একই কথা এক এক জনের মুখে এক এক রকম শুনায়, কিরকম শুনাবে সেটা নির্ভর করে আপনার উপর। আপনি যাকে পছন্দ করেন, যার সাথে আপনার মতের মিল আছে বা যে সমগোত্রীয় তার অনেক কিছুই আপনি জাস্টিফাই করতে চলে আসবেন, যা আপনার ভিন্নমতের ভিন্ন গোত্রের কেউ করলে হয়তো তেড়ে যেতেন মারতে।
এখন কথা হলো সিনেমায় গালাগালি করা নিয়ে। আর বাঙালির গালাগালি মানেই নারী বিদ্বেষ থাকবেই। গালাগালি দেয়া ব্যাক্তিটি নারী হলেও আর গালাগালি খাওয়া ব্যাক্তিটি পুরুষ হলেও, গালিটা দিনশেষে নারী চরিত্রের উপর গিয়ে পড়বে। "হাওয়া" ছবিতে এরকম নারীর প্রতি বিদ্রুপপূর্ণ বহু গালাগালি আছে যা নিয়ে বাঙালি নারীবাদীদের কোনো সমালোচনা দেখা যাচ্ছে না। হাওয়া ছবি মধ্যবিত্ত দর্শকদের রুচির কথা ভেবে বানানো, তাই এর চিন্তা ও দর্শনও মধ্যবিত্তদের মনের মতো। কিন্তু নিন্মবিত্তদের রুচির সিনেমা বা আমরা বাণিজ্যিক ছবি যাকে বলি সেখানে যদি এমন নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ গালাগালি থাকতো তাহলে নারীবাদীরা ছেড়ে কথা বলতো না। বাঙালি নারীবাদীরা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিনিধি তাই তারা মধ্যবিত্তদের দর্শন ও রুচির "হাওয়া" নিয়ে কথা বলবে না, তারা ক্ষেপে যাবে নিন্মবিত্তদের বিনোদন পণ্যে কোনো ত্রুটি দেখলে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪২