somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নির্দয় মেয়েটি এবং আমি

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একা একা বসে থাকতে আমার ভালই লাগে, প্রায় একা একা বসে থাকি। ভালো লাগার কোন কারণ থাকে না, সময়ে অসময়ে ভাল লাগে, যা খুশি তাই ভাল লাগে। মানুষ চাইলেও ভাল লাগা কে দূরে সরিয়ে দিতে পারে না; কেউ কেউ আবার পারেও। প্রায় অনেক দিন থেকে পড়াশুনা করতেছিনা না, এখন পড়াশোনার সময় এটা বুঝেও কেন যে বুঝতেছি না, সেটাও বুঝতেছি না। বসন্তকাল আমার প্রিয় ঋতু, আসলে শুধু প্রিয় বললে ভুল হবে, প্রিয়র উপর স্কয়ার বা কিউব দিলে হয়তো ঠিক হতে পারে। আগে কত কল্পনা করতাম, বসন্তের দিনে একা একা ঘাসের উপর বসে প্রিয়তমার সাথে ফোনে কথা বলতেছি, প্রিয়তমা আমাকে ফোনে আলতো করে কপালে চুমু দিচ্ছে! কল্পনা তো কল্পনাই; তা বাস্তব হতে গেলে ভাগ্য লাগে।

আজকাল সুক্তির সাথে আমার একটু বেশিই ঝগড়া হচ্ছে, হবেই না কেন; আমার কোন কথার যেন মূল্যই নেই তার কাছে। আমাকে নাকি সে ভালবাসে কিন্তু ভালোবাসার লক্ষণ পাই না। সেদিন ফোনে প্রায় অনেকক্ষণ ঝগড়া, অনেক কিছুই বলল আমাকে,আর কোনদিন আমার সাথে কথা বলবে না, আমি যেন তাকে ফোন না দেই, এই সেই, ইত্যাদি। ঝগড়া কোথা থেকে শুরু হয়েছিল আমি নিজেও জানিনা। তার দুদিন পরে আবার ফোন দিয়ে কান্নাকাটি শুরু, শুনেছি যারা কান্না করে তাদের মাঝে ভালোবাসা থাকে বেশি; আমার মনে হয় সুক্তি ব্যাতিক্রম। ওর মাঝে ভালোবাসার ছিটে ফোটাও নেই। আর যদি থাকেও সেটা উপস্থাপন করতে পারে না।

কিছুদিন ভাল মতই কথা হলো, কিছুদিন পর আবার ঝগড়া! এবার ঝগড়া টা বই নিয়ে। আমি ওকে বলেছি, 'শুধু বই পড়লেই হবে না, বই পড়ার সাথে সাথে বুঝতে হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হবে।' সুক্তি আমাকে বলল, 'হ্যাঁ আমি এটা জানি, আর হ্যাঁ, হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়ে কোন লাভ নেই, ওনার বইয়ে আমি শেখার মত কিছু পাই না।' আমি ওর কথা শুনে ওকে বললাম, তুমি যে বই গুলো পরেছ ওগুলো থেকে কি কি শিখেছ, বল শুনি। সে কিছুই বলতে পারল না। অতঃপর আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম সব। একটা বই পড়ে আমি সেখান থেকে কি কি শিখব, ওগুলো কি করে বের করব সেগুলো শেখালাম। তারপর বললাম, তুমি প্রমথ চৌধুরীর লাইব্রেরি প্রবন্ধ পড়েছ না? সে বলল 'না পড়িনি।' মেজাজ টা গেল খারাপ হয়ে। ওর বইয়ে আছে অথচ পড়েনি! আমার স্পষ্ট মনে আছে, ও আমাকে একদিন বলেছিল আমি পড়েছি, আজ বলছে না। ফোন কেটে দিলাম, আর বলে দিলাম_আজ আর কথা বলব না, মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেল। তারপর কিছু কথা ম্যাসেজে বললাম, এই আর কি।

রাত তখন ২ টা পার হয়েছে। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ শোনা যাচ্ছে। হঠাৎই আমার নিশ্বাস নিতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। বুকে ব্যাথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু করেছে মনে হয়। বিছানার চাদর নাকের রক্ত দিতে ভিজে গেল। আমি কেমন যেন অচেতন হয়ে যাচ্ছিলাম, কোন রকম ফোন টা হাতে নিয়ে সুক্তিকে ম্যাসেজ করলাম। ম্যসেজে লিখা ছিল, "আমার নিশ্বাস নিতে খুব সমস্যা হচ্ছে, নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।" কিছুক্ষণ পর রিপ্লে আসল, রিপ্লেতে লিখা ছিল, "নিজের মা বাবা কে ইনফ্রম কর বা মেডিসিন নাও, ও হ্যাঁ নিজের বিপদের সময় ভুল-ভাল মানুষ কে বলে কি হবে, তাই নেক্সট এ এই ভুল হবে না আশা করি। রিপ্লে টা পড়ে কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। মানুষ এতটা মায়া দয়া হীন হতে পারে জানতাম না। কখনো ভাবিনী আমাকে এমন ম্যাসেজ কেউ করবে, তাও আবার এমন সময় যখন আমার মৃত্যু ঘটতে চলেছে। সাথে সাথেই আমি ফোন টা বন্ধ করে দেই।

যেদিন আমার মৃত্যু ঘটতে চলেছিল, সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। তারপর ১৫ টা বছর পেরিয়ে গেছে। আজ হঠাৎ সুক্তি কে খুব মনে পড়ছে। জানিনা সে কোথায় আছে, কেমন আছে। ১৫ বছরে সে আমার একবারও খোঁজ নেয়নি। এটা সত্যি যে, ও আমার কাছে আসতে চাইলেও আমি আসতে দিতাম না; ওর এটা শাস্তি। তবে হ্যাঁ ওকে অনেক ভালোবাসি। আমার সাথে অমন আচরণ করার পরেও তাকে ভুলতে পারিনি। আমার মন জুড়ে ও এখনো আছে, আর থাকবেও। ওকে কেন যে এত ভালবাসি তা জানিনা। যতদিন বেঁচে আছি দূর থেকেই ভালবেসে যাব। একা একা বসে থাকতে আমার ভালই লাগে, প্রায় একা একা বসে থাকি। ভালো লাগার কোন কারণ থাকে না, সময়ে অসময়ে ভাল লাগে, যা খুশি তাই ভাল লাগে। মানুষ চাইলেও ভাল লাগা কে দূরে সরিয়ে দিতে পারে না; কেউ কেউ আবার পারেও। প্রায় অনেক দিন থেকে পড়াশুনা করতেছিনা না, এখন পড়াশোনার সময় এটা বুঝেও কেন যে বুঝতেছি না, সেটাও বুঝতেছি না। বসন্তকাল আমার প্রিয় ঋতু, আসলে শুধু প্রিয় বললে ভুল হবে, প্রিয়র উপর স্কয়ার বা কিউব দিলে হয়তো ঠিক হতে পারে। আগে কত কল্পনা করতাম, বসন্তের দিনে একা একা ঘাসের উপর বসে প্রিয়তমার সাথে ফোনে কথা বলতেছি, প্রিয়তমা আমাকে ফোনে আলতো করে কপালে চুমু দিচ্ছে! কল্পনা তো কল্পনাই; তা বাস্তব হতে গেলে ভাগ্য লাগে।

আজকাল সুক্তির সাথে আমার একটু বেশিই ঝগড়া হচ্ছে, হবেই না কেন; আমার কোন কথার যেন মূল্যই নেই তার কাছে। আমাকে নাকি সে ভালবাসে কিন্তু ভালোবাসার লক্ষণ পাই না। সেদিন ফোনে প্রায় অনেকক্ষণ ঝগড়া, অনেক কিছুই বলল আমাকে,আর কোনদিন আমার সাথে কথা বলবে না, আমি যেন তাকে ফোন না দেই, এই সেই, ইত্যাদি। ঝগড়া কোথা থেকে শুরু হয়েছিল আমি নিজেও জানিনা। তার দুদিন পরে আবার ফোন দিয়ে কান্নাকাটি শুরু, শুনেছি যারা কান্না করে তাদের মাঝে ভালোবাসা থাকে বেশি; আমার মনে হয় সুক্তি ব্যাতিক্রম। ওর মাঝে ভালোবাসার ছিটে ফোটাও নেই। আর যদি থাকেও সেটা উপস্থাপন করতে পারে না।

