আগে প্রতিদিন ডায়েরী লিখতাম। এখন আর লেখা হয়ে ওঠেনা। আজকাল সেই পুরনো দিনের ডায়েরী পড়া শুরু করেছি। আজ বের করেছি সেই পৃষ্টা গুলো, যে গুলো সব সময় আমাকে কাঁদায়। মিতালী যেদিন চলে গিয়েছিল আমাদের পাড়া থেকে, সেদিন থেকেই অনেক কাঁদতাম। অনেক খুঁজেছি তাকে কিন্তু কোথাও পাইনি। যে মোবাইল নম্বর টা ছিল সেটা বন্ধ করে নতুন সিম কিনেছিল তার বাবা। নতুন নম্বর আর নেয়া হয়ে ওঠেনি।
আজ খুব মনে পরছে অতীতের সেই দিন গুলো। যখন মিতালী আর আমি হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে স্কুলে যেতাম তখনকার দিন গুলো খুব বেশি মনে পরছে। একসাথে স্কুলে যাওয়া, টিফিনের সময় একে উপর কে খাইয়ে দেয়া, আবার একসাথে বাসায় আসা সব গুলোই খুব সুন্দর ছিল। আমাদের বাসার পাশেই মিতালীরা ভাড়া থাকতো তাই প্রায় সব সময় দেখা হতো তার সাথে। হঠাৎ করে তারা চলে যাবে সেটা কখনো ভাবিনি। আমি গিয়েছিলাম নানী বাড়িতে, সেখান থেকে এসে দেখি মিতালীরা চলে গেছে অন্য কোথাও। একটা চিঠি লিখে গিয়েছিল মিতালী কিন্তু চিঠিটা কাজের না ভেবে মা পুড়িয়ে ফেলেছিল। মিতালীর সাথে যোগাযোগের কোন রাস্তা খুঁজেই পাইনি।
মিতালীকে এখনো আমি খুঁজি কিন্তু কোথাও তাকে পাইনা। মনের মধ্যে যে ভালবাসা জমা হয়ে আছে সেটা দেখানো যাবে না কেবল অনুভব করা যাবে।
ডায়েরী পড়তে পড়তে চোখ ভিজে যাচ্ছিল। হাত মুখ ধুয়ে এসে বসে বসে চা খাচ্ছি এমন সময় ফোন টা বেজে উঠলো। মা ফোন করেছে। আসলে ছেলে মেয়ে বাসার বাহিরে পড়াশোনা করতে গেলে মা বাবার চিন্তার কোন শেষ থাকেনা। প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলার পর রাতের খাবার খাওয়া শেষে বিছানায় এসেছি। এই সময় টায় মিতালী কে খুব বেশি মনে পড়ে আর চোখ থেকে অশ্রু ঝরে। আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। মন খারাপ করে বসে বসে বোরিং লাগছিল তাই ফেসবুকে লগ-ইন করলাম। লগ-ইন করেই দেখি মিতালী নামের একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এসেছে। আমি মিতালী কে ফেসবুকেও অনেক খুঁজেছি কিন্তু কখনো পাইনি। এটা কোন মিতালী কে জানে! ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট টা একসেপ্ট করার সাথে সাথে আমাকে সে ম্যাসেজ করেছে তোমার ফোন নম্বর টা দাও তো। আমি কিছু না ভেবেই ফোন নম্বর টা দিয়ে দিলাম। অতঃপর সে আমাকে ফোন করে বলতে লাগলো, আমি সেই মিতালী যে তোমাদের বাসার পাশে ভাড়া থাকত। ৭ টা বছর পেরিয়ে গেছে হয়ত অনেক মেয়ে এসেছে তোমার জীবনে আমার কথা কেনই বা মনে রাখবে। যদি মনে রাখতে তাহলে আমার দেয়া চিঠিটা পড়ে আমাকে ফোন করতে। আমার নতুন মোবাইল নম্বর ওখানে দিয়েছিলাম। তুমি আমাকে এত সহজেই ভুলে গেলে কিন্তু আমি ভুলতে পারিনি। আমাদের ২ বছরের সম্পর্কের কোন মুল্যই ছিলনা তোমার কাছে। আমি ওর কথা শুনে আকাশ থেকে পরলাম। ৭ বছর পর এভাবে ওকে খুঁজে পাবো কখনো ভাবিনি। আমি ওর কথা থামিয়ে সব কথা খুলে বললাম। দুজন দুজনের কথা শুনে কান্না যেন কিছুতেই থামছে না। মিতালীও যে আমার জন্য অপেক্ষা করেছে আমাকে মনে রেখেছে ভাবতেই অবাক লাগে। আমরা দুজন দুজন কে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি। আবার শুরু হলো একসাথে দুজনের পথচলা।
