।" কিছুক্ষণ পর রিপ্লে আসল, রিপ্লেতে লিখা ছিল, "নিজের মা বাবা কে ইনফ্রম কর বা মেডিসিন নাও, ও হ্যাঁ নিজের বিপদের সময় ভুল-ভাল মানুষ কে বলে কি হবে, তাই নেক্সট এ এই ভুল হবে না আশা করি। রিপ্লে টা পড়ে কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। মানুষ এতটা মায়া দয়া হীন হতে পারে জানতাম না। কখনো ভাবিনী আমাকে এমন ম্যাসেজ কেউ করবে, তাও আবার এমন সময় যখন আমার মৃত্যু ঘটতে চলেছে। সাথে সাথেই আমি ফোন টা বন্ধ করে দেই।
যেদিন আমার মৃত্যু ঘটতে চলেছিল, সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। তারপর ১৫ টা বছর পেরিয়ে গেছে। আজ হঠাৎ সুক্তি কে খুব মনে পড়ছে। জানিনা সে কোথায় আছে, কেমন আছে। ১৫ বছরে সে আমার একবারও খোঁজ নেয়নি। এটা সত্যি যে, ও আমার কাছে আসতে চাইলেও আমি আসতে দিতাম না; ওর এটা শাস্তি। তবে হ্যাঁ ওকে অনেক ভালোবাসি। আমার সাথে অমন আচরণ করার পরেও তাকে ভুলতে পারিনি। আমার মন জুড়ে ও এখনো আছে, আর থাকবেও। ওকে কেন যে এত ভালবাসি তা জানিনা। যতদিন বেঁচে আছি দূর থেকেই ভালবেসে যাব।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০১