কিছুদিন ভাল মতই কথা হলো, কিছুদিন পর আবার ঝগড়া! এবার ঝগড়া টা বই নিয়ে। আমি ওকে বলেছি, 'শুধু বই পড়লেই হবে না, বই পড়ার সাথে সাথে বুঝতে হবে এবং সেখান থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হবে।' সুক্তি আমাকে বলল, 'হ্যাঁ আমি এটা জানি, আর হ্যাঁ, হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়ে কোন লাভ নেই, ওনার বইয়ে আমি শেখার মত কিছু পাই না।' আমি ওর কথা শুনে ওকে বললাম, তুমি যে বই গুলো পরেছ ওগুলো থেকে কি কি শিখেছ, বল শুনি। সে কিছুই বলতে পারল না। অতঃপর আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম সব। একটা বই পড়ে আমি সেখান থেকে কি কি শিখব, ওগুলো কি করে বের করব সেগুলো শেখালাম। তারপর বললাম, তুমি প্রমথ চৌধুরীর লাইব্রেরি প্রবন্ধ পড়েছ না? সে বলল 'না পড়িনি।' মেজাজ টা গেল খারাপ হয়ে। ওর বইয়ে আছে অথচ পড়েনি! আমার স্পষ্ট মনে আছে, ও আমাকে একদিন বলেছিল আমি পড়েছি, আজ বলছে না। ফোন কেটে দিলাম, আর বলে দিলাম_আজ আর কথা বলব না, মেজাজ টা খারাপ হয়ে গেল। তারপর কিছু কথা ম্যাসেজে বললাম, এই আর কি।

রাত তখন ২ টা পার হয়েছে। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ শোনা যাচ্ছে। হঠাৎই আমার নিশ্বাস নিতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। বুকে ব্যাথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু করেছে মনে হয়। বিছানার চাদর নাকের রক্ত দিতে ভিজে গেল। আমি কেমন যেন অচেতন হয়ে যাচ্ছিলাম, কোন রকম ফোন টা হাতে নিয়ে সুক্তিকে ম্যাসেজ করলাম। ম্যসেজে লিখা ছিল, "আমার নিশ্বাস নিতে খুব সমস্যা হচ্ছে, নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।" কিছুক্ষণ পর রিপ্লে আসল, রিপ্লেতে লিখা ছিল, "নিজের মা বাবা কে ইনফ্রম কর বা মেডিসিন নাও, ও হ্যাঁ নিজের বিপদের সময় ভুল-ভাল মানুষ কে বলে কি হবে, তাই নেক্সট এ এই ভুল হবে না আশা করি। রিপ্লে টা পড়ে কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। মানুষ এতটা মায়া দয়া হীন হতে পারে জানতাম না। কখনো ভাবিনী আমাকে এমন ম্যাসেজ কেউ করবে, তাও আবার এমন সময় যখন আমার মৃত্যু ঘটতে চলেছে। সাথে সাথেই আমি ফোন টা বন্ধ করে দেই।

যেদিন আমার মৃত্যু ঘটতে চলেছিল, সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। তারপর ১৫ টা বছর পেরিয়ে গেছে। আজ হঠাৎ সুক্তি কে খুব মনে পড়ছে। জানিনা সে কোথায় আছে, কেমন আছে। ১৫ বছরে সে আমার একবারও খোঁজ নেয়নি। এটা সত্যি যে, ও আমার কাছে আসতে চাইলেও আমি আসতে দিতাম না; ওর এটা শাস্তি। তবে হ্যাঁ ওকে অনেক ভালোবাসি। আমার সাথে অমন আচরণ করার পরেও তাকে ভুলতে পারিনি। আমার মন জুড়ে ও এখনো আছে, আর থাকবেও। ওকে কেন যে এত ভালবাসি তা জানিনা। যতদিন বেঁচে আছি দূর থেকেই ভালবেসে যাব।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০১
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×