আগে প্রতিদিন ডায়েরী লিখতাম। এখন আর লেখা হয়ে ওঠেনা। আজকাল সেই পুরনো দিনের ডায়েরী পড়া শুরু করেছি। আজ বের করেছি সেই পৃষ্টা গুলো, যে গুলো সব সময় আমাকে কাঁদায়। মিতালী যেদিন চলে গিয়েছিল আমাদের পাড়া থেকে, সেদিন থেকেই অনেক কাঁদতাম। অনেক খুঁজেছি তাকে কিন্তু কোথাও পাইনি। যে মোবাইল নম্বর টা ছিল সেটা বন্ধ করে নতুন সিম কিনেছিল তার বাবা। নতুন নম্বর আর নেয়া হয়ে ওঠেনি।
আজ খুব মনে পরছে অতীতের সেই দিন গুলো। যখন মিতালী আর আমি হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে স্কুলে যেতাম তখনকার দিন গুলো খুব বেশি মনে পরছে। একসাথে স্কুলে যাওয়া, টিফিনের সময় একে উপর কে খাইয়ে দেয়া, আবার একসাথে বাসায় আসা সব গুলোই খুব সুন্দর ছিল। আমাদের বাসার পাশেই মিতালীরা ভাড়া থাকতো তাই প্রায় সব সময় দেখা হতো তার সাথে। হঠাৎ করে তারা চলে যাবে সেটা কখনো ভাবিনি। আমি গিয়েছিলাম নানী বাড়িতে, সেখান থেকে এসে দেখি মিতালীরা চলে গেছে অন্য কোথাও। একটা চিঠি লিখে গিয়েছিল মিতালী কিন্তু চিঠিটা কাজের না ভেবে মা পুড়িয়ে ফেলেছিল। মিতালীর সাথে যোগাযোগের কোন রাস্তা খুঁজেই পাইনি।
মিতালীকে এখনো আমি খুঁজি কিন্তু কোথাও তাকে পাইনা। মনের মধ্যে যে ভালবাসা জমা হয়ে আছে সেটা দেখানো যাবে না কেবল অনুভব করা যাবে।
ডায়েরী পড়তে পড়তে চোখ ভিজে যাচ্ছিল। হাত মুখ ধুয়ে এসে বসে বসে চা খাচ্ছি এমন সময় ফোন টা বেজে উঠলো। মা ফোন করেছে। আসলে ছেলে মেয়ে বাসার বাহিরে পড়াশোনা করতে গেলে মা বাবার চিন্তার কোন শেষ থাকেনা। প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলার পর রাতের খাবার খাওয়া শেষে বিছানায় এসেছি। এই সময় টায় মিতালী কে খুব বেশি মনে পড়ে আর চোখ থেকে অশ্রু ঝরে। আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। মন খারাপ করে বসে বসে বোরিং লাগছিল তাই ফেসবুকে লগ-ইন করলাম। লগ-ইন করেই দেখি মিতালী নামের একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এসেছে। আমি মিতালী কে ফেসবুকেও অনেক খুঁজেছি কিন্তু কখনো পাইনি। এটা কোন মিতালী কে জানে! ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট টা একসেপ্ট করার সাথে সাথে আমাকে সে ম্যাসেজ করেছে তোমার ফোন নম্বর টা দাও তো। আমি কিছু না ভেবেই ফোন নম্বর টা দিয়ে দিলাম। অতঃপর সে আমাকে ফোন করে বলতে লাগলো, আমি সেই মিতালী যে তোমাদের বাসার পাশে ভাড়া থাকত। ৭ টা বছর পেরিয়ে গেছে হয়ত অনেক মেয়ে এসেছে তোমার জীবনে আমার কথা কেনই বা মনে রাখবে। যদি মনে রাখতে তাহলে আমার দেয়া চিঠিটা পড়ে আমাকে ফোন করতে। আমার নতুন মোবাইল নম্বর ওখানে দিয়েছিলাম। তুমি আমাকে এত সহজেই ভুলে গেলে কিন্তু আমি ভুলতে পারিনি। আমাদের ২ বছরের সম্পর্কের কোন মুল্যই ছিলনা তোমার কাছে। আমি ওর কথা শুনে আকাশ থেকে পরলাম। ৭ বছর পর এভাবে ওকে খুঁজে পাবো কখনো ভাবিনি। আমি ওর কথা থামিয়ে সব কথা খুলে বললাম। দুজন দুজনের কথা শুনে কান্না যেন কিছুতেই থামছে না। মিতালীও যে আমার জন্য অপেক্ষা করেছে আমাকে মনে রেখেছে ভাবতেই অবাক লাগে। আমরা দুজন দুজন কে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি। আবার শুরু হলো একসাথে দুজনের পথচলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