বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক নিবেদিত প্রাণ গোড়া সমর্থক আমি।একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশ প্রতিটা ম্যাচ বিপুল ব্যবধানে হারবে এটা ছিল নিয়মিত ঘটনা।তবুও প্রতিটা ম্যচ দেখতে বসতাম একটা উত্তেজনা নিয়ে।বলা তো যায় না আকরাম খান একটা মারদাঙ্গা ইনিংস খেলে যদি কিছু করতে পারে কিংবা রফিকের একটা দারুন স্পেল।রোকন,বিদ্যুত,অপি একজনও কি পারবে না?একবুক আশা নিয়ে প্রতিটা খেলা দেখতে বসতম আমি আর সজীব (আমার ছোট ভাই)।৭০-৭ এর পরেও বলতাম এই জুটিটা টিকে গেলে একটা ফাইটিং স্কোর হবে।আশা পুরন হত খুব কমই।তবে আগ্রহ কমত না একটুও।
ম্যাচ শেষ হলে পরের ম্যাচের অপেক্ষা,আর সিরিজের পর সিরিজ।
অনেক হতাশাবাদী দেখেছি যারা বলত বাংলাদেশকে দিয়ে ক্রিকেট হবে না।বিশ্বকাপে অনেক বন্ধুকে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে দেখে কষ্ট পেয়েছি।কষ্ট পেয়েছি মুলতানে পাকিস্তানকে অল্পের জন্য হারাতে না পেরে।তবু হতাশ হইনি।ভারত, দক্ষিন আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বজয়ের আনন্দ পেয়েছি।
আজ পেলাম সম্পূর্ন আলাদা এক অনুভূতি।ম্যাচের পর ম্যচ খারাপ খেলার পরও চোখ বন্ধ করে সমর্থন দিয়েছি তাকে।বন্ধুদের আড্ডায় যুক্তি দিয়েছি যে সে একা যত ম্যাচ জিতিয়েছে আর কেউ তার ধারে কাছে নাই।সেই আশরাফুল আজ আমাকে বড় কষ্ট দিয়েছে।কয়েক কোটি মানুষ হয়ত তাকিয়ে ছিল তার দিকে।ইচ্ছা করে সে ২ টা ওভার কম রান করেছে।বড় অংকের টাকা পেয়েছে কোটি কোটি মানুষের আবেগকে পায়ে দলে মুচড়ে।তাকে শাস্তি পেতে হবে।অবশ্যই পেতে হবে।
তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার এখানে আছে।আশরাফুল দোষ স্বীকার করেছে,ক্ষমা চেয়েছে,কান্নাকাটি করেছে মিডিয়ার সামনে।সত্যি যদি আন্তরিকভাবে মন থেকে সে ক্ষমা চেয়ে থাকে তবে বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিত।আমরা চাইনা এমন শাস্তি তাকে দেওয়া হোক যাতে তার ক্যারিয়ার এখানেই শেষ হয়ে যায়।
মন থেকে আমি চাই আশরাফুল আবার ফিরে আসবে।শুদ্ধ আশরাফুল দেশের হয়ে খেলতে নামবে লাল সবুজ জার্সি পরে।
আমাদের প্রিয় আশরাফুল।
এই লেখাটি আগে প্রকাশিত হয়েছে মুক্তকন্ঠ ব্লগে