somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাঠ্যবইয়ে ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র আর হাল আমলের বিশেষজ্ঞদের চুলকানি

৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমত আসুন নিচের দুটি পত্রিকার সংবাদ দেখে নেই
এক: পাঠ্য বইয়ে এসব কী - কালেরকন্ঠ
দুই: হেফাজতের চাওয়ামতোই ছাপব পাঠ্যবই? -প্রথম আলো

এবার চলুন আসল কাহিনী বোঝার চেস্টা করি: পত্রিকের রিপোর্ট অনুযায়ি

প্রথম আলোর রিপোট:
১। বিদ্যালয়ের শিশু-কিশোরেরা কী পড়বে, কী পড়বে না, সেটি ঠিক করার মালিক কে?
আমরা এত দিন জেনে এসেছি, দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারা ঠিক করে, পাঠ্যবইয়ে কী থাকবে। কিন্তু ২০১৭ সালে এসে জানলাম, শিক্ষাবিদেরা নন, শিশু-কিশোরেরা কী পড়বে, কী পড়বে না, সেটি ঠিক করবে হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠন।


এই কথা টি কতটুকু সত্য যে কবিতা ও গল্প গুলু যুক্ত করা হয়েছে এগুলু তো আগে ই ছিল. এগুলু বাদ দেওয়ার পিছনে কি কারণ ছিল? যখন বাদ দেওয়া হয়েছিল তখন তো আপনারা কোনো আপত্তি করেন নি। কোনো গবেষণা কি হয়েছিল যে কেন বাদ দেওয়ার দরকার ? আর কেন নতুন কিছু যোগ করা দরকার ?এগুলো দরকার ছিল বিশ্ববিদ্যালয় এ বড় গবেষণার যা আমাদের কারো মাথা ব্যাথা নেই. আর যা আপনারা খোজ করতেন তা তখন করেন নি।
নাকি ইসলামি বা মানুষের মুল্যবোধ জাগার এমন লিখা পড়ে বড় হয়ে নিতী বিসর্জনে সমস্যা হয়, ঘুষ নিতে মনে বাধে, তাই এগুলো না থাকলেই বাচেন


২।2.1: কেননা, বাদ দেওয়া গল্প-কবিতার কোনোটিতে আপত্তিকর কিছু ছিল না।–
2.2: সত্যেন সেন প্রতিষ্ঠিত প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী এ বছর পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া লেখাগুলো নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করে সুধীজনদের কাছে পাঠিয়েছে। পড়ে দেখলাম, এসব লেখায় ধর্মের বিরুদ্ধে একটি কথাও নেই। --

তাহলে আগের যে কবিতা ও গল্প গুলো ছিলো সেগুলো আপত্তি কর? নাকি আপনেদের আপত্তি ইসলামের সঠিক বানি প্রচার পেলে ?

৩। প্রথম আলোর খবর থেকে জানা যায়, বিশেষজ্ঞ প্রস্তাব ও বিভিন্ন মহলের দাবি থাকলেও পাঠ্যবই থেকে হেফাজতে ইসলামের দাবি অনুযায়ী বাদ দেওয়া বিষয়গুলো পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে না।
– এই বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন মহল কারা? আর বাংলাদেশের কোটি মানুষের কথার কোন দাম নেই? পাঠ্যবই নিয়ে এতো কথা না বলে যে ভার্শন নিয়ে গোলমাল, তার আগের ভার্শনে ফিরে যাওয়া হয়েছে। সেই বইগুলো পড়েইতে এখনকার মন্ত্রী-আমলা-শিক্ষাবীদ-বুদ্ধিজীবীরা এগুলো হয়েছেন। নাকি আপনেদের আন্য কোন মতলব আছে সেটা একটু পরেই খোলাসা করছি।

৪। ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বলেছেন, ‘পাঠ্যবইয়ে ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র হওয়া উচিত। কারণ, পাঠ্যবই পড়ে শিশুরা গড়ে ওঠে। সেখানে যদি হেফাজতীকরণ হয়, তাহলে অসাম্প্রদায়িক চরিত্র নষ্ট করে, যা রাষ্ট্রচেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’ -প্রথম আলো
নিখাদ সাহিত্য ও ভাষা শিক্ষার বইয়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে তুলে আনা হয়েছে একেবারে ধর্মীয় বিষয়। বাদ পড়েছে ‘হিন্দু’ ও ‘নাস্তিক’ লেখকদের লেখা। -কালেরকন্ঠ
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পাঠ্যপুস্তক সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন করে। এর আলোকে নতুন পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হয় ২০১২ সালে, যা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায় ২০১৩ সালে। তখন বলা হয়েছিল, বাংলা বিষয়কে সাহিত্যসমৃদ্ধ এবং সর্বজনীন করার জন্য ধর্মীয় বিষয়গুলো সরিয়ে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসলে তা করা হয়নি তারা ইসলামি ও মানুষের মুল্যবোধ জাগায় এমন লিখা সরিয়ে জ্ঞানদাসের ‘সুখের লাগিয়া’, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের ‘আমার সন্তান’, লালন শাহর ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বাধীনতা’ ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সাঁকোটা দুলছে’। গদ্য ভ্রমণকাহিনি ‘পালামৌ’- এগুলো যুক্ত করেছিল তখন কেউ বলেনি পাঠ্যবইয়ে ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র হওয়া উচিত। বা কেন নিখাদ সাহিত্য ও ভাষা শিক্ষার বইয়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে তুলে আনা হয়েছে একেবারে হিন্দু ধর্মীয় বিষয়। বাদ পড়েছে মুসলিম লেখক দের লিখা।

অষ্টম শ্রেণির গল্পের বই আনন্দপাঠ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বইটিতে একটিও মৌলিক গল্প নেই। সাতটি গল্পের সব কটিই বিদেশি লেখকদের লেখার অনুবাদ। গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে আরব্য উপন্যাস অবলম্বনে ‘কিশোর কাজী’, মার্ক টোয়েনের ‘রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে’, ড্যানিয়েল ডিফোর ‘রবিনসন ক্রুশো’, ফরাসি ঔপন্যাসিক মহাকবি আবুল কাশেম ফেরদৌসীর ‘সোহরাব রোস্তম’, উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’, ওয়াশিংটন আরবি রচিত গল্প অবলম্বনে ‘রিপভ্যান উইংকল’ ও লেভ তলস্তয়ের ‘সাড়ে তিন হাত জমি’।– এসকল বিষয়ে কোন সংগঠন কিংবা বিশেষজ্ঞ কোনর টু শব্দ করেন নি এবার আপনারা বুঝে নিন তাদের কিসে সমস্যা তাদের কোন সমস্যা নেই ইংরেজি বা ভিন্ন ধর্মের গল্প কবিতায় যত সমস্যা তাদের ইসলামি ভাবধারার লেখা তে আমি হেফাজতের নই একজন সাধারন বাংলাদেশি মুসলমান হিসেবে আপনাদের সামনে সত্য তুনে ধরলাম বাকিটা আপনারাই বেবেচনা করুন , শেয়ার করুন তাদের এই দুই নম্বরি মুখোশ খুলতে
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×